মহাবিশ্ব আর্বিভাব হওয়ার পর হতেই প্রাণী আর মানবগুলো বেলায় বেলায় পাল্টিয়েছে, নতুন রূপধারণ করেছে। বিজ্ঞানের সূত্রে পাওয়া যায় পুরানো মহাবিশ্বে অনেক প্রাণী ছিলো যা সময়ের সাথে ক্ষাপ খাটিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, ইতিপূর্বেই ওগুলো বিলুপ্ত যেমনঃ ড্রাগন,
আমি বিজ্ঞানের ছাত্র নই,তাই বিজ্ঞানের সূত্রে ধাবিত হচ্ছি না।আমি ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র, কিন্তু ব্যবসায় শিক্ষাও ধাবিত হচ্ছি না। ধাবিত হবো নতুন সাহিত্যে, নতুন ধারায়।

প্রয়োগ করবো নতুন ধারার জল্পনা কল্পনাগুলো।আধুনিকতার ছোঁয়ায় সত্য, নিষ্ঠ,অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখেই যাবো,শেষ অব্দি। এখানে নজরুলের মতো বিদ্রোহী-ও ব্যক্ত করব না।কারণ,রবীন্দ্রনাথ-ও নই, নজরুল-ও নই,আহমদ ছফা-ও নই।আমি-ই আমি,নিজের মতো ব্যক্ত করব হিয়ার জল্পনা কল্পনা।

আগেই বলেছি সময়ের সাথে ক্ষাপ খাটিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে এক বিশাল অভিশপ্ত লা-নঠ কপালে জুটবে। যতই পাখা জাপটাবো নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব নয় বরং বিলুপ্ত হয়ে যাবো মহাবিশ্ব হতে।
বিলুপ্তির মানবগোষ্ঠীকে কেউ স্মরণ রাখে?কখনোই রাখে না বরং মহাবিশ্বের পাতায় ব্যর্থ মানবগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হয়,নতুন প্রজন্মের নিকট যখন উচ্চারিত হবে ভেবাচেকা-র মতো বলবে ব্যর্থদের নাম কেন বলো, ব্যর্থদের স্মরণ কেন রাখো? এসব গোষ্ঠীকে স্মরণ রাখা অর্থ বোকামি ছাড়া কিছু-ই নয়।

এতোক্ষণ আপনাদের নতুন মহাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অনেকটাই তালিম করেছি।
কিন্তু ক্ষাপ খাটিয়ে নিতে গিয়ে অন্যায়,অত্যাচার,জুলুম, নির্যাতন,ইভটিজিং, ধর্ষণ, খুন, মাদক ইত্যাদি কে সঙ্গে নিয়ে চলতে বলিনি।নতুন মহাবিশ্বে সত্য, ন্যায়,পরায়ণবান, আদর্শবান ইত্যাদিগুলোকে-ই বিবেকের ছাকুনি’র মধ্যে তুলে নিন।
আর সেটা যদি হয় সাহিত্য তবে তো কোনো কথাই নেই। আঁখি বন্ধ করে সিদ্ধান্তগুলোকে কবুল করে নিন।নতুন মহাবিশ্বে তেমন সাহিত্যের মর্যাদা নেই,অধিকার নেই।
জ্ঞানীরা বলে মর্যাদা,অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
আমরাও না হয় তুমুল যুদ্ধ করে পতাকাটি ছিনিয়ে আনলাম। আর নতুন সাহিত্য তৈরি করতে প্রয়োজন হিম্মত, ধৈর্য, পরিশ্রম অনেক সাধনা। বিজয় হউক আমার, আপনার নতুন ধারার সাহিত্য। বিজয় হউক, বিজয় হউক।