গ্রিনল্যান্ড-পানামা খাল বিক্রির জন্য নয়, তবে ট্রাম্প এ নিয়ে হুমকি কেনো দিচ্ছেন ?
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
নবনির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার রাজনৈতিক বক্তব্যে আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন। পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড নিয়ে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য অনেকের নজর কেড়েছে। যদিও বাস্তবে এসব অঞ্চল দখল বা কেনার সম্ভাবনা নেই, তবে তার বক্তব্য "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আগ্রাসী অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।
চলতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অ্যারিজোনায় একটি কনফারেন্সে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, পানামা খালের মাধ্যমে মার্কিন জাহাজ চলাচলে "অন্যায় ও অযৌক্তিক" শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি এই "লুট" বন্ধ না হয়, তবে পানামা খালকে পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, তিনি গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা দাবি করেন, যা তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
ট্রাম্প পানামা খালের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, চীনের মতো "ভুল হাতে" এই খাল পড়তে পারে, যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। চীন বর্তমানে পানামা খালের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবহারকারী, যা যুক্তরাষ্ট্রের পরে স্থান পায়।১৯৭০-এর দশকে এক চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পানামার কাছে খালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে।তবে ট্রাম্পের অভিযোগ, চীন এখানে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছে, যা সামরিক সংঘাতের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রাম্পের আগ্রহ নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালে তার প্রথম মেয়াদে তিনি ডেনমার্কের এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, যা ডেনমার্ক সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে বি এগেদে সম্প্রতি বলেছেন, "গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, এবং কখনোই বিক্রিত হবে না।" ট্রাম্প এই অঞ্চলের কৌশলগত অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষত তেল ও বিরল খনিজ সম্পদ, মার্কিন স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।এছাড়া, তিনি পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা পোস্ট করে আলোচনা জোরদার করেছেন। তার এই বক্তব্য তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনারই একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এসব মন্তব্য তার আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন এবং "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতির পুনরাবৃত্তি। যদিও বাস্তবে এসব অঞ্চলের মালিকানা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই, তবে এটি মার্কিন-চীন সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা