বড় ধরনের হামলার শঙ্কায় থমথমে ইউক্রেন
২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
প্রথমবারের মতো রুশ ভূখণ্ডে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর রাশিয়ার পাল্টা হামলা চালানোর শঙ্কায় থমথমে ইউক্রেন। এ অবস্থায় ইউক্রেনের রাজধানী কিভে আমেরিকার দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করা করেছে।
মার্কিন দূতাবাস তার ওয়েবসাইটের একটি বার্তায় বলেছে, ‘কিয়েভস্থ মার্কিন দূতাবাস ২০ নভেম্বর সম্ভাব্য বড় ধরনের বিমান হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে।’
বার্তাটিতে আরো বলা হয়, ‘ব্যাপক সতর্কতার কারণে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হবে। দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস বিমান হামলার সতর্কতা জারির মতো পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
এছাড়াও মস্কো ও ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যকার হটলাইন (ফোনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম) এখন আর চালু নেই।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউক্রেনে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ রেখেছে ইউরোপের তিন দেশ। বুধবার ইতালি, স্পেন এবং গ্রিসও হামলার শঙ্কায় বন্ধ রেখেছে নিজেদের দূতাবাস।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এক হাজার দিন পূর্ণ হলো মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)। এক হাজার দিন পরেও যুদ্ধ চলছে। এখনো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মাঝে মধ্যেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে আগামী জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা রকেট হামলা করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। আর রাশিয়া হুমকি দিয়েছে, এরকম আক্রমণ হলে তার উপযুক্ত ও কড়া জবাব দেয়া হবে।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এসে এই নীতির পরিবর্তন করতে পারেন। সমর-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু এই পদক্ষেপ নিলে ৩৩ মাস ধরে চলা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির বদল হবে না।
এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। লাখ লাখ মানুষ বাইরের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ইউরোপে সবচেয়ে বড় সঙ্ঘাত। এর ফলে সামরিক দিক থেকে কার কত ক্ষতি হয়েছে তা গোপন রাখা হয়েছে। গোয়েন্দাদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে পাশ্চাত্য দেশগুলো যে হিসেব করেছে, তাতে এক দেশের হিসেবের সাথে অন্য দেশের হিসেবের প্রচুর ফারাক রয়েছে। তবে সব রিপোর্টই বলছে, দু’পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিটি অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই যুদ্ধের সময় শোক নেমে এসেছে। বড় শহর থেকে দূরের গ্রাম পর্যন্ত সব জায়গায় হামলা হয়েছে, প্রতিটি রাতে বারবার সাইরেন বেজেছে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করেছেন। ঘুমহীন রাত কাটিয়েছেন তারা। সূত্র : আনন্দবাজার ও ডয়চে ভেলে
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
'আপনার মতো ফ্যাসিজমের নিকৃষ্ট দালালদের মুখে যে কেউ কালো রং মেখে দেয় না - শোকর করেন'
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
"লাইভে এসে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা"
হাসিনাকে নিয়ে একটি কথাও বলেননি ট্রাম্প
লেবার পার্টির নেতা সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী জন প্রেসকট আর নেই
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর
নিখোঁজের ১০ দিন পর খালে মিলল বেদের লাশ
আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বাহারুল আলম
ভয়াবহ ইসরাইলি বিমান হামলা গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে
ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করলেন ভুটান রাষ্ট্রদূত
ইয়েমেন টনক নাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের
মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ : ট্রেন চলাচল বন্ধ
মহাখালীতে রেললাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা রেখে চালকদের অবরোধ, শহরজুড়ে তীব্র যানজট
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ২৪ নারী-পুরুষ
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে যা বলছে নেটিজেনরা
উ.কোরিয়ার চিড়িয়াখানায় সিংহ ও বাদামী ভাল্লুক উপহার দিলেন পুতিন
"আমি 'স্টারবাকস বর্জন করি আপনাদেরও করা উচিত"
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ভোগান্তি চরমে