প্রশ্ন : কোনো লোকের নামাজে জানাজায় কেউ যদি লোকটি সম্পর্কে তিনবার প্রশ্ন করে যে, ‘লোকটি কেমন ছিল?’, আর যদি তিনবারই জনগণ উত্তর দেয় যে, ‘লোকটি ভালো ছিল।’ তাহলে নাকি লোকটি জান্নাতি। এর ব্যাখ্যা চাই। কারণ এখানে তো হাক্কুল্লাহ্ ও হাক্কুল ইবাদের ব্যাপার রয়েছে। কেউ যদি তা সঠিকভাবে পালন না করে, তাহলে জনগণের কথায় কেমনে জান্নাতি হয়ে যাবে?

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

উত্তর : জানাজার নামাজে এভাবে প্রশ্ন করা ও জবাব চাওয়া একটি রেওয়াজ মাত্র। এমন করা শরীয়তে নেই। হাদীস শরীফে একটি কথা আছে, বিনা প্রশ্নে বা সাজানো প্রশ্নোত্তর ছাড়া যখন সাধারণ মানুষ একজন ঈমানদার মৃত ব্যক্তিকে ‘তিনি ভালো লোক ছিলেন’ এমন বলাবলি করে, তখন আল্লাহ তাকে সামাজিকভাবে ভালো লোক বলে গণ্য করেন। এর মানে এই নয় যে, মানুষ তার বাইরের রূপ দেখে ভালো বলে দিলো অথচ তার কাছে বান্দার হক রয়ে গেছে। কিংবা আল্লাহর হকও সে অনেক নষ্ট করেছে। ক্ষমালাভ বা ক্ষতিপূরণ করে যায়নি, তখন এ লোকটির ক্ষমা বা শাস্তি তার আমলনামা অনুযায়ীই হওয়ার কথা। মানুষের কথায় বড় কোনো পরিবর্তন হয় না। ভালো লোক সম্পর্কে জনগণ আবারো ‘ভালো ছিলেন’ এমন কথা বলাবলি করলে আলাদা উপকার হয়। আল্লাহর দৃষ্টিতে অপরাধী ও খারাপ লোক হলে লোকে ভালো বললেও কোনো লাভ হবে না। এসবই স্বাভাবিকভাবে ভালো বলার আলোচনা। জানাজায় সাজানো প্রশ্ন ও উত্তর আসলে কিছুই না। অবশ্য এখানে একটি বিষয় থেকে যায় যে, বাংলাদেশের মানুষ সহনীয় পর্যায়ের ঋণ, পাওনা, অসদাচরণ ইত্যাদি কেউ মারা গেলে এমনিতেই ক্ষমা করে দেয়। তারা চায় না, লোকটি আখেরাতে আযাব পাক। এতে মানুষ মনে করে এই ক্ষমার বিনিময়ে আল্লাহ তাদের কেউ ক্ষমা করতে পারেন। এ কারণেই জানাজায় এসব প্রশ্ন উত্তর করা হয়। যদিও শরীয়তে এমন নিয়ম নেই। আল্লাহ তার বান্দাদের সুধারণা, ভয় ও বাঁচার চিন্তা এমনকি আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার টুকটাক বাহানাও অনেকসময় পছন্দ করেন। যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমাও করে দিতে পারেন। অতএব, বিষয়টি নিজে চিন্তা করে বুঝে নিন।
প্রশ্ন : আমার অফিস আমাকে কমিশন দেয়ার কথা বলেও দেয় না। তাই আমি যেদিক থেকে পারছি, টাকা নিয়ে নিচ্ছি। এটা কি জায়েজ হবে? তবে ফেরত দেয়ার হুকুম হলে কিছু টাকা ফেরত দেয়ার সুযোগ থাকবে না, কারণ এসব টাকার মালিক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
উত্তর : আপনার অফিস আপনাকে কিভাবে, কখন, কোন কারণে, কোন হারে কমিশন দিতে চেয়েছিল তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে যদি আপনার কাছে মনে হয়, আপনি সব শর্ত পূরণ করার পরও তারা আপনার কমিশন দিচ্ছে না, তা হলে একটি শর্তে আপনি তা নিজেই নিয়ে নিতে পারবেন। শর্তটি হলোÑ এতে যেন আপনার কমিশন পাওয়ার সকল শর্ত পূরণ হয়ে থাকে। এরপরও কথা থেকে যায়, অফিস যদি ব্যাপারটি জানে, তা হলে তারা এটিকে কিভাবে নেবে? যদি আপনি ন্যায়নীতি ও সততার ওপর থেকে থাকেন, তাহলে তো অফিস জানলেও ন্যায়ত তারা কিছু বলতে পারবে না। এমন হলে আপনার কমিশন নেয়া ঠিক আছে। যদি কোনো বিচারে তা কাউকে ফেরত দেয়ার প্রশ্ন আসে, তা হলে মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে। মালিক হারিয়ে গেলে বা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব হলে তাদের নামে দান করে দিতে হবে। মুসলিম হলে সওয়াব পাবে, অন্য ধর্মের হলে দুনিয়ায় এর বদলা পাবে।


বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পুরুষ মানুষ না থাকায় মহিলাদের বাহিরের সব কাজ করা প্রসঙ্গে?
আকিকার জন্য রাখা ছাগল এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই জবাই করে ফেলা প্রসঙ্গে?
ইশার নামাজের সাথে সাথে বিতির নামাজ না পড়া প্রসঙ্গে?
ইসলাম সম্বন্ধে মোটামুটি ধারনা পাওয়ার জন্য যে সমস্ত কিতাবের সহযোগিতা নেওয়া প্রসঙ্গে।
সাবেক স্বামীর থেকে পাওয়া সোনা-গহনার জাকাত দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরও
X

আরও পড়ুন

বিরলে হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

বিরলে হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৭ ছক্কায় তানজিদের ৫৯ বলে সেঞ্চুরি

৭ ছক্কায় তানজিদের ৫৯ বলে সেঞ্চুরি

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল

বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক : আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক : আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধের দাবিতে চৌদ্দগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল

ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধের দাবিতে চৌদ্দগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল

গোয়ালন্দে ব্যবসায়ীকে হত্যার জন্য পদ্মার চরে নেওয়ার সময় ইজিবাইকসহ ৩জন জনতার হাতে আটক

গোয়ালন্দে ব্যবসায়ীকে হত্যার জন্য পদ্মার চরে নেওয়ার সময় ইজিবাইকসহ ৩জন জনতার হাতে আটক

ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বরখাস্ত

ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বরখাস্ত

কিনশাসায় বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু, উদ্ধার কাজ চলছে

কিনশাসায় বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু, উদ্ধার কাজ চলছে

লৌহজংয়ে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

লৌহজংয়ে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

ইসরায়েলি বর্বরতা রুখে দিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : উপাচার্য

ইসরায়েলি বর্বরতা রুখে দিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : উপাচার্য

এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ারও আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ারও আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

টাঙ্গাইলে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

টাঙ্গাইলে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আশিক চৌধুরী

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আশিক চৌধুরী

গাজার জন্য ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক এলো কোথা থেকে?

গাজার জন্য ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক এলো কোথা থেকে?

বিজিএমইএর খোলা চিঠি, মার্কিন ক্রেতাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

বিজিএমইএর খোলা চিঠি, মার্কিন ক্রেতাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

শেরপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

শেরপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

সদরপুরে দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’র সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল

সদরপুরে দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’র সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল

শেরপুরে বাস ডাকাতির চেষ্টাকালে যাত্রীকে ছুরিকাঘাত

শেরপুরে বাস ডাকাতির চেষ্টাকালে যাত্রীকে ছুরিকাঘাত