আমাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না
০৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩ এএম

দুদিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী শিবির। সবকিছু হারিয়ে হাহাকার বাসিন্দাদের। তবে কঠিন এ পরিস্থিতিতেও ভেঙে পরেননি সেখানকার উদ্বাস্তুরা। ইসরাইলকে উদ্দেশ্য করে দৃঢ় কণ্ঠে জানান দিয়েছেন, ‘তারা আমাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না এবং আমাদের ভয় দেখাতেও অক্ষম।’ বুধবার আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জেনিন শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা আনাম আওয়াদ (৪৮)। আকস্মিক হামলায় জেনিন পশ্চিম তীরে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, গাড়িসহ স্থানীয় অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী জেনিন বাসিন্দা ওয়ালেদ মনসুর বলেন, ‘তারা (ইসরাইলরা) আমাদের বাড়ি এসেছিল। আমাদের দরজা উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের কুকুরকেও আমার দিকে লেলিয়ে দিয়েছে। সেটি আমার বুকে উঠে আমাকে আক্রমণ করেছে।’ ইসরাইলি হামলার স্বীকার আরেক জেনিন বাসিন্দা মোহাম্মদ তালেব (৩৯) জানান, ‘তাদের মিসাইল আমার গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছে। আমি প্রতিদিন কাজে যেতে এই গাড়ি ব্যবহার করতাম। আমরা এ ধ্বংস আশা করিনি। তাদের লক্ষ্য হলো শুধু ধ্বংস এবং ধ্বংস করা।’ ৪৬ বছর বয়সী আয়মান সাদী বলেন, ‘তারা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তারা সন্ত্রাসবাদীদের দমনে এসেছিলেন কিন্তু তার পরিবর্তে তারা জনগণকে শাস্তি দিয়ে গেছেন।’ ইসরাইলের দুইদিনের সামরিক অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেনিনের শত শত বাড়ি। হাজার হাজার ফিলিস্তিনির বাস জেনিনের শরণার্থী শিবিরে। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনীর তা-বে এই শিবির ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। দেয়ালে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য গাড়ি। চারদিকেই দেখা যাচ্ছে দেয়ালের টুকরা, কাচ ও বুলেটের খোসা। বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাদের চলে যাওয়ার পর শিবিরে ফিরতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা। দুইদিনের ওই অভিযানে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। এক ইসরাইলি সেনারও মৃত্যু হয় পাল্টা আক্রমণে। জেনিন থেকে সরে আসলেও এখন গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরাইল। সেখানে বিমান থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে। ইসরাইলের দাবি, হামাসের রকেট হামলার জবাবেই এই বিমান হামলা চলছে। বুধবার গাজা থেকে ছোড়া পাঁচটি মিসাইল ধ্বংস করে দেয় ইসরাইল। কোন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এসব রকেট হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, হামাস ব্যবহার করতো এমন একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্র তৈরির কারখানা তারা জেট বিমান থেকে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। এর আগে ইসরাইলের রাজধানী তেল-আবিবে ছুরি হামলা চালিয়ে সাত জনকে আহত করে এক হামাস সদস্য। তবে পরে এক ইসরাইলি বেসামরিকের গুলিতে সে নিহত হয়। এদিকে নিহত ফিলিস্তিনিদের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন। আয়োজন করা হয় শোক মিছিলেরও। ফিলিস্তিনি নেতারা অভিযোগ করেছেন ইসরাইল জেনিনে আগ্রাসন চালিয়েছে। উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল টুইটারে একের পর এক পোস্ট করে ইসরাইলি বর্বরতা থামানোর আহ্বান জানিয়েছে। আর-জাজিরা, বিবিসি।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা

তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পলিসি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাইলট প্রকল্প

বিশিষ্টজনদের সম্মানে 'কমলনগর প্রেসক্লাবের' ইফতার

নাঙ্গলকোটে পুকুরে ডুবে খালাতো ২ ভাই-বোনের মৃত্যু

শিক্ষক নিবন্ধনে নারী কোটা

নিরাপদ প্রসবের জন্য নগর মাতৃসদন

বিএনপি কেন মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার?

ভারত থেকে কয়লা আমদানিতে শুভঙ্করের ফাঁকি

কবিতা

আশুলিয়ায় অসহায়-দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

বাসের টিকিট ও মফিজের ভাবনা

যোগাযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘিরে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন কবির আহমেদ ভূইয়া

বাংলা কবিতায় ঈদের আনন্দ ও বিষাদ

২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু পারাপার হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার যানবাহন

৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল এক মাস

টানা ছুটিতেও স্থবির হবে না অর্থনীতি : অর্থ উপদেষ্টা

আরো চার প্রসিকিউটর নিয়োগ

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শাফিউজ্জামান এর যোগদান

শ্রমিকদের পাওনা মেটাতে ৩ কারখানাকে সোয়া ১২ কোটি টাকা দিলো সরকার