ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
পূর্বে প্রকাশিতের পর

কল্লোল যুগের পরে ‘অগ্রগতি’-র কথা

Daily Inqilab ইসরাইল খান

১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

বলেছিলাম, অনেক টাকা খরচ, অনেক লোক চাই, অনেক পরিশ্রম। সুভো বলল, বাবা টাকা দিতে রাজি হয়েছেন, টাকা থাকলে আবার ভাবনা কি। তবু তার বাবার সঙ্গে একদিন আলোচনা করলাম। সাপ্তাহিক ‘অগ্রগতির জন্য তোড়জোড় পুরোদমে চলতে লাগল। ভবিষ্যতের প্রধান লেখক হিসাবে সুভো ঠাকুর ঠিক করল আমাকেই সেটির সম্পাদনা করতে হবে। ছাপাখানাটা বড় করল, এবং আমাকে সাহায্য করাবার ব্যাপারে একজন সহকারী সম্পাদকের জন্য বিজ্ঞাপন দিল। একদিন বিকেলে সুকিয়া স্ট্রিটে ছাপাখানায় গিয়ে দেখি এক দীর্ঘাকৃতি ব্যক্তি বসে আছে......বিরাম মুখোপাধ্যায়।...সুভোর সঙ্গে তাঁর আগে আলাপ ছিল। আমাদের পছন্দ হল এবং তাকেই দলে নেওয়া হল। বিরাম অগ্রগতির শেষ সংখ্যা পর্যন্ত পরিশ্রম করে গেছে........

“সুভো পত্রিকাটির জন্যে এত বেশি বিজ্ঞাপনের ঢাক পেটাতে লাগল যে যখন প্রথম সংখ্যা বের হল তখন এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটল। .......... আমরা দু’ হাজার কপি ছেপেছিলাম। তিনদিনের মধ্যে তা নিঃশেষ হয়ে গেল। তখনও হকাররা কাগজ চাইতে আসছে। তাই তাড়াতাড়ি রাত জেগে প্রথম সংখ্যার দ্বিতীয় সংস্করণ করতে হল।

“প্রথম সংখ্যার এই আশাতীত সাফল্যের পর পরপর কতকগুলি ঘটনা ঘটে গেল। ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা গেলেন। শ্রাদ্ধ শেষ হলে সুভো হাতে টাকা পেয়ে স্থির করল ইংল্যান্ড ঘুরে আসবে। তার ছোট ভাই বাসব পিতা বেঁচে থাকতেই ইংল্যান্ড গেছল ছবি আঁকা শিখতে। তখন খুবই দ্বিধা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলাম। সুভো কবে ফিরবে স্থির ছিল না। প্রথম সংখ্যার সেই অসামান্য সাফল্যের পরই কি ‘অগ্রগতির প্রকাশ বন্ধ করে দিতে হবে? অথচ আমার নামটা সম্পাদক হিসাবে ছাপা হয়ে গেছল। তখন আমার হাতেও প্রচুর টাকা এসে গেল। আমার দাদামশাইয়ের মৃত্যুতে অনেক টাকা পেলাম, তিনিই আমাকে মানুষ করেছিলেন। তাছাড়া আমার স্বর্গগত পিতার টাকা ও সম্পত্তি তো ছিলই। সাহিত্য করতে গিয়ে নিজের ভবিষ্যৎকে বিপদগ্রস্ত করব? দ্বিধায় পড়ে গেলাম।

“সুভো বলল, প্রেসটা নামেমাত্র টাকায় তোমায় দিয়ে দিচ্ছি, কাগজটার মালিকানাও দিচ্ছি। কয়েকমাস চালিয়ে দেখ। না চললে বন্ধ করে দিও। যদি চলে বিলেত থেকে ফিরে এসে আবার আমি তোমাকে সাহায্য করব। তাই স্থির করলাম। সুভো চলে গেল। হেদুয়ার কাছে মদনমিত্র লেনে এক দোতলা বাড়িতে প্রেস ও কার্যালয় তুলে নিয়ে গেলাম। ‘অগ্রগতি’ প্রকাশিত হতে লাগল এবং অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করল, হুইলার কোম্পানীর মারফত সমগ্র ভারতের সবস্টেশনে তো বিলি হতই, পশ্চিমে বোম্বাই, লাহোর, দিল্লি প্রভৃতি শহর থেকে পূর্বে ঢাকা, সিলেট, শিলচর প্রভৃতি সর্বত্রই আমাদের বিক্রির এজেন্ট ছিল। কলকাতায় ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকা বিক্রয়ের সোল-এজেন্ট। তাকে তুষারকান্তি ঘোষই ভার দিয়ে দিলেন। তুষারবাবু আমাদের খুবই স্নেহ করতেন। আমাদের অনেক বিশেষ সংখ্যার বিজ্ঞাপন তাঁর পত্রিকায় বিনামূল্যে বেরিয়েছে।”

আশু চট্টোপাধ্যায় আরও লিখেছেন “.... তখন অন্যান্য সাপ্তাহিকগুলি প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হল। সেগুলিতে থাকতো সিনেমা আর রান্নাঘরের খবর আর একটা করে গল্প। অগ্রগতির প্রতিসংখ্যায় থাকত দুটি গল্প। তার মধ্যে একটি হাসির; দুটি প্রবন্ধ, একটি সচিত্র এবং অপরটি চিন্তাগর্ভ। তাছাড়া থাকত নিয়মিত বিভাগ। খেলাধু লা ও সিনেমা ছাড়াও শিক্ষাজগৎ, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি কর্পোরেশনের কার্যাবলী নিয়েও নিয়মিত লেখা হত। সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছিল চলতি বিভাগটি, তাতে তৎকালীন পত্রপত্রিকা, সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের নিয়ে রসিকতার মধ্য দিয়ে কটাক্ষপাত করা হত। এই বিভাগটির জন্যেই পরে সজনীকান্ত দাস পত্রিকাটির নাম দিয়েছিলেন হুলো অগ্রগতি। হয়ত ‘চলতি’র হুলের জ্বালা তাঁর পক্ষেও অসহ্য হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ থেকে আরম্ভ করে প্রায় সব লেখকদের নিয়ে আলোচনা হত। রবীন্দ্রনাথ রাগ করেন নি, কারণ তাঁর সম্পাদিত ‘বাঙলাকাব্য পরিচয় নামে কবিতা সংকলনে আমাদের গোষ্ঠীর প্রায় সকলের কবিতাকেই তিনি স্থান দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত সেক্রেটারি অনিল চন্দ আমাদের পত্রিকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এই বিভাগটি প্রথমে নিয়মিত লিখত নন্দগোপাল সেনগুপ্ত জাবালী ছদ্মনামে। এছাড়া থাকত এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় খবরগুলি এবং ‘বিশ্বাসের বাইরে নামে একটি বিভাগ।”

সম্পাদক স্মৃতি থেকে অনেকটা যথাযথই সংগ্রহ করেছেন ঘটনাগুলো। তবে প্রকৃতই কোন্ বিভাগের কি নাম ছিল, তা তিনি হুবহু স্মরণ করতে পারেননি। খেলাধুলার বিভাগের নাম ছিল স্পোর্টের পোর্টফোলিও’, লিখতেন ‘স্পোর্টসম্যান। সিনেমা মঞ্চ নাটক এসবের আলোচনার বিভাগ ছিল আমোদের আবহাওয়ায়। বলা হত বন্ধনী মধ্যে মোটা অক্ষরে—‘আমোদের আবহাওয়ায়

একেবারে চতুর্থশ্রেণীর কোনো নাটক বা ছায়াচিত্রের সমালোচনা প্রকাশিত হয় না।” পুস্তক পরিচিতি বা সমালোচনার বিভাগের নাম ছিল বুক্সেলফ। লীপো দাশগুপ্ত, নির্মল ঘোষ, হীরালাল দাশগুপ্ত প্রমুখ বেশির ভাগ সমালোচনা লিখতেন। একটি সংখ্যায় লীপো দাশগুপ্ত লিখিত প্রমথ চৌধসুরীর ‘ঘোষালের ত্রিকথার সমালোচনা আছে। সম্পাদকীয় বিভাগের নাম ছিল সম্পাদকের দেরাজ’। সংবাদধর্মী আলোচনার বিভাগ ছিল এদিক ওদিক’ ও ‘বিশ্বাসের বাইরে। চলতি বিভাগটি সত্যিই অম্ল-মধুর আলোচনার জন্য আকর্ষণীয় ছিল।

এই বিভাগের আলোচনায় অনেক কথা বা মন্তব্য পাওয়া যায়, যা সমকালীন সাহিত্য পরিস্থিতির অকপট চিত্র ও তথ্য সরবরাহ করে। এখানে বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, মোহিতলাল মজুমদার, সজনীকান্ত দাস, বুদ্ধদেব বসু, কাজী নজরুল ইসলাম, কবিতা পত্রিকা ও অপরাপর সাহিত্যপত্র ও সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক (ব্যক্তিত্বসহ) বিষয়ে মন্তব্য বা ব্যঙ্গ থাকত। এসবের ভেতর দিয়েই প্রকাশ পেয়ে গেছে অগ্রগতির সাহিত্যবোধও। পণ্যের বিজ্ঞাপনের নতুন মডেলও তাঁরা প্রয়োগ করেছিলেন। বিজ্ঞাপনের চিত্র ও ভাষায় নতুনত্ব ছিল। কবিতা

পত্রিকার বিজ্ঞাপনের সৌকর্য ও ভাষা-স্টাইল এক্ষেত্রে স্মরণযোগ্য। ব্যবসাদারের খাসকামরা হচ্ছে এ রকম একটি নতুন প্রচারধর্মী সাহিত্যাঙ্গিক। ছবি না দিয়ে পণ্যের সম্পর্কে পুস্তক সমালোচনার মতো লেখা হতো বিভাগটিতে একেবারে একেক পণ্যের ওপর। অধিকাংশ না হলেও বহু গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ সচিত্র বা অলংকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি পৃষ্ঠায় মটো হিসাবে মুদ্রিত হতো পৃষ্ঠার

চারপাশে বর্ডার দিয়ে উড়োজাহাজ, স্টীমার, রেলগাড়ী ও মটর-কার-এর ছবি। এদিয়ে ‘অগ্রগতি’ গতিশীল জীবনের প্রতীকগুলোকেই প্রকটিত করে তুলেছিল। ‘অগ্রগতি’ গতিশীল পরিবর্তিত জাগতিক জীবনের সহায়ক সাহিত্যিক মুখপত্ররূপেই নিজেকে উপস্থাপিত করতে চেষ্টা করেছে। এবং তাতে সাফল্য অর্জন করেছে। তৎকালের আর কোনো পত্রিকার নামকরা যায়না, যার প্রচ্ছদ, মুদ্রণ,কাগজ, আর্ট, অলংকার- সজ্জা এবং রচনার অন্তঃস্থিত বক্তব্যের সঙ্গে ‘অগ্রগতির তুলনা করা চলে।

পরিচয়, দেশ, কবিতা, চতুরঙ্গ প্রভৃতি তখনকার শ্রেষ্ঠ সাহিত্য মাসিকীগুলোর ছাপা, কাগজ ও রচনাসম্পদের উচ্চ আদর্শ বা মান ছিল বটে,তবে অগ্রগতির ভাব-মান-ঢং-স্টাইল ও চেতনা ছিল স্বতন্ত্র প্রকৃতির। এটা সম্ভব হয়েছিল সুভো ঠাকুর ও আশু চট্টোপাধ্যায়ের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের কারণে। সামাজিকভাবে তাঁরা কলকাতার মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে যাঁরা অর্থে-বিত্তে-বিদ্যায়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে বেশি পরনির্ভর ছিলেন নাসেই শ্রেণীর সদস্য ছিলেন বলে কাউকে খুব বেশি ধার ধেরে কথা বলারও তাঁরা প্রয়োজনবোধ করতেন না। সাধারণত পত্রিকার সম্পাদক লেখক সদস্যরা বিত্তহীন পরিবারের সদস্য না হলেও টানাপোড়েনের সংসারের লোক হয়ে থাকেন। অগ্রগতির তরুণতম সম্পাদক-প্রকাশক-লেখক-কর্ণধাররা সে শ্রেণীর নন, বরং তাঁরা তখন ইংল--আমেরিকা যেতে পারেন পড়তে, এবং সাহিত্যের আদর্শ খুঁজতে গিয়েছিলেন পাশ্চাত্যে। ফলে তাঁদের মেজাজ ও মননে, কথনে ও কর্মে বলিষ্ঠতা ছিল। এই বলিষ্ঠতার কারণেই ‘অগ্রগতি’র মেজাজে তথাকথিত প্রবীণ প্রতিষ্ঠিতরা আহত বোধ করতেন। এঁদেরকে মনে করতেন বেয়াদব’। এইসব কারণেই লেখাতে অশ্লীলতা না থাকলেও দোষ দেওয়া হতো অশ্লীল বলে। আর বেয়াদবির কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে বঙ্কিমচন্দ্রের জন্মশতবর্ষের বিশেষ সমালোচনার প্রেক্ষিতে লেখা আলোচনার বক্তব্য নিয়ে মানহানির মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছিল।
শত্রুতা কুড়িয়েছিলেন তাঁরা। অবশ্য সবদেশে, সবকালেই নতুন, ভালো কিছু করতে গেলেই ঈর্ষার, ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। তবে বাঙলা দেশের ঈর্ষার ধরণ অন্য রকম। রসিকতাকে ঈর্ষাভাজনেরা নগ্ন হামলা বা আক্রমণের পর্যায়ে ফেলে নিন্দা করতে ছাড়েন না। তাছাড়া তখনকার দেশীয় ভাষায় সাহিত্যে মহাযুদ্ধ পরবর্তী পাশ্চাত্ত্য ইংরাজী ফরাসী-জার্মান সাহিত্যের নতুন অভিজ্ঞতা যে রঙ চড়িয়েছিল অসমর্থদের সে রঙে রঞ্জিত হবার সাধ্য ছিল না, সাধ থাকলেও, এই অক্ষমতার কারণেই ঘটেছিল রসবোধের বিপর্যয়। বৈদগ্ধ্যপূর্ণ রসিকতা অথবা স্বাস্থ্যকর নির্মল হাস্য কৌতুকও তাই এক শ্রেণীর কাছে অসহ্য ঠেকতো। “অগ্রগতির পাতাগুলো নির্বিকার চিত্তে, সত্যসন্ধীর দৃষ্টিতে পাঠ করে একথা বলা চলে অগ্রগতির চিন্তা ও চেতনায় আধুনিকতার মোহ অন্ধভাবে প্রকাশ পায়নি। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও মিথকে অস্বীকার করে নব্য-আধুনিকতাকে তারা চাননি, যা দিয়ে সমাজবিচ্ছিন্নতা প্রকাশ পেতে পারে। তাঁদের চিন্তা ও কর্মের প্রেরণা হয়েছিল বাঙালির ঐতিহ্যিক ভাবধারাকেই যুগোপযোগী করার অর্থাৎ আধুনিকতার পথে দ্রুত অগ্রগতি সাধন-প্রচেষ্টা। আশু চট্টোপাধ্যায় পত্রিকার ভেতরের ঘটনা বলতে গিয়ে অগ্রগতি গোষ্ঠীর লেখক-শিল্পীদের সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা পত্রিকার অবদান হিসেবে মেনে নিয়ে পাঠ করলে অর্থবহ হয়ে ওঠে “এতগুলি বিভাগ চালাবার জন্যে লোকের দরকার। একে একে দল পুষ্ট হয়ে উঠতে বিরাম নিয়ে এল বিমল মিত্রকে। বিমল মিত্র নিয়ে এল দিনেশ দাস ও হীরালাল দাশগুপ্তকে। এছাড়া এল মণি বাগচী ও নির্মল ঘোষ। অগ্রগতি-গোষ্ঠী জমে উঠল। বিকেল থেকেই আড্ডা জমত। তাতে মাঝে মাঝে যোগ দিতেন প্রেমেন্দ্র মিত্র আর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁদের দুজনের অনেক লেখা ‘অগ্রগতিতে প্রকাশিত হয়েছে। দূরে থেকেও নিয়মিতভাবে কবিতা পাঠাতেন জীবনানন্দ দাশ ও জগদীশ গুপ্ত। গল্প প্রভৃতির জন্য নিয়মিত ছবি আঁকার ও হেডপিস-টেলিপিস তৈরি করার ভার নিলেন শৈল চক্রবর্তী ও পি-সি-এল। এঁরা উত্তরকালে প্রসিদ্ধ শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন।”

তিনি আরও যা লিখেছেন তাতে পূর্ববঙ্গের (ঢাকার) সন্তান সোমেন চন্দ্রের সাহিত্যিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সোমেনচন্দের জীবন ও সাহিত্যকর্ম মোটামুটিভাবে গ্রথিত-সংকলিত- লিপিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন স্থান ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তিনি অগ্রগতির গল্প প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে (ঢাকা থেকে লেখা পাঠিয়ে) যে পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক রূপে স্বীকৃত হয়েছিলেন, এবং তাঁর বিখ্যাত গল্প অন্ধ শ্রীবিলাসের অনেকদিনের একদিন’ই যে সেই পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প এবং তা যে অগ্রগতিতে (৩বর্ষ ২১সংখ্যা) প্রথম ছাপা হয় তা জানা ছিল না। সোমেচন্দ্রের আরও দুটি গল্প ভালো না লাগার শেষ’ (৩বর্ষ ১৭ ও ১৮ সংখ্যায়) এবং ‘মরুভূমিতে মুক্তি’ও এই পত্রিকায় ছাপা হয় (তিন বর্ষ, তেইশ সংখ্যা)।
(সরি, আজ আর নয়, আরেক দফায়যদি প্রয়োজন হয়) সমাপ্ত, ভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত


বিভাগ : সাহিত্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার