দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের সামরিক আইন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে অল্প সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করার কারণে তিনি এখন তদন্তের মুখোমুখি। তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।এই ঘটনায় পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করেছে।
গত মঙ্গলবার(০৩ডিসেম্বর) সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। এই পদক্ষেপের কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানায়।পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, শাসক দল পিপল পাওয়ার পার্টি (PPP) প্রেসিডেন্ট ইউন-এর শাসনকাল সংক্ষিপ্ত করার এবং তাকে বিদেশ ও অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি এই সিদ্ধান্তকে “অবৈধ এবং অসাংবিধানিক” বলে অভিহিত করেছে।
উল্লেখ্য, সামরিক আইন ঘোষণার পেছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন, যিনি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রবিবার (০৮ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কমান্ডার ইয়েও ইন-হিউং এবং সেনাবাহিনী প্রধান পার্ক আন-সুসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরপরই ইউন-এর অফিসের সিনিয়র সহযোগীরা পদত্যাগপত্র জমা দেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি স্যাং-মিন দায়িত্বহীনতার জন্য ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেন।বিরোধী দলের নেতা পার্ক চান-ডে এবং লি জে-মিয়ং ইউন-এর পদক্ষেপকে "দ্বিতীয় অভ্যুত্থান" বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইউন সুক ইয়োল গত শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে সামরিক আইন পুনরায় আরোপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, তার ক্ষমতা এখনও বহাল রয়েছে এবং তিনি যেকোনো সময় পুনরায় সক্রিয় হতে পারেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এই রাজনৈতিক সংকট দেশটির স্থিতিশীলতা এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। বিরোধী দল তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে, এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন। জনগণের আশা, ক্রিসমাসের মধ্যে দেশ পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সীমান্ত হত্যায় ব্যবহৃত চাকুসহ আরো এক আসামী গ্রেফতার
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়লো
৪২ মিনিটেই নেইমারের আয় ১০১ মিলিয়ন ইউরো
ফেব্রুয়ারিতে পার্স-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ইরান
মাগুরায় পিলখানা হত্যাকান্ডে হত্যাকারী ও পরকল্পনাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
কসাই থেকে নদীখেকো জাফর
পাঁচ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাঁচ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
ফ্যাসিবাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সক্রিয় ছিল ইবি ছাত্রদল
সামনের বর্ষায় ঘাসে ঢাকা হবে রাজধানীর অনাবৃত সড়ক বিভাজন: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
মাদারীপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি : দুদকের মামলায় হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ আসামি
কোকোর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরাফাত রহমান বড় ভূমিকা ছিল: কাজী শিপন
তারেক রহমান একজন মানবিক মানুষ: কাইয়ুম চৌধুরী
রাবির সাত হলে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় উত্তাল ক্যাম্পাস, তদন্ত কমিটি গঠন
ডিসেম্বরে সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও সউদী আরব থেকে
যশোরে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকুরি পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
অপরাধী যদি আমার ভাই হয়, তাকেও ছাড় দিবেন না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আবারও সিলেটের নায়ক জাকির, খুলনার টানা দ্বিতীয় হার
এবার হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে নারী আইনজীবীর মামলা
ব্যবসায়ীকে কোপানোয় শাস্তির হুঁশিয়ারি উপদেষ্টা আসিফের