কবিতার মাধ্যমে মানুষের সফলতা ও ব্যর্থতা এক কাল থেকে অন্য কালে মানুষ বয়ে নিয়ে যেতো। এখন তার সম্পূর্ণ দরকার ফুরিয়েছে। তাই কবিতা হয়ে উঠছে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আমরা বাংলা কবিতা থেকে যদি দুএকটি উদাহরণ দেই, তবে এই প্রস্তাবনার পক্ষে যুক্তি দেয়া যাবে - তাতে যেমন ঢ়চর্যাপদের যে যৎসামান্য উদাহরণ আমাদের কাছে আছে তাতে আমরা দেখতে পাই এসব কবিতার মধ্যে কবির ব্যক্তিগত কোনো আকাঙ্খার স্থান নাই। কবিতা গুলো মূলত মানুষ যখন মহা সংঘের সংগে সংযোগ স্হাপনই ছিল এই কবিতা গুলোর মূল আকাঙ্খা।
এসব কবিতায় যা বণিত হয়েছে তাতে ব্যক্তি মানুষের কোনো ব্যাথা বেদনার স্থান পায়নি।

তবু কবিতা এখনো জয়ী। মানুষের সমাজ যে এখনো রোবটরা দখল করে নেই নি তা জানতে হলে দেখতে হবে এখনো কেউ কেউ কবিতা লিখেছেন কি না ।

অবশ্য ই সেই কবিতার ছন্দ, শব্দ ও বাক্যর বিন্যাস কম্পিউটারের গনন যন্ত্র দিয়ে মাপা নয়। সেই কবিতা সুযোগ পেলেই এলোমেলো করে দেবে নিশ্চিত সব ভালো থাকা। সেই কবিতা হবে নিজের বিরুদ্ধে নিজের লড়াই। প্রথাগত ছন্দ ও অলংকার ; গদ্য ও মিশ্র- কবিতার বাইরের লোকজনের কবিতা নিয়ে কথা বলার দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এখন কবিতা মানে চিন্তা : চিন্তা মানে উপলব্ধি আর সে উপলব্ধি যে ভাবেই প্রকাশ করা হোক না কেন কবিতা ছাড়া যার অন্য কোন নাম নেই।

কবি কামরুন নাহার শিখা কাব্য গ্রন্থ ধুলো কাব্য গ্রন্থ টি তাঁর হাত থেকেই সংগ্রহ করেছি চলতি বছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে, ধুলো কাব্য গ্রন্থ টি প্রথম এক সপ্তাহে পড়া শেষ করলাম কিন্তু আলোচনা লেখার জন্য প্রস্তুতি ছিল না তো দীর্ঘ সময় বিরতি নিয়ে পুনরায় পাঠ করলাম ধুলো কাব্য কবি কামরুন নাহার শিখা র শিকড় নিবাস আমার উপজেলা মেলান্দহ । তিনি মূলত একজন মানুষ গড়ার কারিগর স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি লেখালেখি করেন। গ্রন্থ টি তে ৬৩ টি কবিতা রয়েছে সব কবিতা ভালো না হলেও কিছু কবিতা পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আসলে কবিতা সব ভালো র প্রয়োজন নেই । পাঠকের হৃদয়ে যদি একটা দু টা কবিতা গেঁথে যায়। তবেই কবির পরম শান্তি বা তৃপ্তি। সম্ভবত কবিতা গুলো রচনা করেছেন মহামারী করোনা কালীন সময়ে, প্রভু, তুমি মঙ্গলময়, আজ আমরা বিশ্ববাসী তোমার অকৃপণ কৃপায় অধীর প্রতীক্ষায় আছি।
কবি কামরুন নাহার শিখা র কাব্য গ্রন্থ টি তে কিশোর কবিতা আবার মধ্য বয়সের কবিতা কখনো সবার জন্য ই কবিতা , শরৎ, আষাঢ় শ্রাবণ , শীত, বর্ষা, সব ঋতুর কবিতার মুন্সিয়ানায় দেখিয়েছেন কিছু কবিতা ছন্দের । আবার গদ্য কবিতা ধুলো কাব্য গ্রন্থ টি এমন হয়েছে গ্রামে হাট বাজারে পাঁচ মিশালি মাছ পাওয়া যায়। দাম কিন্তু সস্তা না চড়া মূল্য ।

যে মাছের কাঁটা বেশি সে মাছ স্বাদ ও বেশি । কবিতা গুলো দারুণ আয়োজন হয়েছে স্বাধীনতার কবিতা , একুশের কবিতা, নিজের ৪২ বসন্ত পার করেছেন তাঁর নিজের কবিতা, যা হোক কবি কামরুন নাহার শিখা আপনাকে কিঞ্চিৎ পরামর্শ দিচ্ছি । কবিতা বেশি বেশি পাঠ করুন কিছু জড়তা আছে ওগুলো ঠিক হয়ে যাবে,
তবে আপনার কবিতার প্লট গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আগামীতে আরো বেশি ভালো কবিতা চাই
কবিতার জয় হোক ।
কবিতা এমন একটা শব্দ এই শব্দ টি শুনলেই কেমন যেন আমি হয়ে যাই,
নিজেকে সামলাতে পারি না। বার বার পাঠ করি কবিতা কবিতা কবিতা। পাঠ্য বই পড়াকালে লুকিয়ে যে বই টি আমি বেশি বেশি পাঠ করেছি
তার নাম কবিতা। ধুলো কাব্য