জার্মানিতে ইসলামবিদ্বেষের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা
১৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১১ পিএম

জার্মানিতে বাস করা প্রায় ৫৫ লাখ মুসলমানের অনেকেই বলছেন, তারা প্রতিদিন ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামবিদ্বেষের মুখোমুখি হন। জার্মানির এরফুর্টে আহমদিয়া মুসলিমদের একটি মসজিদে মিনার তৈরি হচ্ছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত আছেন এরফুর্ট-রিট এলাকার ডেপুটি মেয়র সুলেমান মালিক। ৩৪ বছর বয়সী সুলেমানের জন্ম পাকিস্তানে। তবে ১৮ বছর ধরে তিনি জার্মানিতে বাস করছেন। সুলেমান জানান, মিনার তৈরির জন্য একটি ক্রেন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কম্পানি পরবর্তী সময়ে বর্ণবাদ, ডানপন্থী মৌলবাদ ও ইসলামোফোবিয়ার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় কাজ থেকে সরে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত একটি কম্পানি কাজ করতে রাজি হয়। তবে নির্মাণকাজের ছবি বা ভিডিও ধারণ করা যাবে না বলে তারা শর্ত দিয়েছিল। মসজিদ এলাকায় শূকরের মরদেহ ছুড়ে মারার মতো ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান সুলেমান। এ ছাড়া গাড়ি করে নির্মাণকাজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জানালা খুলে চিৎকার করে গালি দেওয়া, রাস্তার অপর পাশে ‘ক্যাথলিক প্রার্থনার’ নামে ‘বিক্ষোভকারীদের’ জড়ো হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। মিনার নির্মাণকাজের প্রতি সমর্থন জানানোয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই উপহাস করা হয়। জার্মানির সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া আছে। তবে ‘জার্মান কাউন্সিল অব এক্সপার্ট অন ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড মাইগ্রেশনের’ সবশেষ জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ১৫ হাজার উত্তরদাতার এক-তৃতীয়াংশ থেকে শুরু করে অর্ধেক উত্তরদাতা মুসলমানবিরোধী ও ইসলামবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহে জার্মানির কোথাও না কোথাও মুসজিদে গ্রাফিতি এঁকে দেওয়া কিংবা মসজিদের ক্ষতি করার ঘটনা ঘটছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানির হেসে রাজ্য ৪৩ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ একটি শিশা বার, বার ও কিয়স্কে হামলা চালিয়ে ৯ জনকে হত্যা করেছিল। জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমের মহাসচিব আব্দাসসামাদ আল ইয়াজিদি বলেছেন, ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামবিদ্বেষ বিষয়টি জার্মান সমাজের মূলধারায় ঢুকে গেছে। অর্থাৎ এটি অনেকটা গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে, যা প্রকাশ্যে প্রকাশ করা যায় বলে মনে করেন তিনি। ইয়াজিদি জানান, তিনি জার্মানিতে মুসলমানদের বিষয় দেখাশোনা করার জন্য একজন কমিশনার নিয়োগ দিতে জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ইহুদিদের দেখাশোনা করাসহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য জার্মানিতে প্রায় ৩৫ জন কমিশনার আছেন। ‘কিন্তু কপট যুক্তি দেখিয়ে মুসলমানদের জন্য কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।’ মানুষ স্বীকার করতে চায় না যে সমাজে মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ সমস্যা রয়েছে এবং ‘মুসলমানরা এটি অনুভব করে।’ অন্যান্য দেশে এমন কর্মকর্তা আছেন। যেমন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত জানুয়ারিতে ইসলামবিদ্বেষ ঠেকানোর জন্য প্রথমবারের মতো একজন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৫ সালে মুসলিমবিরোধিতা ঠেকানোর জন্য একজন সমন্বয়কারীর পদ তৈরি করে। ডিডব্লিউ।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রাঙা সকালে শাবনাজের না বলা কথা

জে-হোপের সুইট ড্রিমস

ঈদে চ্যানেল অইতে ৭ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার

বিশাল আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে জেমসের কনসার্ট

অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্ব মুক্তি পাবে ১৯ ডিসেম্বর

মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে রুল

কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরির চেষ্টা করছে : মির্জা আব্বাস

জুলাই-আগস্টে ঢাবি ক্যাম্পাসে সহিংস ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ভিসির কাছে হস্তান্তর

বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাক্বওয়ার শিক্ষা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে Ñজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন উপসচিব রেজাউল করিম

চার্চের শিক্ষক সুব্রত বৈদ্য হত্যায় সব আসামি খালাস

জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে কর্মবিরতি

আছিয়ার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাজনক : ইউট্যাব

সংস্কার সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ দল, ১৬ দল সময় চেয়েছে

ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সুপারভাইজার সমিতি গঠিত

রামপালে অবাধে চলছে ঘের দখল ও চাঁদাবাজি

মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার

সুন্দরবনের কাঠসহ ১০ চোরাকারবারী আটক

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন

নোবিপ্রবিতে ৮০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন উদ্বোধন