অনুপ্রবেশ তত্ত্বে কাজ হল না, ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় ফিরছে ইন্ডিয়া
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
বুথফেরত সমীক্ষা নস্যাৎ করে ভারতের ঝাড়খণ্ডে জয়ের পথে ইন্ডিয়া জোট। রাজ্যের মোট ৮১টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হয়েছিল। শনিবার সকালে গণনা শুরু হওয়ার পর সেখানে জয়ের দিকে এগোচ্ছে কংগ্রেস এবং হেমন্ত সরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএ) জোট। দুপুর সওয়া ২টো পর্যন্ত যে হিসেব সামনে এসেছে, তাতে ঝাড়খণ্ডে ম্যাজিক সংখ্যার চেয়েও এগিয়ে রয়েছে ইন্ডিয়া শিবির। সেখানে ৫৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা।
ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয় ৩৮টি আসনে। এবার ঝাড়খণ্ডে হেমন্তের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই ছিল বিজেপি-র। বিধানসভার আগে হেমন্তর গ্রেফতারি, তার পর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন এবং শেষ পর্যন্ত চম্পরাই সরেনের বিদ্রোহী হয়ে ওঠা, গোড়া থেকেই চাপে রেখেছিল জেএমএম-কে। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে জোরকদমে প্রচারে নামে তারা। ভোটবাক্সে তারই প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ঝাড়খণ্ডে এবার বিজেপি লড়াইয়ে নেমেছিল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, সংযুক্ত জনতা দলকে সঙ্গে নিয়ে। বুথফেরতসমীক্ষায় রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৪২-৪৭টি আসন পেতে পারে বলে জানানো হলেও, এদিন বেলা যত গড়াতে থাকে, ততই জয়ের দিকে এগিয়ে যায় ইন্ডিয়া শিবির। ঝাড়খণ্ডে এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়া শিবিরের অংশ জেএমএম, কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), সিপিআই (এম)। এখনও পর্যন্ত গণনা যেভাবে চলছে, তাতে ঝাড়খণ্ডে ফের হেমন্ত সরকারের প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে।
এবারে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি-র হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ থেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলাদেশ থেকে কথাকথিত বেআইনি অনুপ্রবেশ নিয়ে লাগাতার সরেন সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে যান তারা। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের ‘মা-মাটি-রোটি’র উপর কব্জা করছেন বলেও লাগাতার প্রচার চালায় বিজেপি। সেই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেও ফাঁদে পা দেয়নি জেএমএম. বরং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখেই প্রচার সারেন হেমন্ত। বিশেষ করে ‘মুখ্যমন্ত্রী সম্মান যোজনা’। ‘আদিবাসী অস্মিতা’কে সামনে রেখে এগোয় তার দল। এমনকি ‘মইয়া সম্মান যোজনা’রও সূচনা করেন হেমন্ত, ঠিক পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র আদলে, যার আওতায় মহিলাদের মাসে ১০০০ রুপি করে পাবেন। তাই মহিলা ভোট হেমন্ত এবং তার দলকে অনেকটা সুবিধা করে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যদিও এবারের নির্বাচন হেমন্ত এবং তার দলের জন্য কম কঠিন ছিল না। আচমকা গ্রেফতার হন হেমন্ত, তাদের দলের নেতারা একে একে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি হেমন্তের নিজের পরিবারের সদস্যা বিজেপি-তে যোগ দেন। জেলযাত্রার পর হেমন্ত যখন ক্ষমতায় ফেরেন, সেই সময় আবার বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন চম্পাই। তবে মরিয়া লড়াই চালিয়ে যান হেমন্ত। জানিয়ে দেন, রাজ্যে সরাসরি বিজেপি এবং তার মধ্যে লড়াই। আদিবাসী নেতাকে বিজেপি হেনস্থা করছে বলে তুলে ধর তার দল। আর এই লড়াইয়ে বিরোধীদের পাশে পান হেমন্ত, যার সুফল ভোটবাক্সে এসে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস