সিরিয়ার সায়েদনায়া কারাগারে হারানো আত্মীয়ের খোঁজে হায়াতের অপেক্ষা
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
হায়াত আল-তুরকি নামে ২৭ বছর বয়সী একজন সিরিয়ান নারী সিরিয়ার কুখ্যাত সায়েদনায়া কারাগারে গিয়ে তার হারিয়ে যাওয়া আত্মীয়দের খোঁজ করছিলেন। এই কারাগারটি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে "হত্যার গৃহ" হিসেবে পরিচিত ছিল, যেখানে বন্দিদের ব্যাপক নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চলত। হায়াত তার ভাই, চাচা এবং আরো পাঁচজন আত্মীয়ের খোঁজে এই কারাগারে প্রবেশ করেছেন, যারা অনেক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
হায়াত যখন জানতে পারলেন যে, বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে,স্বৈরশাসক আসাদ এর পতন হয়েছে তখন তিনি আশা করেছিলেন যে তার আত্মীয়রা বেঁচে থাকতে পারেন। কিন্তু চারদিনের অনুসন্ধানেও তিনি তাদের কোন চিহ্ন পাননি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে এই কারাগারে নির্যাতন এবং গণহত্যার কেন্দ্র ছিল, সংস্থাগুলো অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে কিন্ত আশানুরূপ ফল মেলেনি।
হায়াত জানান, "আমি এখানে ঘুমাই, আমি বাড়িতে ফিরিনি," এবং বলেন যে, তিনি তার ভাই, চাচা বা কোনো আত্মীয়ের খোঁজে ছিলেন, কিন্তু তারা, অনেক অন্য সিরিয়ানদের মতো, যেন অদৃশ্য হয়ে গেছেন। হায়াত একটি নথিও ( ডকুমেন্ট) খুঁজে পান, যা ১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ৭,০০০ বন্দির নাম তালিকাভুক্ত করেছিল। কিন্তু তিনি হতাশ হয়ে বলেন, "তারা কোথায়? তারা কি এই কারাগারে থাকা উচিত নয়?"
বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর হাজার হাজার বন্দি মুক্তি পেয়েছেন, যাদের অনেকেই মুক্তির পর পরিবারের কাছে ফিরেছেন।সায়েদনায়া কারাগারে ফাঁসি দেওয়ার দড়ি রয়ে গেছে, যা বন্দিদের অন্ধকার দিনগুলির স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। হায়াত জানান, "আমি পুরো কারাগার খুঁজে দেখি, আমি প্রতিটি সেলে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য ঢুকি, আর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।" তিনি খুঁজে দেখতে থাকেন, "এগুলো কি আমার ভাইয়ের জন্য? এটা কি তার কম্বল?"
মানবাধিকার (হিউম্যান রাইটস) সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ার কারাগারে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন হয়েছে, এবং ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল যে,সায়েদনায়া কারাগারে একটি নতুন শবদাহঘর তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের পোড়ানো হত।
বিদ্রোহী নেতারা জানিয়েছেন, যারা এই নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে, হায়াতের জন্য এসব মন্তব্য কোনো সান্ত্বনা দেয়নি।তিনি বলেন, "আমি জানি না আমার ভাই কেমন দেখতে, কারণ আমি যে বন্দিদের ছবি দেখছি তারা যেন কঙ্কাল হয়ে গেছে,"। "আমরা নিশ্চিত, এখানে মানুষ ছিল। তবে এসব জামাকাপড় এবং কম্বলগুলো কার জন্য?"
হায়াতের অনুসন্ধান এখনও অব্যাহত রয়েছে,কারাগারে আটক তার পরিবারের কাওকে পায়নি কিন্তু সায়েদনায়া কারাগারের গঅন্ধকার অতীত এবং তার আত্মীয়দের অবস্থা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে তার কাছে। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার