ছ’মাসেই পুরো বদল! মহারাষ্ট্রে ঝড় বিজেপির

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম

 

 

মাত্র ছয় মাস আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে দাপট দেখিয়েছিল মহা বিকাশ আঘাড়ি। ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্র লোকসভায় বিরোধী মহাজোট ৩১ আসন জিতেছিল। শাসক শিবির জেতে মাত্র ১৭ আসনে। ছমাস বাদে বিধানসভা নির্বাচনে সম্পূর্ণ উলটো ছবি। নির্বাচনের ফল বলছে, মহারাষ্ট্রে সব অনুমান ছাপিয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফিরছে বিজেপি। ধরাশায়ী বিরোধী শিবির।

 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে বিজেপি একাই ১২৫-এর বেশি আসন পেতে চলেছে। শিব সেনার শিণ্ডে শিবির ৫৬ এবং এনসিপির অজিত শিবির ৩৭ আসনে এগিয়ে। সব মিলিয়ে ২২০-র বেশি আসনে এগিয়ে মহাজুটি। অন্যদিকে কংগ্রেস জোট কোনওক্রমে ৫০ পেরিয়েছে। বিরাট অঘটন না ঘটলে এই ফলাফলে আকাশপাতাল বদল আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। যার অর্থ ছমাসের মধ্যে আরও একটা সম্ভাবনাময় রাজ্যে ধরাশায়ী হল বিরোধী শিবির। আরও একবার হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি।

 

আসলে মাস ছয়েক আগে লোকসভার ফলপ্রকাশের পর দুই শিবিরের মানসিকতাই ছিল দুরকমের। বিজেপি যেখানে ধাক্কা সামলাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল, সেখানে বিরোধী শিবির ভুগছিল আত্মতুষ্টিতে। লোকসভার ধাক্কা ভুলতে লাডলি বহিন, টোল ট্যাক্সে ছাড়, ইলেকট্রিক বিলে ছাড়ের মতো খয়রাতি শুরু করে মহাজুটির সরকার। পাশাপাশি বিজেপি শুরু করে সংগঠনের কাজ। লোকসভায় যে সংঘের সঙ্গে বিবাদে ধাক্কা খেতে হয়েছিল, পুরোপুরি আসরে নেমে পড়ে সেই সংঘই। মহারাষ্ট্রে স্রেফ দলিত ভোটারদের একত্রিত করতে ৬০ হাজারের বেশি কর্মসূচি নিয়েছিল আরএসএস। মারাঠা সংরক্ষণ ইস্যুর চাপ সামলাতে ওবিসিদের একত্রিত করার কাজটিও নীরবে করে গিয়েছে আরএসএস-বিজেপি।

 

অন্যদিকে অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিতে ভোগা বিরোধী শিবির ধরেই নিয়েছিল লোকসভার ফলাফলেরই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। তাই তৃণমূল স্তরে নজর না দিয়ে নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতে ব্যস্ত ছিল কংগ্রেস, শিব সেনা উদ্ধব এবং এনসিপি পওয়ার। তাছাড়া লোকসভায় যে দলিত-মারাঠা সমীকরণ কাজ করেছিল, সেই দলিত-মারাঠাদের অঙ্কও কাজ করেনি। ফলাফলে স্পষ্ট যে, নিচুতলায় মহা বিকাশ আঘাড়ির তিন শরিক একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এটার অন্যতম কারণ ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা না করা। এবং আসনরফার কাজটা মসৃণভাবে করতে না পারা। সব মিলিয়ে সমন্বয়ের অভাবই ভোগাল বিরোধী শিবিরকে।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস