ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গ্রন্থ ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’
০৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৬ এএম
নন্দিত রাজনীতিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিএনপি›র স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ নামে নতুন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থটি কিংবদন্তি রাজনীতিক ড. মোশাররফের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের একটি প্রামাণ্য দলিল। লেখক গ্রন্থটিতে ‘১৯৭৮ থেকে ২০২২’ রাজনীতির ৪৪ বছরের ‘দিনলিপি’ বিশদভাবে উপস্থাপন করেছেন।
গত ১৫ মার্চ, ২০২৩ জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ গ্রন্থটি বর্ণাঢ্য প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ্ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৯৭৮ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করতে টিএসসি’তে যান। ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের গোলাপি গ্রুপের সদস্য সচিব তরুণ শিক্ষক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যা ও সংকট, ডাকসু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা এবং সামরিক আইন প্রত্যাহার বিষয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার দৃষ্টি কেড়ে নেন। ১৯৭৯ সালের ১৪ জানুয়ারী শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহবান ও তাঁর অনুপম আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বিএনপির প্রথম জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ১৯৭৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি, ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত দলের যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ থেকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. মোশাররফ সুদীর্ঘ সময়ের রাজনীতিতে কখনো বিরোধী দল, কখনো সরকারি দলের রাজনীতি করেছেন। তিনি সরকারি দলের রাজনীতিতে যেমন দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন, তেমনিভাবে বিরোধী দলে থেকেও জনগণের স্বার্থরক্ষায় জাতীয় সংসদ এবং রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এখনও তিনি প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অত্যন্ত সোচ্চার ভূমিকা রাখছেন। ড. মোশাররফ দেশ ও জনগণের স্বার্থরক্ষার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে গিয়ে ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিনের জরুরি আইনের সরকারসহ বিভিন্ন সরকারের রোষানলে পড়েন। বারবার তিনি জেল-জুলুম, নির্যাতন ও প্রচুর মিথ্যা মামলার শিকার হন। বিভিন্ন সরকারের সময়ে তিনি প্রায় ৬ বছর কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। এরপরেও তিনি থেমে থাকেননি। কখনো কোন অপশক্তির সাথে আপোষ করেননি, মাথা নত করেননি। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা-২ (দাউদকান্দি) আসন থেকে ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী, ১৯৯৬ সালে স্বল্প মেয়াদে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ গ্রন্থে লেখক ড. মোশাররফ অতিনিখুঁতভাবে সময় ও তারিখ উল্লেখ করে রাজনীতিতে ৪৪ বছরের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের অম্লমধুর তথ্য অকপটে তুলে ধরেছেন। এতে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, উন্নয়ন, মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম কিছুই বাদ যায়নি। গ্রন্থটি রাজনীতির ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং তথ্য ভান্ডার। লেখকের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও শ্রমের ফসল। গ্রন্থের প্রতিটি পাতায় লেখকের সদিচ্ছা, অধ্যবসায় ও মুন্সীয়ানার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। গ্রন্থে উঠে এসেছে রাজনীতিতে সরকার ও বিরোধী দলের কর্মকান্ডের আদ্যোপান্ত। বই আকারে এমন প্রকাশনা বিরল। লেখক বলেন, রাজনীতির ৪৪ বছরের ঘটনাবলীর রোজনামচা পাঠকদের বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারলেই আমার এই পরিশ্রম সফল হবে বলে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস গ্রন্থটি প্রিয় পাঠক পাঠিকার কাছে সাদরে সমাদৃত হবে। ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৯৪৬ সালের ১অক্টোবর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনন্যা ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে। এর মূল্য- ৮০০/০০ (আটশত) টাকা মাত্র। এর আগে ড. খন্দকার মোশাররফের লেখা ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ‘মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসীদের অবদান’, ‘প্লাবণ ভূমিতে মৎস্য চাষ: দাউদকান্দি মডেল’, ‘সংসদে কথা বলা যায়’, ‘এই সময়ের কিছু কথা’, ‘ফখরুদ্দিন- মইন উদ্দিনের কারাগারে ৬১৬ দিন’, ‘রাজনীতির হালচাল’, ‘সময়ের ভাবনা’, ‘জরুরী আইনের সরকারের দুই বছর (২০০৭ ও ২০০৮)’ ‘মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খ-চিত্র’, ‘প্রগতি ও সত্যের সন্ধানে’, ‘করোনাকালে বাংলাদেশ’, ‘স্মৃতির অ্যালবাম’ ও ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
উত্তরা ক্লাবের নতুন সভাপতি ফয়সল তাহের
গজারিয়ায় বিএনপি নেতার শীত বস্ত্র বিতরণ
টাঙ্গাইলে মহাসড়কে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ইসির প্রস্তুতি
গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
দোয়ারাবাজারে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সচিবালয়ে আগুন পরিকল্পিত: প্রকৌশলী ইকরামুল খান
সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে আটকা পড়েছেন ৭১ পর্যটক
জকিগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতির লক্ষে ইসিফোরজে’র প্রি-ওয়ার্কশপ
উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি গঠন, ৩ কর্মদিবসে প্রাথমিক প্রতিবেদন
ব্রাহ্মণপাড়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা
কালীগঞ্জে পুকুর থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিবন্ধন চূড়ান্ত: হজযাত্রী ৮৩ হাজার ২৪২ জন
হল্যান্ডের পেনাল্টি মিস,বিবর্ণ সিটি ফের হারাল পয়েন্ট
শরীফ থেকে শরীফার গল্প বাতিল করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিসিএ নির্বাচন সম্পন্ন: মিজান সভাপতি, মতিন সম্পাদক
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৩
বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী: শাহজাহান চৌধুরী
সচিবালয়ে আগুন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করলো এবি পার্টি