কোথাও কেউ নেই
২১ জুন ২০২৪, ১২:২০ এএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৪, ১২:২০ এএম
অন্য আর দশজন বেকার ছেলে যেমন বাবার হোটেলে বসে বসে খায়, জমশেদ কিন্তু তা নয়। বেকার জমশেদও বসে বসে খায় তবে বাবার হোটেলে নয়, সে খায় ভাইয়ের হোটেলে। জমশেদ কিন্তু খুব লেখাপড়া জানা ছেলে নয়। তবে তার বাহ্যিক ভাব দেখে বোঝার উপায়ও নেই যে, সে তৃতীয় শ্রেণি অবধি পড়েছে। গায়ের রং তামাটে বর্ণ। চেহেরায় বাংলা সিনেমার হিরো নাঈমের সাদৃশ্য প্রবলভাবে লক্ষণীয়। হয়তো এ কারণেই এই অঞ্চলের রূপবতী তরুণীদের বিরাট একটা অংশ কারণে-অকারণে জমশেদের বাড়ীর সামনে গুরগুর করতে দেখা যায়। তার সাজগোজ দেখলে যে কেউ ভেবে বসতে পারে যে,তার মধ্যে মেয়েলী ব্যাপার-স্যাপার রয়েছে কিনা? ঠোটে হালকা গোলাপী লিপস্টিক,গায়ে-মুখে ট্যালকম পাউডার,কখনো-সেেখনা বা মুখে মেকাপ করতেও দেখা যায়! এই নিয়ে ভাবীদের কেউ কেউ ঠাট্টা-মসকরা করতেও ছাড়েনা। মা তার প্রায়-ই মারমূখী হন। চৌদ্দগোষ্টী উদ্ধার করেন। বকাঝকা করেন- গোলামের ফুত। তরে কী আমি ছেড়ি জরমু দিছি? মাইনসে তরে লইয়া হাসাহাসি করে। আজ তর ভাই আইয়োক বাড়ি, হয় তুই দেশান্তরী হইবি নাইলে আমি! জমশেদ’র বাবা নেই। স্বাভাবিক কারণেই বড়ভাই তার অবিভাবক। ভয়-ডর বলতে এই একজনকেই সে ভয় পায়।
জমশেদ চুলে চিরুনি চালায়। শেষ বারের মতো দেখে নেয় সিঁথি ঠিক আছে কিনা। মা তার ভেবে পান না। এই ছেলে কোন মাটির তৈরি! এই যে তিনি এতক্ষণ বকাঝকা করলেন কি লাভ হল? তিনি রাগে গজগজ করতে লাগলেনÑ অই বেহাইয়ার ফুত তর কুনু লাজ লইজ্জা নাই? মাবুদ আল্লা কারে কি কই আমি! মা তার দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকালেন। জমশেদ মায়ের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে বলল- হুনেন মা, কে আমারে মহাপুরুষ কইলো আর কে হাফ লেডিস কইলো, তাতে আমার কিচ্ছু আইয়ে যায়না। কেউ মহাপুরুষ কইলেও আমি মহাপুরুষ না। হাফ লেডিস কইলেও আমি হাফ লেডিস না। আমি একজন বিশিষ্ট সুপুরুষ। হিরো নাঈমের মতো আমার চেহেরা। বিশ্বাস না অইলে বিহাল বেলা বাংলা ঘরের আশেপাশে একটু নজর রাখবেন। দেখবেন গেরামে নায়িকারা হিরো নাঈমকে এক নজর দেখার আশায় পিটপিট করে তাকায়। পিটপিট তাকানোর ভঙ্গিটাও মাকে অভিনয় করে দেখায় সে। মা এবার এতোই ক্ষেপে গেলেন যে,হাতের ঝাড়– দিয়ে মারতে উদ্যত হলেন। জমশেদ মাকে সেই সুযোগ না দিয়ে ভো দৌড় দিল। মা হতাশ হয়ে বললেন- গোলামের ফুত ফলাইয়া যাবি কই? বাড়িত আইতি না?
জমশেদ’র এতো কথা শোনার সময় কই? এলাকার কতো নায়িকারা তার দর্শণ পেতে ব্যাকুল! এদের সে হতাশ করে ক্যামনে? সে দৌড়াতেই থাকলো। জমশেদ একতা সংঘের অফিসের সামনে চলে এলো। কেউ দাঁিড়য়ে, কেউবা বসে ব্যাটারি চালিত সাদাকালো টিভিতে খবর দেখছে। বেশিরভাগ খবর সামরিক শাসক এরশাদ বিরোধী। সামরিক শাসক এরশাদের পতনের পর দেশে গণতন্ত্রের যাত্রা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। সাত্তার মেম্বার কৌতুহলী অনেকের খবর বিষয়ক নানান প্রশ্নের সহাস্য উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন। খবরের পর শুরু হয়েছে বিজ্ঞাপণ। ছোট ছোট বাচ্চারা বিজ্ঞাপণ গণনা করছে। কেউ বলছে বিশটা এডবাইস দেওয়ার পর নাটক শুরু হবে। আরেকজন বলছে - আরে নাহ! তিরিশটা এডবাইস দিবো। গ্রামের বাচ্চারা বিজ্ঞাপণকে বলে এডবাইস। সাত্তার মেম্বারকে বাচ্চাদের হৈচৈ থামানোর জন্য ধমক দিতে হল - এই তোরা থামবি?
আরেক মুরুব্বি কাদির বেপারি বললেন- ঠাডাইয়া কানের নিছে থাবরা দে। হারামিগুলার যন্ত্রণায় খবর দেখতেও শান্তি নাই! বাচ্চারা এবার চুপসে যায়! বেশি শব্দ করলে তাড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিটিভিতে আজ কোথাও কেউ নেই নাটকের শেষ পর্ব দেখানো হবে। বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয়ে যাবে ? অনেকের মতো সাত্তার মেম্বারও মেনে নিতে পারছেননা- এইডা কুনু কাম অইলো? বিনা দোষে একটা মানুষরে ফাঁসি দিয়া দিবো!
বলে রাখা ভালো,এই নাটক দেখার জন্য ইটনা থেকে ব্যাটারি চার্জ করে আনা হয়েছে। ডুইয়ারপাড় গ্রাম থেকে ইটনা উপজেলার দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। তবে সাত্তার মেম্বারের মনে ক্ষীণ আশা আছে- হয়তো ফাঁসি নাও হতে পারে! পরিচালকেরও তো মন বলে কিছু একটা আছে নাকি?
-কন কি মিয়া ভাই ! বাকের ভাইয়ের কিছু অইলে পরিচালকের মাথা ফাডাইয়া দিমু ...
জমশেদ এতোক্ষণ দাড়িয়ে সাত্তার মেম্বারের কথা শুনছিলো। তারপর বলল - মেম্বার ভাই বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হলে , কুত্তা অলিরে আমি খাইছি।
সাত্তার মেম্বার হাসলেন Ñ তুই কুত্তা অলিরে পাইবি কই?
জমশেদ এবার মাথা চুলকায়। ভাবে আসলেই তো কুত্তাঅলিরে সে পাবে কই! তারপর বলে যাই কন ভাই, সব দোষ কুত্তা অলির। টিভি সেটের সামনে থাকা লোকজন হুল্লুর করে ওঠে- জমশেদ ঠিক কইছে।
আবেগী জনতার আবেগ দেখার সময় নেই জামালের। সে আশেপাশে খোঁজ করছিল তার প্রণয় প্রার্থী কেউ আশেপাশে আছে কিনা। নীলা অবশ্য একবার নজরে এসেছিল। হয়তো তার পরিবারের কেউ টিভি দেখতে এখানে আছে। তাই সটকে পড়েছে।
নীলা পাড়া সম্পর্কে জমশেদ চাচাতো বোন। অতি রূপবতী না হলেও যে কোনো যুবকের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়ার জন্য তা কম নয়। বিশেষ করে নীলার চোখের প্রেমে পড়েনি এমন যুবক খুঁজে পাওয়া যাবেনা। জোছনা প্রিয় জামালের কাছে তার চোখের তুলনা শুধুমাত্র ভাদ্র মাসের ভরা পূর্ণিমা হতে পারে। ভাদ্র মাসের পূণিমার সময় জামাল নাওয়া খাওয়া ভুলে যায়। জাগতিক কোনো কিছুই তখন তাকে টানেনা। ভাটি অঞ্চলের অবারিত জলরাশির তখন ব্যাপক নিরব থাকে। জমশেদ ভাষায় এটা এক ধরনের আপোষ। জোছনার সাথে বৈরি প্রকৃতির আপোষ। বৈরিতাও তখন সৌন্দর্য়ের প্রেমে পড়ে।
নীলার চোখে চোখ পড়লেই জমশেদ যেন দিশা হারায়,সৌন্দর্যের সমুদ্রে বিলনি হযে যায়। সেখান থেকে কেবল টেনে তুলতে পারে নীলা। অনেকক্ষণ উঁকিঝুকি মেরেও নীলার টিকিটিও দেখা যাচ্ছেনা। চলে আসার জন্য পা বাড়ায় জমশেদ। পেছন থেকে সাত্তার মেম্বার বলে ওঠে নাটক দেখবি না? জমশেদ বলে- না ভাই দেখুমনা। ভাল্লাগছেনানা।
প্রচন্ড গরম পড়েছে। ভাদ্র-আষিণ মাসে বেশিরভাগ সময় এমন গরম পড়ে। এই অঞ্চলের মানুষের তখন হাত পাখা একমাত্র ভরশা। অনেকেই তখন কোষা নৌকা নিয়ে সমুদ্র সম হাওরে ঢুকে পড়ে একটু প্রশান্তির আশায়। জমশেদর জন্য এটা একটা আর্শিবাদ হযে ওঠে । গরমের উছিলায় দুয়েকজন সাঙপাঙ্গোসহ কোষা নৌকা নিয়ে ঘুরতে বের হয়। সঙ্গে অবশ্যই ভাইয়ের কেনা সনি ক্যাসেট প্লেয়ার। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় ডেক্সেট। খুউব কম মানুষের বাড়িতে এই ডেক্সেট দেখা যায়। সৌখিন অবস্থাপন্নদের ঘরেই কেবল এই জিনিস শোভা পায়।
আমি তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। দেশে তখন গণতন্ত্রের যাত্রা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। সেই সাথে ছাত্ররাজনীতির অন্ধকার দিকের যাত্রাও মনে হয় শুরু হলো। ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী ছাত্র সংগঠন দুটোর আচরণ এখন লাউ আর দা’য়ের মতো। দুই সংগঠনই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। অথচ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে এরাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে কাঁপন ধরিয়েছে। একবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে তুমুল গন্ডোগোল হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্ট্য কালের জন্য পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করে। ঢাকায় আমার অবস্থাপন্ন আত্মীয় স্বজন না থাকায় আমি গ্রামে চলে আসি। আমার নাম জাবিদ সোহেল। বাবা-মায়ের রাখা নাম জাবিদ মিয়া। জাবিদ সোহেল নামটা জমশেদ ভাইয়ের দেয়া। তার ভাষ্য” আমরা তো আর মিয়ার বংশ না। সুতরাং নামের পাশে মিয়া থাকা বাধ্যতামূলক না। তুই হবি জজ ব্যারিস্টার । না হয় বড় কোনো অফিসের বড় কর্তা। নামের একটা ব্যাপার-স্যাপার আছে না? মানুষ আগে গুণ দ্যাখে না,রূপ দ্যাখে। প্রথমে দর্শণদারি তারপর গুণ বিচারি। নিরক্ষর বাবা-মা এই নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিলনা। তাদের ভাষ্য নাম দিয়া কী আসে যায়। নাম একটা হলেই অয়।
মায়ের যতো চিন্তা জমশেদ ভাইকে নিয়ে। চিন্তার বড় কারণ জমশেদ ভাইয়ের ভবিষৎ জীবন কি করে চলবে? আজ না হয় একা আছে। দুদিন পরে তো ঘর সংসার করতে হবে। এমন উড়নচন্ডী হলে তার কাছে কেউ মেয়ে বিয়ে দিবে? এভাবে কতোদিন? ইতোমথ্যে তার কয়েকজন সাবেক প্রেমিকাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্ত প্রেমিকাদের কেউকেউ রাজি হলেও কারো বাবা-মা এমন উড়নচন্ডী ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি!
একদিন এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। পাশের বাড়ির নীলা আপা আমাকে ডেকে পাঠালেন। তার সাথে আমার তেমন যোগাযোগ ছিলোনা। আমাকে বললেন- কীরে তোরা নাকি হিরো নাঈমের জন্য মেয়ে দেখে বেড়াইতাছস? মীরা আপার কথায় আমি ভ্যাচ্যাকা খেলাম। বললাম- কী বলেন আপা! হিরো নাঈমের জন্য আমরা মেয়ে দেখবো কোন দুঃখে? নীলা আপা অবাক হয়ে বললেন- আরে বুদ্ধু আমি তোর জমশেদ ভাইয়ের কথা বলছি। এতো বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও নিজের ভাই সম্পর্কে কিছুই জানেনা! শোন। আমি কিন্তু তোর ভাইয়ের অপেক্ষায় আছি। গায়ে জড়ানো উড়না দেখিয়ে নীলা আপা বললেন- যদি ডান-বাম করে, তবে আমার উড়না আর গলা যোগ হয়ে যাবে। তাকে বলে দিস। আমি আতংকিত হযে বলরাম- কি পাগলের মতো কথ্াবলছেন আপা? তিনি বললেন- ঢাকায় ব্যবসা করে এমন একজনের সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে। সে আবার সম্পর্কে খালাতো ভাই। কথ্ াবলার সময় লক্ষ করি নীলা আপা চোখ দুটো ছলছল করছে। আমি বিব্রতবোধ করি।
বাড়ি ফিরে জমশেদ ভাইয়ের শোবার ঘরে ঢুকলাম। দেখি চারপাশে শুধু বাংলা সিনেমার নায়ক নাঈমের ছবি। যদিও জানা ছিল জমশেদ ভাই নাঈমের ভীষণ ভক্ত। এবার নীলা আপার কথার সুত্র ধরে হিরো নাইমের সাথে জমশেদ ভাইয়ের মিল খুঁজতে লাগলাম। আসলেই তো দুজনের চেহেরায় দারুণ মিল! অমিল বলতে নাঈম উজ্জ্বল ফর্সা। জমতশেদ ভাই শ্যামলা বরণ।
কয়েকদিন বেশ ভয়ে কাটলো। সত্যি সত্যি যদি নীলা আপা ফাঁস নিয়ে নেয়! এখন ভয় কেটে গেছে। আমরা যখন জমশেদ ভাইয়ের জন্য প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক তখনই নীলা আপার বিয়ের দাওয়াত কার্ড পেলাম। দাওয়াত কার্ড পাওয়ার সময় মা-আমি হতাশ বদনে মুখচাওয়াচাওয়া করছি। ভয়ের আরো কারণ ছিলো জমশেদ ভাই নীলা আপাকে বিয়ে করার ব্যাপারে কেনো আগ্রহ দেখায়নি। নীলা আপার কথানুযায়ি তো দুজনের মধ্যে গভীর প্রেম থাকার কথা!
অন্য আর দশটা মেয়ের মতোই শ্বশুরবাড়ি চলে গেল নীলা আপা। একটু কান্নাকাটি করেছে। তবে তা বাড়াবাড়ি বলা যানো। সব মেয়েরা বাবার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় এমন কান্নাকাটি করে থাকে। এ কান্না জমশেদ ভাইকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য নয়। আািম আশ্চর্য় হলাম বটে। দুদিন আগে ফাঁস নেওয়ার হুমকি দেওয়া মেয়েটা কি অবলীরায় অন্যের ঘরে চলে গেল!
আমি জমশেদ। পরাজিত মানুষ। তবে সমর যুদ্ধে নয় জীবন যুদ্ধে পরাজিত। পরাজয়ের প্রথমপাঠ ভবিষৎ নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা ছিলোনা। ভাইদের থেকে সংসার আলাদা হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণহীন জীবনযাপন করেছি। সম্পত্তি বিক্রি থেকে শুরু করে হেন কাজ নেই যা করিনি। ধূলোর মতো টাকা উড়িয়েছি। টাকাকে তখন নেহায়েৎ কাগজ মনে হতো। অবস্থাপন্ন পরিবারের সন্তান হয়েও আজ শ্রমিকের জীবনযাপন করছি। থাকছি এই ইট পাথুরের নগর পুরান ঢাকায়। এতেও আমার আপত্তি ছিলনা। ঢাকায় এসে কাজ নিলাম একটা জুতার কারখানায়। মালিক আমার বয়সী । ভাল মানুষ। পারিবারিক যে কোনো অনুষ্ঠানে কারখানার শ্রমিকদের দাওয়াত করে খাওয়ান। একবার মালিকের বোনের বিয়েতে কারখানার অন্য সবার মতো আমিও যাই। ফেরার সময় মালিক বৌ-সমেত আমাদের বিদায় দিতে গেট পর্যন্ত আসেন। আমরা চমৎকার হই। একটা পরিচিত কন্ঠ রিনরিন করে চিনচনি স্বরে হৃদয়ের কোমল জায়গাটায় বাজ ছিল। আমার জন্য মনে হয় আরো চমক অপেক্ষা করছিলো। হঠাৎ আমার চোখ আটকে যায়! যাকে দেখে আমার চোখ আটকে গেল,দেখি তিনিও আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমাদের স্যারের বউ। আমার মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে। লজ্জায় আমি পুড়ে যাচ্ছি। মনে হতে থাকলো মাটি তুই দুইভাগ হ , আমি ঢুকে যাই। আহা এ আমি কি দেখলাম। কি দেখলাম! ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস । আমি শ্রমিক সে মালিকের বউ! অস্ফুট স্বরে মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো নীলা ...!
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
উত্তরা ক্লাবের নতুন সভাপতি ফয়সল তাহের
গজারিয়ায় বিএনপি নেতার শীত বস্ত্র বিতরণ
টাঙ্গাইলে মহাসড়কে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ইসির প্রস্তুতি
গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
দোয়ারাবাজারে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সচিবালয়ে আগুন পরিকল্পিত: প্রকৌশলী ইকরামুল খান
সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে আটকা পড়েছেন ৭১ পর্যটক
জকিগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতির লক্ষে ইসিফোরজে’র প্রি-ওয়ার্কশপ
উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি গঠন, ৩ কর্মদিবসে প্রাথমিক প্রতিবেদন
ব্রাহ্মণপাড়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা
কালীগঞ্জে পুকুর থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিবন্ধন চূড়ান্ত: হজযাত্রী ৮৩ হাজার ২৪২ জন
হল্যান্ডের পেনাল্টি মিস,বিবর্ণ সিটি ফের হারাল পয়েন্ট
শরীফ থেকে শরীফার গল্প বাতিল করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিসিএ নির্বাচন সম্পন্ন: মিজান সভাপতি, মতিন সম্পাদক
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৩
বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী: শাহজাহান চৌধুরী
সচিবালয়ে আগুন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করলো এবি পার্টি