ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত, মানবিক সংকট চরমে
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ এএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা ও শীতের তীব্রতায় গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক রূপ নিয়েছে। উত্তরের জাবালিয়ায় এক হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে একদিনে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে তীব্র ঠাণ্ডার কারণে গাজায় অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি হাইপোথার্মিয়ায়(শীতে প্রেশার নেমে যাওয়া) মারা গেছেন। ইতিমধ্যে ইসরায়েল মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
এদিকে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আটক পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়ার মুক্তির জন্য তাঁর পরিবার আবেদন জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হেফাজতে আরও পাঁচজন বন্দির মৃত্যু হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজার ওপর যুদ্ধ চলমান রয়েছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৪৫,৫৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৮,৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের নেতৃত্বে পরিচালিত এক হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি বন্দি হন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতি গাজার মানুষের জন্য মানবিক সংকটের চিত্র আরও প্রকট করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা এখন অত্যন্ত জরুরি। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ