মার্কিন কর্মকর্তার রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তা বন্ধের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক
১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা ধীরে ধীরে বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তে লেবাননের জন্যও সাহায্য কমিয়ে আনার কথা ছিল, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রহীন জনগণের জন্য বড় সংকট তৈরি করতে পারে। এই ধরনের সহায়তার পরিকল্পনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।
বিষয়টি ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আসা একটি ইমেইলের মাধ্যমে জানা যায়। ইউএসএআইডি (যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) এর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা, পিটার মারক্কো, রোহিঙ্গা এবং লেবাননকে সহায়তা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। তিনি এই ইমেইলে ইউএসএআইডির মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মকর্তা টিম মেইজবার্গারকে একটি খসড়া মেমো তৈরি করার নির্দেশ দেন, যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং লেবাননের জন্য মার্কিন সাহায্যের ওপর তাদের নির্ভরতা কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পিটার মারক্কো রোহিঙ্গাদের সহায়তা বন্ধ করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মার্কো রুবিওর নজর আকর্ষণ করতে চান। ইমেইলে মারক্কো উল্লেখ করেন যে, ইউএসএআইডি রোহিঙ্গা জনগণ ও লেবাননের উপর এই ‘অস্বাভাবিক নির্ভরতা’ দূর করতে চায়। তিনি মেইজবার্গারকে এই খসড়াটি তৈরি করতে বলেছিলেন, যাতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে পৌঁছানো যায়।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর মারক্কো একাধিকবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইমেইলে তিনি লিখেছিলেন, 'আমাদের সহানুভূতি থাকলেও, ৫ নভেম্বরের পর অনেক কিছুই পরিবর্তন হবে।' তিনি এও বলেছিলেন যে, রোহিঙ্গা ও লেবাননের সহায়তা কমানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ও পদক্ষেপ নির্ধারণ করা জরুরি। তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।' তার ভাষায়, সহায়তা কমানোর জন্য এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সময়ের ব্যাপার।
মার্ক্কো যখন এই ইমেইল পাঠিয়েছিলেন, তখন তিনি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যাদের লক্ষ্য ছিল ইউএসএআইডি সংস্থাকে ছোট করে ফেলা। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যার মধ্যে হাজার হাজার কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে বরখাস্ত করা এবং বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র, যা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী দেশ, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। তবে, মারক্কোর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে এই সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে। বর্তমানে, রোহিঙ্গাদের সহায়তা বিশ্বের নানা দেশে পৌঁছালেও, বাংলাদেশ ছাড়া মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, এবং থাইল্যান্ডেও কিছু শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
এই পদক্ষেপ যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এই সংকট আরও গভীর হবে। আন্তর্জাতিক মহলে এটি একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের উৎপাত বাংলাদেশের দূতাবাস গুলোতে, এ দায় কার?

কলাপাড়ায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

যে কারণে ম্যাচ বয়কটের হুমকি রিয়াল কোচের

পাংশায় বৈদেশিক মুদ্রা সহ এক চোরাকারবারী গ্রেপ্তার

দ্রুত রায় কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা

‘আবরার ফাহাদ হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা’

পর্তুগালে বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তাদের ঈদ মেলা

ঢাকা ছাড়ার আগে প্রধান উপদেষ্টাকে গুতেরেসের ফোন, যা বললেন

একদিন বন্ধের পরে আজ সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

বাউফলে পিটুনিতে নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া গেছে

ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ করার সুপারিশ সিপিডির

ট্রাম্পের আদেশে তিন গণমাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ

ইসরায়েলের সমর্থন বন্ধ করুন, ইয়েমেনে হত্যা থামান: ট্রাম্পকে ইরানের হুঁশিয়ারি

হঠাৎ বুকে ব্যাথা, হাসপাতালে এ আর রহমান

মশার কয়েল থেকে আগুন লেগে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মাগুরায় সেনা বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার

ভয়েস অব আমেরিকার ১৩ শতাধিক কর্মীকে পাঠানো হলো ছুটিতে

মে মাসে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে 'ভয়েস অব জুনুন'

রাজশাহীর নিউমার্কেটে আগুন, ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত

আজ বিএনপি'র প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী