সময়ের কলার ধরে
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১০ এএম
বড় মমতা হয় জেগে উঠে ভয়
তোমাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছা কেঁদে মরে
হে মসনদ আরামের, দীর্ঘ সময়ের
দাপুটে সহচর।
ভুলে গিয়েছিলাম অতীত সময়ের বাতাসে
উর্বরতা হারিয়ে ফসলের মাঠ হচ্ছে পতিত,
ক্ষণিকের ক্ষমতার সুধাপান করে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ভুলে গিয়েছিলাম সঠিক
গমন রাস্তা ঠিকানা।
তবুও করে যাই ধরে রাখার লড়াই
কৌশলের শিকলে বন্দি করে
ঘরের মধ্য খামে,
তুমিও হইও অনুগত নিক্ষিপ্ত ঘৃণা পাত্রে,
যেওনা ছেড়ে, দিওনা ফেলে ময়লা
স্তুপে। যা করেছি খেয়েছি যা
গোগ্রােেস হাড়গোড় মাংস
অস্থিমজ্জা শিরা-উপশিরায় ঢুকে ঢুকে!
কিযে মজা! আরো খেতে চাই সময়ের
কলার চেপে ধরে আরো অধিক সময়
ধরে। অভ্যাস অপব্যবহারের পালে
দাও হাওয়া পথচলায়
হে লালিত স্বপ্ন বড্ড প্রয়োজন তোমায়,
পাগল হয়ে যাব, হবে সাথে ভক্ত,
ভক্তের ভক্ত মাতল, তোমাকে
না পেলে পুনর্বার বারবার ফেরাবার,
হে বাহুবল ক্ষমতার আলো
আঁধারের মহাশক্তি,
আজ তোমার জন পতন ঘুঙুর
বাজে আনাচে কানাচে।
বিশ্বজুড়ে বর্ণনা করছে তোমারই
কালিমাখা বিশাল অধ্যায়,
তোমার রক্তমাখা হাত আজ
অসার সময়ের ঝড়ে।
খুঁজেছি তোমায়
শাহজালাল সুজন
আমি সাহিত্যের এক ফেরিওয়ালা সেজে
তোমার মনের কাব্য খুঁজেছি দিগন্তে,
ধ্রুবতারা হয়ে আছো শুভ্র নীলিমায়
হঠাৎ ছেয়েছে এক নিকষ আঁধার।
বসন্ত পবন হয়ে দোলা দিতে দাওনি
লজ্জাবতী হয়ে তুমি ঘোমটা দিয়ে থাকো
ফুলের কাননে আছো সুবাসিত ঘ্রাণে
প্রকৃতিতে বিছায়েছো আউলা কালো কেশ।
রাখালের উষ্ণ ঠোঁটে বাঁশির সুরেতে
তটিনীর স্রোতে ভেসে পদ্মফুলে মিশে,
হরিণীর অক্ষি কূলে তোমায় খুঁজেছি
হয়তো আছো কারুকার্য শিখীর গলেতে।
আজো খুঁজি প্রশান্তির ছায়া বটমূলে
কবিতার ভাবনাতে কাব্য মায়াজালে,
এখনো অনেক খুঁজি বিবর্ণ ধূসরে
খুঁজেছি তোমায় ঐ রূপের দিগন্তে।
শেষ আহার
নুরুল ইসলাম নূরচান
হুট করে ঢুকে পড়েছিল ছাত্রাবাসে
কেন ঢুকেছিল, কে জানে!
যেই ঢুকে পড়েছে, অমনি ঘেরাও।
তার প্রচ- ক্ষুধার কথা জানালো
ডাল ভাত খাওয়ানো হলো।
তারপর চলল মারধরের মচ্ছব
কী অপরাধ ছিল তার?
গণপিটুনিতে এক সময় নিথর
তোফাজ্জলের তাজা দেহপ্রাণ।
আপন বলতে পৃথিবীতে
কেউ ছিল না তার,
ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।
সোনালি স্মৃতি
মমতা মজুমদার
ঘোর অন্ধকারে তখনো আমি বিভোর;
পাখিদের নৃত্যে কেবলই দু-চোখ মুদি!
তমসা ভেঙে দেখি ঝাপসা হৃদয়ের ভূমি
আমাকে জব্দ করে আছে আশ্বিনের তপ্ত
পলিমাটি।
ক্ষণে ক্ষণে বাড়ে ব্যথা, এ কি রুক্ষতা তার
ঘামার্ত শরীর জুড়ে;
মেঘমল্লার ঝড় তুলে, চরণে লুটে যায় সোনালি
সুখের স্মৃতি!
ক্ষতস্থানে মলম লাগিয়ে চলছি পরিপাটি।
দখিনা পবনে উড়ে আসে পোড়া গন্ধ
দগ্ধতা কেবলই চারপাশ জুড়ে, গিলে খায়
আমায়, যেন সে ভয়ংকর রাক্ষসী।
ঘনিয়ে আসে দুচোখের তারা, নিভে যায়
জলন্ত এক প্রদীপ।
পাখির নীড়ে ফেরার আনন্দ নেই কিঞ্চিৎ
তবু সূর্য তোরণ আবিভূত হয়, পশ্চিমে মিলায় নিয়মমাফিক
ভাবনার চিলেকোঠায় জানান দেয় একদা,
তোমাদের ভিড়ে ক্ষণিকের অতিথি কেবল আমি।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ