আত্মবেদনার করুণ কাহিনী ‘বিবি কুলসুম’
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম
মীর মশাররফ হোসেনের সর্বশেষ গ্রন্থ ‘বিবি কুলসুম। এ গ্রন্থটি তাঁর জীবনচরিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। ‘আমার জীবনীর জীবনী কুলসুম জীবনী’ মীরের প্রিয়তমা পতœী কুলসুমের জীবনচরিত। পতœী প্রয়াণে কাতর উদ্ভ্রান্ত মশাররফের শিল্প-শোকোচ্ছ্বাস এই ‘বিবি কুলসুম’ গ্রন্থ। মীর মশাররফ হোসেনের জীবনে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রভাব যে কিরূপ গভীর ছিলো তারই জীবন্ত আলেখ্য ফুটে উঠেছে ‘বিবি কুলসুম’ গ্রন্থে।
‘বিবি কুলসুম’ গ্রন্থটি পাঁচটি অধ্যায়ে সন্নিবেশিত করেছেন লেখক। অধ্যায় এখানে ‘কথা’ নামে চিহ্নিত। গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়টি শিরোনামহীন। পরবর্তী অধ্যায়সমূহের শিরোনাম যথাক্রমে- ‘বাল্যজীবন’, ‘ভয়ানক ষড়যন্ত্র মুক্তি ও উন্নতি’ এবং ‘আমার কার্য্যক্ষেত্রে তাঁহার কথা ও কার্য্যবিবরণ’। পঞ্চম অধ্যায়টি দু’ভাবে বিভক্ত, প্রথমাংশের শিরোনাম- ‘শেষ কথার প্রথমাভাষ’ ও শেষাংশ ‘কথা নাই-শেষ বিবরণ’ নামে চিহ্নিত। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ‘লেখকের কথা’ ও ‘সূচনা’ নামে উপক্রমণিকা এবং উপসংহারে ‘সমাধি’ নামে কুলসুম স্মরণে রচিত একটি চতুর্দশপদী। ‘বিবি কুলসুম’ গ্রন্থের ‘লেখকের মনের কথা’য় মশাররফ লিখেছেনÑ “অনেকেরই স্ত্রী বিয়োগে, নানাবিধ রঙ্গবিরঙ্গের পদ্য, পয়ার, ত্রিপদী, চতুষ্পদী, অমিত্রাক্ষর লিখিয়া দুঃখ প্রকাশ করেন। আমার সে সকল শক্তি এইক্ষণে নাই।...কান্দিতে কান্দিতে মনের আবেগে যাহা ধারণা হইয়াছিল, কানেও শব্দ প্রবেশ করিয়াছিল তাহাই করিলাম। ‘কুলসুম জীবনী’ লিখিলাম। এতকাল যে সকল কথা গুপ্ত ছিল তাহা প্রকাশ হইলো। বারো বৎসর পূর্বে গাজী মিয়া আপন বস্তানীতে কুলসুম বিবির অনেক কথা প্রকাশ করিয়া গিয়াছেনÑ ‘বউ’ আখ্যা দিয়া অনেক কথা বলিয়াছেন। সে সকল কথাও ইহাতে সংযোজন করিলাম।”
মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিবি কুলসুম’ গ্রন্থে দাম্পত্য জীবনের বহু মূল্যবান তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। তাঁর রচিত সাহিত্যকীর্তির মধ্যে এই গ্রন্থের বিশেষ মর্যাদা আছে। বিবি কুলসুমের সাথে তাঁর দাম্পত্য জীবনের সুখ, সাফল্য ও কৃতিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল তারই পরিপূর্ণ বিন্যাস ঘটেছে এ গ্রন্থে। মশাররফের পরিণয় বিভ্রাটের কারণে তাঁর প্রথম দাম্পত্য জীবন মোটেই সুখের হয়নি। প্রথম স্ত্রীর প্রতি নানা কারণে প্রসন্ন না থাকায় সংসারের প্রতি তাঁর ক্রমশ অনীহার সৃষ্টি হয়। এমনই এক পরিস্থিতিতে কুলসুমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও পরিণয়ে রূপ লাভ করে। ফলে তাঁর স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনে প্রত্যাবর্তনের সহায়ক হয়। পরবর্তী দাম্পত্য জীবন নানা চড়াই উৎরাইয়ের পরও চরম সুখকর হয়ে ওঠে।
মীর মশাররফ হোসেন কুষ্টিয়ার বারখাদা গ্রামের দরিদ্র কৃষক সররুদ্দিন ও লালন বিবির কন্যা কুলসুমকে ১২৮১ সালের পৌষ মাসে বিবাহ করেন। কুলসুমের পূর্ব নাম দিলো ‘কালী’। বিনোদিয়ার পীর সাহেব তার এই নতুন নামকরণ করেন। মশাররফের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি তাঁর প্রথমা পতœী ও আত্মীয়স্বজন মেনে নিতে পারেননি। ফলে তিনি নিন্দা ও সমালোচনার সম্মুখিন হন। এসব নানা কারণে তাকে সস্ত্রীক গৃহত্যাগ করতে হয়েছিল। কিছুদিন পর তারা গৃহে প্রত্যাবর্তন করলে সপতœী বিবাদ এতই প্রবল হয়েছিলো যে, প্রথম স্ত্রী আজীজন্নেছা কুলসুমকে হত্যার ষড়যন্ত্র পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তÍু সেই ষড়যন্ত্র পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। মশাররফ কুলসুমকে তাঁর উন্নতির দৈব কারণ হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ‘আমি আমার জীবনে সাংসারিক সুখ বিবি কুলসুমের জন্য বিশেষরূপে ভোগ করিয়াছি।’
জমিদারি কাচারির ম্যানেজারি উপলক্ষে মশাররফ হোসেনকে কলকাতা, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার, রাজবাড়ীর পদমদী এবং তাঁর জন্মভূমি কুষ্টিয়াতে জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করতে হয়। সংসার জীবনে কর্মসূত্রে তিনি যখন যেখানেই গেছেন কাজকর্মের ফাঁকে তাঁর সাহিত্যিক জীবনের নিরবচ্ছিন্ন সাধনা তিনি অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন। তাঁর স্ত্রী কুলসুমের প্রতি একনিষ্ঠ ভালোবাসা তাকে গৃহশ্রায়ী করে তুলেছিল এবং কুলসুম বিবিও তাঁর সাহিত্যিক জীবনে নানা উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিলেন। মীর সাহেবের প্রথম জীবনে কাঙাল হরিণাথের প্রভাব যেমন সক্রিয় হয়েছিল, তেমনি পরিণত বয়সে তাঁর এ স্ত্রীর স্নেহময় প্রভাব তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির পথ সুগম করেছিল। তাঁর বহিঃজীবনের নিঃসঙ্গতা অন্তর্জীবনের এ সহধর্মিণীর সাহচর্য সুধায় ভরে উঠেছিল। তাঁর ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ ‘বিবি কুলসুম’ প্রভৃতি গ্রন্থ থেকেই সে সংবাদ বিশেষভাবে অবহিত হওয়া যায়। বিবি কুলসুম মশাররফের প্রযতেœ ও আপন চেষ্টায় নিজেকে স্বামীর যোগ্য করে তুলেছিলেন। ক্রমান্বয়ে তার মধ্যে সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত সম্পর্কে অনুরাগ জন্মেছিল। পঁয়ত্রিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে কুলসুম ছয় কন্যা ও পাঁচ পুত্রের জন্ম দেন। সাংসারিক কর্মে নিপুণা এই রমনী স্বামীসেবায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। স্বল্প রোগভোগের পর ১৩৬৬ সালেল ২৬ অগ্রহায়ণ পদমদীতে বিবি কুলসুমের মৃত্যু হয়। পদমদীতে শ্বশুর মোয়াজ্জেম হোসেনের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তার কবরগাত্রে স্থাপনের জন্য মশাররফ একটি চতুদর্শপদী সমাধিলিপি রচনা করেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার আংশিক তুলে ধরা হলোÑ “জীবনের নিয়োজিত কার্য শেষ করি/দয়ামায়া ভালোবাসা স্নেহ পরিহরি/ বসনভূষণ ধন আত্মীয়স্বজন/ লালসা বাসনা ভোগ করি বিসর্জন/ স্বামী সোহাগিনী বিবি কুলসুম হেথায়/ সমাধি শয্যায় রয় অনন্ত নিদ্রায়/...ভাই ভগ্নি যেই হও ক্ষণিক দাঁড়াও/ আত্মার কল্যাণে তার আশিষিয়ে যাও।”
কুলসুমের মৃত্যুর মাস দু’য়েকে মাসের মধ্যেই পতœীবিয়োগের বিচ্ছেদে উদ্ভ্রান্ত সাহিত্যিকের হাত দিয়ে নিঃসরিত হয় ‘বিবি কুলসুম’ গ্রন্থটি। মীর মশাররফ হোসেন একে সাহিত্যিক হিসেবে আবেগপ্রবণ, তদুপরি তার প্রাণপ্রতীম স্ত্রীর মৃত্যুতে জীবন ও জগৎ তাঁর কাছে মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে। তাই এ গ্রন্থে আছে ‘শোকাহত স্বামীর হৃদয়ের অকৃত্রিম প্রেম ও স্নেহ নিংড়ানো নির্যাস। এ গ্রন্থে তাঁর আন্তরিকতার প্রকাশ নিরঙ্কুশ ও নিরাভরণ, সে জন্যই মর্মস্পর্শী। নিজের স্ত্রীর নিদানকালের করুণমধুর প্রাত্যহিক বর্ণনা তাঁর হাতে এমনই সকরুণ মৌন ও রূপ লাভ করেছে যে, নিতান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারও সার্বজনীন অনুভূতিতে অভিসঞ্চিত হয়ে শাশ্বত সত্য ও কল্যাণের স্থায়িত্ব লাভ করেছে। এ বিয়োগ এমনই যে, তার অন্তরের শততন্ত্রী একই আঘাতে বিকল ও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তিনি এ গ্রন্থে সেই মর্মন্তুদ অবস্থাকে শোকগাঁথায় উৎসারিত করে দিয়েছেন।’ (মুহম্মদ আবদুল হাই, বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, পৃষ্ঠা-১০৭)।
এ গ্রন্থে মশাররফ হোসেনের সমগ্র জীবনের শেষে এসে যে হাহাকার ধ্বনিত হয়েছে, সে অনুভূতি যে কত গভীর এবং কত ব্যাপক তা বর্ণনা যেমন সত্য, তেমনি বেদনাময় ও করুণ। প্রাণপ্রিয় পতœীর বিয়োগ-বিধুর হৃদয়ের হাহাকার, নিয়তির হাতে মানুষের অসহায়তা তিনি অপূর্ব শোকগাঁথায় উৎসারিত করে দিয়েছেন। ‘মশাররফের এ অনুভূতি অভিব্যক্তি লাভ করেছে সম্পূর্ণ নিরাভরণ ভঙ্গিতে। অত্যন্ত সাধারণ নিরহঙ্কার ভাষায়। অতি বাস্তব বর্ণনাভঙ্গির জন্যই এ ঘটনার পবিত্রতা রচনা হলেও তিনি এ গ্রন্থ রচনায় যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাতেই তাঁর লেখনি ও সার্থকতা।’ (আবুল আহসান চৌধুরী, মীর মশাররফ হোসেন : সাহিত্যকর্ম ও সমাজচিন্তা)।
মীর মশাররফ হোসেন তাঁর এ গ্রন্থে বিবি কুলসুমের সঙ্গে তাঁর পরিণয়ের বিষয়টি অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। কুলসুমদের বাড়ির পাশ দিয়ে মীর সাহেব সাদা ঘোড়ায় চড়ে নানা সময় নানা কাজে যেতেন। অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কুলসুমও তাকে দেখতো শৈশবের ঔৎসুকভরা মন নিয়ে। এই মেয়েটির সারল্যে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। এর বহু বছর পরের কথা। কুলসুমদের গ্রামে একদিন দুপুরে আগুন লাগে। বহু লোকের মতো মীর সাহেবও আগুন দেখতে বের হয়েছিলেন। বাইরে এসে দেখলেনÑ ‘কত লোক আর্তনাদ করিয়া দোঁড়াইতেছে। একটি যুবতী একাই দৌঁড়িয়াছে। আগুনের তাড়না, তারপর দুইটা ঘোড়ার তাড়ায় প্রাণের ভয়ে হতাশ হইয়া উঠিয়াছে। আমাকে ধরো, বাঁচাও বলিয়া বলিতেছে; দৌড়াইয়া আসিয়া আমাকে জড়াইয়া ধরিয়া কাঁপিতে লাগিল। সেই যে দেখিলাম, চিনিলাম, পূর্বে দেখিয়াছি, আজ ঘটনাক্রমে দেখিলাম। ঘরপোড়া আগুন দেখিতে না গেলে দেখিতাম না। ঘোড়ায় তাড়া না করিলে আমার বক্ষের মধ্যে মাথা লুকাইতো না। অভয় দান করিলাম। বক্ষে বক্ষে স্পর্শ হইলো। সুখের হৃদয়তন্ত্র বাজিয়া উঠিল।’ (বিবি কুলসুম)
এ ঘটনার পরই মীর সাহেব কুলসুমকে ঘরে আনেন এবং আত্মীয়স্বজন ও আজিজন্নেছার শত বিরোধিতা সত্ত্বেও কুলসুমকে ধর্মমতে বিবাহ করেন।
মশাররফ হোসেন ও কুলসুম বিবির সংসার এবং দাম্পত্য জীবনের স্নিগ্ধ মধুর লঘু পরিহাস রসিকতাময় বহু ছবিই এ গ্রন্থে রয়েছে। সদ্য বিয়োগবিধুর মীর সাহেব এ গ্রন্থের সূচনায় বিবি কুলসুম সম্পর্কে যে কথা লিখেছেন, তা একদিকে যেমন আবেগোচ্ছাসময় ও আন্তরিকতাপূর্ণ অন্যদিকে তেমনি কাব্যগন্ধী। উভয়ের প্রতি উভয়ের ভালোবাসা ছিল মধুর। মীর মশাররফ হোসেন তাঁর এ গ্রন্থে নিপুণ সরলতায় তাদের সুখময় দাম্পত্য জীবনের খুঁটিনাটি সব বিষয়াবলী আলোচনা করেছেন। তিনি অসঙ্কোচে ‘এই স্ত্রী’ই তাহার দৈব কারণ’ বলে স্বীকার করেছেন।
‘বিবি কুলসুম’ গ্রন্থটি একজন সত্যাশ্রয়ী লেখকের অকপটতার কারণে এক স্বতন্ত্র মর্যাদা পেয়েছে। অন্তরঙ্গ ঘরোয়া কথা পরিবেশনের সূত্র ধরে সামাজিক রীতি-নীতি অনেক প্রসঙ্গও এখানে বিধৃত হয়েছে। শিল্পী হিসেবে মশাররফের স্বতন্ত্র এই যে, আধুনিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ মুসলিম সমাজ থেকে আবির্ভূত হওয়া সত্ত্বেও প্রথম থেকেই তিনি সৃজনশীল সাহিত্যের মানবতাবাদী মৌল ধারাটির সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
বিবি কুলসুম’ গ্রন্থে পতœী বিয়োগে শোককাতর স্মৃতিতাড়িত এক প্রেমিক পুরুষের আত্মবেদনার করুণ কাহিনি ফুটে উঠেছে। হৃদয়ের অবিরল রক্তক্ষরণে রঞ্জিত হয়েছে এই রচনা। তাই অনেক ক্ষেত্রেই শিল্পের গ-ি অতিক্রম করে গেছে। তবুও এ কথা বলা যায় যে, মীর মানসের অবক্ষয়ের কালে ‘বিবি কুলসুম’ একমাত্র রচনাÑ যার মধ্যে গ্রন্থকারের পরিণত শিল্পচেতনার পরিচয় পাওয়া যায়।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম