ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় ২০ দিনে ৪৯০ শিশু নিহত

ইনকিলাব ডেস্ক

০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৬ এএম | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৫ এএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাবস্থার ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা। আর এই সহিংসতার সবচেয়ে বড় শিকার হয়ে উঠছে শিশুরা। গাজার মিডিয়া অফিস সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা শুধু মর্মান্তিকই নয়—আন্তর্জাতিক বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো।

গাজার মিডিয়া অফিস রোববার (৬ এপ্রিল) জানিয়েছে, গত ২০ দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজা উপত্যকায় ৪৯০ জন শিশু নিহত হয়েছে। তাদের দাবি, এই হত্যাকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক হত্যানীতির অংশ। পুরো ঘটনাকে “আধুনিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ” বলে অভিহিত করেছে মিডিয়া অফিস। একই সময়ে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৩৫০ জনে।

মিডিয়া অফিস ইসরায়েলের সেই প্রচলিত দাবি—যে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা নেহাতই অনাকাঙ্ক্ষিত—তাকে নাকচ করে বলেছে, শিশুরাই হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২০ দিনে যে ভয়াবহতার সাক্ষী হয়েছে গাজা, তা একটি সুপরিকল্পিত শিশু গণহত্যা, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ।

এই রক্তক্ষয়ী হামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়বে। একই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যার লক্ষ্য গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতিমধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

বিভাগ : আন্তর্জাতিক