ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

খুনীর আংটি

Daily Inqilab আহমদ রাজু

৩০ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৯ পিএম

মামাবাড়ি প্রথম কবে গিয়েছিলাম তা ভাল করে মনে নেই। তবে মামারা যে আমাকে ভালবাসে না তা নয়। ভালবাসে। প্রচ- বেশি ভালবাসে। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, সে ভালবাসার মাঝে একটা ফারাক রয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারিনা সে ফারাকটা কিসের এবং কেন। মা মারা যাবার পর বড় মামীই আমাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করছে- করে চলেছে। মা যেদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় তখন আমার বয়স নাকি চার মাস তেরো দিন। মামী বলেছে, কি না কি কারণে আমার মায়ের সাথে বাবার কথা কাটাকাটি হয়। রাগের মাথায় বাবা মাকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলেছিল। বিচারে বাবার যাবৎজীবন সাজা হয়েছিল। সে সাজা আজো খেটে চলেছে। বাবার প্রতি আমার এক সমুদ্র ঘৃণার জন্যে তার সাথে কোনদিন দেখা পর্যন্ত করিনি- করতে ইচ্ছা হয়নি। সে অনেকবার আমার মুখটা অন্তত একবার দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমিই রাজি হইনি। যে আমার মাকে খুন করেছে তার মুখও আমি দেখতে চাইনা।

সরকারী চাকুরীর সুবাদে বড় মামা ছিলুমবাড়িয়া গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছে মা খুন হবার কিছুদিন পর। গ্রামে এখন থাকে সেজো আর ছোট মামা। মেঝো মামা দশ এগারো বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল; আর ফিরে আসেনি। শুনেছি সেখানে নাকি বিয়েও করেছে। দেশে আর ফিরবে বলে মনে হয় না। তার সাথে দু’একবার ফোনে কথা হয়েছে। কেমন আমি- এখন পড়াশুনা কেমন চলছে এর বেশি কিছু নয়। সেঝে আর ছোট মামা আমাকে বেশি ভালবাসে। যখন শহরে আসে তখন গ্রাম থেকে আম, লিচু, পেয়ারা বস্তা ভরে নিয়ে আসে আমাদের জন্যে ।

যখন বড় মামার বাসায় থাকতাম তখন তাদের সাথে বছরে দু’চার বার দেখা হতো। ক্লাস সিক্স-এ ওঠার পর কেন জানি অদৃশ্য কারণে মামা আমাকে একদিন ডেকে বললেন, ‘স্কুলটা বেশ দূরে; তাছাড়া আমি সারাদিন ব্যস্ত থাকি...’ মামা একটু থেমে বললেন, ‘কী করে যে কথাটা তোকে বলি?’ আমি মামাকে বললাম, ‘কি হয়েছে মামা? কোন সমস্যা?’

মামা আমতা আমতা করে বললেন, ‘তুই যদি আবার বিষয়টাকে অন্য ভাবে নিস?’ আমার বয়স সবেমাত্র দশ। সবকিছু হয়তো সঠিকভাবে বুঝতে নাও পারি। তবে আমার বয়সকে উপেক্ষা করে মামা আমার সামনে কঠিন সত্যটা বলতে দ্বিধাবোধ করছে দেখে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। বললাম, ‘বলোনা মামা কী হয়েছে?’ ‘হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করতে পারবি?’

‘হোস্টেল কি মামা?’ বোকার মতো প্রশ্ন করি মামাকে। আসলে হোস্টেল সম্পর্কে তখন কিছুই জানতাম না। ‘বাড়ির মতোই। সেখানে থেকে পড়াশুনা করতে হয়। শুধুমাত্র স্কুল লম্বা ছুটি দিলেই বাড়ি আসা যায়।’

মামার জমজ দুই ছেলে। তারা আমার দুই বছরের ছোট। বুঝতে পারছিলাম মামা-মামী আমাকে বোঝা মনে করে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে। তবে আমি এও জানতাম, আমার মা নেই; আর বাবা থেকেও নেই। তাইতো কোন আগে পিছে না ভেবে সেদিন রাজি হয়েছিলাম। সবকিছু না বুঝলেও এটুকু অন্তত বুঝতে পেরেছিলাম আমার জন্যে তাদের সংসারে অশান্তি আসতে শুরু করেছে। পরদিনই মামা আমাকে হোস্টেলে রেখে আসেন। আমি মনে মনে মাস খানেক খুব কেঁদেছিলাম। যে কান্নার আওয়াজ মামা-মামীর কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। শুনেছিল শুধুমাত্র আমার সহপাঠীরা; যারা আমাকে চিনতে শিখেছিল- জানতে শিখেছিল।
ক্লাস সেভেন পার হয়ে এইটে উঠেছি এবছর। মামা মাঝে মাঝে হোস্টেলে আমাকে দেখতে এলেও মামী কোনদিন আসেনি। তাতে আমি কষ্ট পাই না। বাড়ি তার কত কাজ! বাড়ির সব কাজ তাকেইতো সামলাতে হয় তা আমি ভাল করেই জানি। মামী আমার খোঁজ খবর না রাখলেও মামা রাখে এর চেয়ে বেশি আমার চাওয়া নয়। একদিনের বেশি ছুটি হলেই মামার বাসায় যাই। মামাতো ভাইদের সাথে আড্ডা দিই। তখন সময় কিভাবে পার হয় বুঝতেই পারিনা। অথচ স্কুলে আমার যেন সময়ই কাটতে চায় না। মামী আমার সাথে আগের মতো কথা বলে না। কেন বলে না জানিনা। তার কাছে কখনও জানতে চাইনি, ‘আমি কি কোন অপরাধ করেছি মামী? নিজের ছেলের মতো আমাকে যেভাবে ভালবাসতে-আদর করতে, মুখে তুলে খাওয়াতে; কই এখনতো তার কিছুই নেই?’
মাঝে মাঝে মায়ের কথা বড় বেশি মনে পড়ে। তাঁর মুখটা আমার মনে নেই। তবে মনের মাঝে তাঁর মুখটা আমি এঁকে রেখেছি অত্যন্ত স্বচ্ছতায়। ইদানিং প্রায় রাতে স্বপ্নে দেখি মাকে। সাদা শাড়ী পরা মা আমাকে ছুঁতে যায়। পারে না। দূরে একটা ভাঙা মন্দিরে দাঁড়িয়ে থেকে অপলক তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। কিছু একটা বলতে চাইলেও তাঁর কথা আমার কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মাকে মনে হয় যোজন যোজন দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি মা মা বলে চিৎকার করি। অথচ কোন এক অদৃশ্য শক্তি আমার মুখ থেকে শব্দ বের হতে দেয় না। ঘুম ভেঙে গেলে অঝোর ধারায় কাঁদি। মামা বাড়ি থাকলে মামা-মামী আর হোস্টেলে থাকলে সহপাঠীরা উঠে এসে জিজ্ঞাসা করে, ‘কি হয়েছে?’ কাউকে কিছু বলি না। স্বপ্নের কথা বলে দিলে যদি মা আর না আসে।

প্রতি রাতে অপেক্ষায় থাকি মায়ের। কখন আসবে মা। যখন চোখে ঘুম জুড়ে আসে তখন প্রতিক্ষিত মা আসে নিঃশব্দে। সেভাবে ভাঙা মন্দিরের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছু একটা বলতে চায়। বরাবরের মতো তাঁর কথা আমার কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। ঘুম ভেঙে গেলে আমি কাঁদি- কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাই। মায়ের আগমনে বাবার প্রতি আমার ঘৃণা অনেকংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে, কী অপরাধ করেছিলাম আমি? আমাকে মা হারা করলেন কেন? আমাকে এতিম করে- মায়ের ¯েœহ মমতা থেকে বঞ্চিত করে কী সুখ পেয়েছেন আপনি। আপনাকে আমি ঘৃণা করি, খুব ঘৃণা করি।

গ্রীষ্মের ছুটি। একমাস স্কুল বন্ধ। স্কুল থেকে যখন মামার বাসায় পৌঁছাই তখন বিকাল পাঁচটা। মামা কিছ্ক্ষুণ আগে অফিস থেকে ফিরেছেন। আমাকে দেখে বললেন ‘কী ব্যাপার অমিও একদম বাড়িতে? স্কুল কী বন্ধ?’ আমি বললাম, ‘হ্যা মামা; গ্রীষ্মের ছুটি দিয়েছে’।

‘কয়দিন ছুটি?’
‘এক মাস মামা।’
‘তাহলেতো রুমোন-সুমনের স্কুলও ছুটি।’
‘তা জানিনা; হতে পারে।’
‘হতে পারে কি? অবশ্যই হবে। যেহেতু একই সিলেবাজ....।’
আমাদের কথার ভেতরে রুমোন- সুমন ছুটে আসে। সুমন বলল, ‘অমিও ভাইয়া তোমারও স্কুল ছুটি?’
আমি সম্মতিসূচক মাথা নাড়িয়ে বলি, ‘হ্যাঁ; এক মাস।’ রুমোন বলল, ‘কী এমন ছুটি তোমার! আমাদের চেয়েতো বেশি না।’
আমি চোখ কপালে তুলে প্রশ্ন করলাম, ‘কেন তোমাদের কয়দিন দিয়েছে?’

রুমোন আমার কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল, ‘আমাদেরও এক মাস।’ সবার স্কুল ছুটি একসাথে হয়েছে জেনে আমাদের মনে আনন্দ আর ধরে না। এই আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে মামা বললেন, ‘সবার ছুটি যখন একসাথে তাহলে একটা কাজ করলে কেমন হয়?’ আমরা সমস্বরে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী কাজ?’

‘ছিলুমবাড়িয়া গেলে কেমন হয়?’ মামার প্রস্তাবে আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠি আমরা। আমরা সবাই একসাথে বললাম, ‘অবশ্যই যাবো আমরা।’ আসলে মামার এই প্রস্তাব সময়োপযোগী। অনেকদিন গ্রামে যাওয়া হয়নি। ‘কবে যাচ্ছি আমরা মামা?’ মামাকে প্রশ্ন করি। মামা একটু ভেবে বললেন, ‘আমি অফিসে আগেই বলে রেখেছিলাম ছুটির কথা। কাল যেয়ে দেখি ক’দিনের ছুটি পাই। তাছাড়া তোর মামীর সাথে কথা বলতে হবে; সে কবে যেতে চায়।’

আমার বিশ্বাস গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে মামী আপত্তি করবে না। আগে মাঝে মাঝে মামাকে বলতো গ্রামে বেড়াতে যেতে; মামা-ই রাজী হতো না। রাজশাহী থেকে ট্রেনে যখন যশোর এসে পৌঁছালাম তখন বিকাল সাড়ে পাঁচটা। প্লাটফরমে নামার পর আমার নাকে জন্মভূমির একটা গন্ধ এসে লাগে। এই ষ্টেশনে এর আগে কোনদিন এসেছি বলে মনে না পড়লেও মনে হয় অনেক দিনের চেনা। চারিদিকে একনজর চোখ রাখতেই দেখি দূরে দাঁড়িয়ে আছে মা; তার কোলে আমি। সে আমাকে দেখছে অপলক। একটা ব্যাপার আমার চোখ এড়ায় না। এতদিন দেখেছি কখনো মায়ের চোখে জল, কখনো করুণ মুখ। কিন্তু আজই প্রথম দেখলাম তার মুখে হাসির রেখা। আমি বুঝতে পারি না মায়ের মুখে এ হাসির রহস্য। আর তিন মাসের আমিইবা তার কোলে কেন? মনে মনে ভয়ের সঞ্চার হলেও নিজেকে সামলে নিই। আর যাই হোক সে আমার কোন ক্ষতি করবে না। কারণ সে আমার মা-তার নয়নের আলো আমি। আমার অস্বাভাবিকতা মামার চোখ এড়ায় না। কাছে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘অমিও কিছু ভাবছিস?’ মামার কথায় আমি সম্বিৎ ফিরে পাই। বললাম, ‘মামা একটা প্রশ্ন করি?’ (অসমাপ্ত)


বিভাগ : সাহিত্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা