ইসরায়েলি হামলায় গাজার এক নারী বন্দী নিহত, দাবি হামাসের

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম

 

 

স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস দাবি করেছে রবিবার(২৪ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা চালানোর পর এক নারী বন্দী নিহত হয়েছে।এ ঘটনায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনো কোন নিশ্চিত বা অস্বীকার করে কিছু জানায়নি,তবে তারা এই ঘটনার তদন্ত করছে।

 

হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবেইদা শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে জানান যে,কয়েক সপ্তাহ পরে ওই বন্দীর সাথে যোগাযোগ পুনরায় স্থাপন করা হয়েছিল।তার মতে,গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালীন ওই বন্দী মারা গেছে।তবে, তার পরিচয় বা কিভাবে এবং কখন তাকে হত্যা করা হয়েছে,সে সম্পর্কে আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

 

হামাস আরও দাবি করেছে অন্য এক নারী বন্দীও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই দাবি নিশ্চিত করতে বা অস্বীকার করতে পারেনি তবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে,ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে যে তারা বন্দীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছে এবং সব তথ্য তাদের জানানো হচ্ছে।

 

হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করে, যার মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে,বলছে ইসরায়েলি বাহিনী।এদিকে ইসরায়েল সরকার জনসাধারণের চাপের মধ্যে আছে যাতে তারা বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে একটি নতুন চুক্তি করে।গত বছর এক সপ্তাহের বিরতিতে ১০৫ বন্দী মুক্তি পেয়েছিল,তবে সেভাবে কোনো বড় সাফল্য আসেনি।

 

এই সংঘাতের ফলে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।এখন পর্যন্ত ইসরায়েলিরা প্রায় ৪৪,০০০ ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে, এবং জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস