দরিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যেই যাকাত ফরজ করেছেন আল্লাহ- জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
২২ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে আল্লাহ তা'য়ালা মুসলমানদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন। এটা হচ্ছে ধনীদের সম্পদে দরিদ্রদের নির্ধারিত অধিকার। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, তাদের ধন সম্পদে অভাবগ্রস্থ ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে। নামাজ আদায়ের জন্য আল্লাহ তায়ালার আদেশ যেখানেই বর্ণিত হয়েছে, সেই সাথে যাকাত আদায়েরও আদেশ এসেছে। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রহমতের দশ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমরা কতটুকু নেক আমল করতে পারছি। কোরআন নাযিলের মাসে শয়তানের সাথে সর্ম্পক রাখা যাবে না। তাকওয়া অর্জনের এই মাসকে কাজে লাগাতে হবে। জিন শয়তান ও মানুষ শয়তানের কাছ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে। খতিব বলেন, যাকাত আল্লাহর ফরজ বিধান। পবিত্র কোরআনে ৮২ বার ছালাত ও যাকাতের কথা বলা হয়েছে। যাকাত গরিবের হক। যাকাত দিলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। নির্ধারিত পরিমাণ যাকাত দিতে হবে। লাম ছাম ভাবে যাকাত দিলে তা’ আদায় হবে না। যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত নয় এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে না। নিকটতম গরিব আতœীয় স্বজের মাঝে আগে যাকাত আদায় করতে হবে। যাকাতের নামে লোক দেখানো কাপড় দিতে গিয়ে ভিড়ের মাঝে অসহায় গরিব মানুষ মারা যায়। যা’ মোটেই উচিৎ নয়। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সঠিকভাবে হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হবে। আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে যাকাত আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন। দিনাজপুর গোর এ শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে আল্লাহ তা'য়ালা মুসলমানদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন। এটা হচ্ছে ধনীদের সম্পদে দরিদ্রদের নির্ধারিত অধিকার। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, তাদের ধন সম্পদে অভাবগ্রস্থ ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে। নামাজ আদায়ের জন্য আল্লাহ তায়ালার আদেশ যেখানেই বর্ণিত হয়েছে, সেই সাথে যাকাত আদায়েরও আদেশ এসেছে। যেমন আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, তোমরা নামাজ কায়েম করো যাকাত দাও। মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এ প্রত্যাশায় তোমরা যে সুদ দিয়ে থাকো আল্লাহর দৃষ্টিতে তা ধন-সম্পদ বৃদ্ধি করে না। পক্ষান্তরে তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যাকাত দিয়ে থাকে, প্রকৃতপক্ষে তারাই সমৃদ্ধিশালী। (আল কোরআন) খতিব বলেন, সম্মানিত উপস্থিতি আপনারা জেনে রাখুন যাকাত দরিদ্রতা দূরীভ‚ত করে, এবং ধনী ও দরিদ্রের মাঝে ভালোবাসা, আন্তরিকতা, ভারসাম্যতা সৃষ্টি করার একটি অন্যতম মাধ্যম। যাকাত মালকে পবিত্র ও বরকতময় করে। যাকাত আত্মার পবিত্রতা সাধন করে। কৃপণতা দূরীভ‚ত করে। উদারতা ও বদান্যতা সৃষ্টি করে। তাই আসুন যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি সমাজনীতি কায়েম করি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।
ঢাকার ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দীক আজ মাদরাসা জামে মসজিদে জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আল্লাহ তায়ালা রোজাকে ফরজ করেছেন তাকওয়া অর্জনের জন্য। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমনটি ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে করে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো। (সূরা বাকারা : ১৮৩) আবু হুরাইরা (রাদি.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, অনেক রোজাদার এমন আছে যারা রোজার দ্বারা ক্ষুধা ছাড়া আর কিছু পায় না। এমন অনেক তাহাজ্জুদ গুজার আছে যারা তাদের তাহাজ্জুদের দ্বারা রাত্রি জাগরণের কষ্ট ছাড়া আর কিছু পায়না। বিধায় রোজা রেখে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা দরকার। খতিব বলেন, তাছাড়া সদকায়ে ফিতর আদায় করা দরকার। কারণ রোজাকে ত্রæটি মুক্ত করতে ও গরীবদের সাহাযার্থে মহান আল্লাহ তায়ালা সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব করেছেন। তাছাড়া ধনীদের উচিৎ তাদের যাকাত সঠিকভাবে আদায় করা। কারণ এটাও রোজা ও নামাজের মতই ফরজ। আর এটা গরীবের হক। যাকাতের মাধ্যমে সমাজে দারিদ্রতার নিরসন করা সম্ভব। আল্লাহ সবাইকে মাহে রমজানের হক আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমিন।
মাগুরা নিজনান্দুয়ালীস্থ বায়তুন-নুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা ওসমান গণী সাঈফী জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আজ পবিত্র মাহে রমাজানের দ্বিতীয় জুম্মা। পবিত্র মাহে রমজানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য অনেক গুলো ইবাদত রয়েছে, তার মধ্যে 'ই'তিকাফ একটি ইবাদত। রমজানের রোজা ফরজ হয়ে ছিল দ্বিতীয় হিজরীতে। তার পরেও নবীজি (সা.) হায়াত পেয়েছেন নয় বছর। আমার প্রিয় নবীজি (সা.) কখনোই ই'তিকাফ ছাড়েন নাই। বুখারী ও মুসলিমের মাঝে বর্ণনা আসছে, হযরত আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) আনহা বলেন, হযরত নবী করীম (সা.) প্রতি রমজানের শেষ দশদিন ই'তিকাফ করতেন। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, হযরত নবী (সা.) রমজানের শেষ দশদিন ই'তিকাফ করলেও মৃত্যুর বছর নবী (সা.) ২০ দিন ই'তিকাফ করেছেন। সূরা বাকারায় আল্লাহ ইরশাদ করেন, ই'তিকাফ করবেন মসজিদে এবং আম্মাজিদেরকেও করতে বলবেন, নিজেদের বাসা বাড়ির রুমে নির্জনে। আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করেন।
খতিব সাঈফী ই'তিকাফের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ই'তিকাফ এর শাব্দিক অর্থ : কোন স্থানে অবস্থানে করা, আবদ্ধ হওয়া। শরীয়তের পরিভাষায় : যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামা'আতের সাথে নিয়মিত আদায় করা হয়, এমন মসজিদে আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্য নিয়ত সহকারে অবস্থান করাকে ই'তিকাফ' বলে। খতিব বলেন, ই'তিকাফ তিন প্রকার। প্রথমত ওয়াজিব ই'তিকাফ, দ্বিতীয়ত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া ই'তিকাফ এবং তৃতীয়ত মস্তাহাব বা নফল ই'তিকাফ। ওয়াজিব ই'তিকাফ এটা হচ্ছে, মান্নতের ই'তিকাফ। কেউ যদি মান্নত করলো,আমার অমুক কাজটা সমাধা হয়ে গেলে দশদিন বা বিশদিন ই'তিকাফ করবো। তখন উক্ত উদ্দেশ্য পুর্ন হলে নির্দিষ্ট দিনগুলোর ই'তিকাফ অবশ্যই করতে হবে। কেননা, তা তখন তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। মান্নতের ই'তিকাফের জন্য রোযা শর্ত। অর্থাৎ রোযা না রেখে ওয়াজিব ই'তেকাফ করা যায় না।
দ্বিতীয় সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া রমজানের শেষ দশদিন অর্থাৎ ২০ রমজানের সুর্য ডোবার আগ মুহুর্ত থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ উঠা পর্যন্ত মসজিদে ই'তিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। একজন থাকলেও মহল্লার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। উক্ত মসজিদ মহল্লার কেউ ই'তিকাফ না করলে মহল্লার সবাই সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তরফের গুনাহ হবে। খতিব বলেন, মুস্তহাব বা নফল ই'তিকাফ এর জন্য কোন নিদিষ্ট সময় বা দিন নাই এবং রোজা ও নাই। অল্প সময় বা যে কোন সময়ে হতে পারে, যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে যেয়ে আমরা ই'তিকাফ এর নিয়ত করে থাকি। হযরত রাসুল (সা.) এর চিরাচরিত অভ্যাস ছিল রমজানের শেষ দশকে ই'তিকাফ করা। ইতিকাফের ফযিলত সম্পর্কে খতিব বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশদিন ই'তিকাফ করবেন, সে দুটি হজ ও দুটি উমরাহ করার সওয়াব লাভ করবে। এবং চল্লিশদিন পর্যন্ত ইসলামী রাষ্ট্র পাহাদারীর সওয়াব লাভ করবে এবং আল্লাহ তাকে মাফ করে নবজাত শিশুর মত করে নিবেন। আল্লাহ সবাইকে রমজানের পুরোপুরি হক আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমিন।
গাজীপুরের টঙ্গী সরকার বাড়ি পূর্ব আরিচপুরস্থ মসজিদুল আকসার খতিব মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম মল্লিক আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, দান করা আল্লাহর হুকুম। সূরা বাকারার ১৯৫ আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, ‘তোমরা দান কর আল্লাহর রাস্তায়’ মানুষ মনে করে সম্পদ আমি উপার্জন করেছি আর আমিই তার মালিক। আর আল্লাহ্ বলেন, সম্পদ আমিই দিয়েছি আমার দেওয়া সম্পদ থেকে বঞ্চিতদের দান কর।
খতিব বলেন, সূরা বাকারার ২৫৪ নং আয়াতে আল্লাহ্ বলেন ‘হে ঈমানদারগণ আমি তোমাদেরকে যে রুজি দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর সেদিন আসার পূর্বে যাতে না আছে বেচা-কেনা না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব আর কাফেররাই হলো প্রকৃত জালিম। সূরা বাকারার ২৬১ আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘এখলাছের সাথে কেউ যদি ১ টাকা দান করেন আল্লাহ্ তাকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। সূরা বাকারার ২৫৪ নং আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ তোমরা যা উপার্জন কর এর মধ্যে যা পবিত্র তা থেকে তোমরা দান করো। বোখারী শরীফের ৭৫১২ নং হাদিসে আছে সামর্থ অনুযায়ী সামান্য হলেও দান করো।
রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের সাথে আল্লাহ্ কেয়ামতে কথা বলবেন, তোমরা যারা কেয়ামতের মাঠে থাকবে ডান দিকে তাকিয়ে দেখবে যা সে দুনিয়াতে ভাল কাজ করেছে বামে তাকিয়ে দেখবে দুনিয়াতে যা খারাপ আমল করেছে সামনের দিকে তাকাবে দেখবে শুধু জাহান্নামের আগুন বা জাহান্নাম। নবী করীম (সা.) বলেন, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচ যদিও একটা খেজুর আল্লাহর রাস্তায় সদকা করো। আবু দাউদ শরীফের হাদিসে আছে, প্রত্যেকটা মানুষের দেহে ৩৬০টি জোড়া আছে। তাদের উচিত প্রতিদিন ৩৬০টি জোড়া থেকে সদকা করা। ৩টি কাজ প্রতিদিন করলে ৩৬০টি জোড়ার পক্ষ থেকে সদকা করা হবে। মসজিদ থেকে থুথু বা ময়লা জাতীয় বস্তু সরিয়ে ফেলা অথবা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা অথবা কেউ যদি প্রতিদিন ২ রাকাত চাশতের নামাজ আদায় করে তার ৩৬০টি জোড়ার সদকা আদায় হবে। আল্লাহ্র নবী (সা.) আরও বলেন, পানি যেমন আগুনকে নিভিয়ে দেয় তেমনি সদকা তোমার গুনাহ্গুলো মিটিয়ে দিবে (তিরমিযি শরীফ হাদিস ২৬১৬) আসুন এই রমজানে আমরা সাধ্য অনুযায়ী দান সদকা করি। আমিন।
মীরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, ইসলামের ফরজ বিধান যাকাত আদায়ের উত্তম সময় পবিত্র মাহে রমজান । নামাজ যেমন আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর ফরজ করেছেন ঠিক তদ্রূপ যাকাত ও নির্দিষ্ট নিসাবের অধিকারী ব্যক্তির উপর আবশ্যকীয় ভাবে ফরজ করে দিয়েছেন। নামাজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান আদায় না করার দরুন ইসলামে যেমন জাহান্নামের শাস্তিসহ কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে তেমনি যাকাত আদায় না করার ক্ষেত্রেও কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, তোমরা সালাত (নামাজ) কায়েম কর। যাকাত আদায় কর। (সূরা বাকারা) । তিনি আরও বলেন, হিদায়েত এবং সুসংবাদ মুমিনের জন্য । যারা নামাজ কায়েম করে এবং যাকাত আদায় করে । (সূরা নামল, আয়াত নং ২ ও ৩ )। যাদের উপর যাকাত ফরজ হওয়া সত্তে¡ও তা আদায় করেনা তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ধবংস মুশরিকদের জন্য যারা যাকাত দেয়না এবং পরকালে বিশ্বাস করে না। (সূরা আরাফ, আয়াত নং ৬ ও ৭)। অন্য আয়াতে তিনি আরও বলেন, যারা স্বর্ন ও রৌপ্য জমা করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না। (যাকাত দেয়না) তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দান করুন। যেদিন সেগুলো জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে তাদের মুখ মন্ডল, পার্শ ও পিঠে দাগ দেয়া হবে। আর বলা হবে এগুলো তোমাদের সেই সম্পদ যা তোমরা কুক্ষিগত করে রেখেছিলে। এখন তার স্বাদ (শাস্তি ) গ্রহণ করতে থাক। (সূরা তওবা, আয়াত নং ৩৪ ও ৩৫)। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ যাকে সম্পদ দিয়েছেন সে যদি তার যাকাত আদায় না করে তাহলে সেগুলো কিয়ামতের দিন টাক পড়া বিষধর সাপের রূপ ধারণ করবে । সে সাপ তার মুখে ধংশন করতে থাকবে আর বলবে ,আমি তোমার মাল, আমি তোমার কুক্ষিগত সম্পদ। (বুখারী শরীফ)। রমজানে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ তায়ালা বহুগুন বাড়িয়ে দেন। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রমজানে যে একটি নফল কাজ করবে আল্লাহ তাকে একটি ফরজের সওয়াব দান করবেন আর একটি ফরজ আমল করলে ৭০ টি ফরজের সওয়াব দান করবেন । (বায়হাকী শোয়াবুল ঈমান, হাদীস নং ৩৬০৯)। অতএব পবিত্র মাহে রমজানে যাকাত আদায় করলে কমপক্ষে ৭০ গুন সওয়াবের অধিকারী হওয়া যাবে। অনুরূপ রমজানে গরীব অসহায় মানুষকে দানের সওয়াবও অনেক গুন বেশি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে পবিত্র মাহে রমজানে অন্যান্য ইবাদাতের পাশাপাশি যাকাত আদায়সহ গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষকে অধিক পরিমাণে সহযোগিতা করার তাওফিক দান করেন। আমিন। ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ মসজিদে নূরের খতিব মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম সুবহানী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রমজানের শিক্ষা বা অর্জনকে ধরে রাখা আমাদের সকলের জন্য অপরিহার্য। রমজান আসে রমজান চলে যায় কিন্তু আমাদের কোন পরিবর্তন হয় না, কারণ হচ্ছে রমজানকে আমরা ধারণ করতে পারছি না। রমজানের সিয়াম সাধনার দ্বারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের মধ্যে যে গুন তৈরি করতে চান যে সালাহিয়াত তৈরি করতে চান সেটা আমাদেরকে বুঝতে হবে। সেটি হচ্ছে তাকওয়ার গুণ। বস্তুত সকল তালিমাত আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের সমস্ত আহকামাত এবং তালিমাতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের মধ্যে তাকওয়ার গুণ তৈরি করা। খতিব বলেন, সম্পদকে পরিশুদ্ধ করা এবং দারিদ্রতার দূরীকরণের লক্ষ্যে আল্লাহ যাকাত ফরত করেছেন। যাকাত আদায় করলে সম্পদ কমে না বরং সম্পদ আরো বৃদ্ধি পায়। আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আমিরাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হলে কর্মসংস্থান হবে আরো ব্যাপক বাংলাদেশির
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৩৬ কোটি ডলার
৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
ডলার সঙ্কটের মধ্যে ব্যাংক এমডিদের ফুর্তি খরচ ৫৫ হাজার ডলার
পরীক্ষা শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলার মাঠে, বজ্রপাতে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
এনভয় টেক্সটাইলসের এমডি নিয়োগ চ্যালেঞ্জ: অসত্য তথ্য দেয়ায় সালাম মুর্শেদীর স্বজনের করা রিট খারিজ
সাজানো আগুনে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা
নাটকীয়তার পর সিটিই চ্যাম্পিয়ন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: সমালোচনার ঝড়
এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বনানী সেলস অফিস উদ্বোধন করলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী ‘বিধ্বস্ত’ হেলিকপ্টারের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ হয়েছে
'ভুয়া তথ্য' ছড়িয়ে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
এখনও নিখোঁজ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনে নতুন রুট চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইনগুলো
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় সাত জনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন
জাতীয় এসএমই মেলায় সোনালী ব্যাংকের অংশগ্রহণ
বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী