নিজের সার্টিফিকেট জ্বালিয়ে আলোচনায় ইডেন শিক্ষার্থী
২৯ মে ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম | আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সবগুলো সার্টিফিকেট জ্বালিয়ে দিয়েছেন ইডেন কলেজের মুক্তা সুলতানা নামে এক শিক্ষার্থী। এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজনদের মাঝে তা ব্যাপক ভাইরাল হয়।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের মেয়ে মুক্তা, ৩ ভাই-বোনের মধ্যে সে বড়। তার বাবার মৃত্যুর পর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এরপর মুক্তা একটি কাপড়ের শো-রুমে চাকরির পাশাপাশি নিজের পরিবারের হাল ধরেন। তারপরও তিনি পড়াশোনা বন্ধ করেননি। কিন্তু জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় হওয়ায় মাস্টার্স শেষ করতেই সরকারি চাকরির মেয়াদ ৩০ বছর প্রায় শেষ হয়ে যায়। সেজন্য তিনি ক্ষোভে তার সার্টিফিকেট জ¦ালিয়ে দেন।
এ বিষয়ে মুক্তা সুলতানা বলেন, যেদেশে ৩০ বছরের পর এ সার্টিফিকেটের কোনো মূল্য নেই। তখন এগুলো রেখে কি করবো, যার জন্য ক্ষোভে-কষ্টে আমি তা জ¦ালিয়ে দিয়েছি। চাকরির জন্য বয়সসীমা উম্মুক্ত করা দরকার। এ দেশের নীতি-নির্ধারকরা অন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো পরিবারের পুরুষরা যদি অক্ষম হয়ে যায়, তখন তাদের সঙ্গীরা উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরও পরিবারের হাল ধরতে পারে না। কারণ এ দেশে চাকরির নির্ধারিত বয়স রয়েছে। আমি ২৬ লাখ ৫০ হাজার বেকারদের হয়ে এর নিরব প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি নীতি-নির্ধারকদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দিখেয়ে দিয়েছি এ সিস্টেম চেইঞ্জ করা দরকার। তার দাবি হলো-চাকরির কোনো বয়সসীমা রাখা উচিত না। মানুষের যদি শারিরীক সক্ষমতা ও মেধা ভালো থাকে সে যেকোনো সময় ইচ্ছা করলেই যেন ভালো একটি চাকরি পেতে পারে।
তবে তার সাথে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং নেটিজনরা একমত প্রকাশ করে সরকারের সমালোচনা করেছেন।
ইকরাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সঠিক কাজ করেছেন বোন। ২৭ বছর কষ্ট করে যে সার্টিফিকেটগুলো অর্জন করতে হয় সেটির মেয়াদ বা মূল্যায়ন কেন ৩০ বছর পর্যন্ত থাকবে। সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। এই আপুর সাথে একমত।
সঙ্গি নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, উনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। চাকরির বয়সসীমা বাড়ালে এই সমস্যার সমাধান হবে না। বরং চাকরির ক্ষেত্রে কোনো বয়সসীমা থাকাই উচিত না। যদি কোনো ব্যক্তি যোগ্য এবং শারীরিকভাবে সবল থাকেন তাহলে সে যে কোনো বয়সে যাতে চাকরি পেতে পারে।
মিন্টু নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সরকারের উচিত শিক্ষিত বেকারদের ভাতা প্রদান করা, তা না হলে সকল বেকার যুবক-যুবতীদের উচিত সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা।
আননওন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বোনটি একেবারে ঠিক কাজ করেছেন। আমাদেরও সবার ৩০ বছর বয়সের পর এই অকেজো সার্টফিকেট পুরে ফেলা উচিত। কেনোনা এই দেশে ৩০ বছর বয়সের পর সাটিফিকেটের কোনো দাম নেই।
এনামুল হক নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এদেশে পড়াশোনা না করে রাজনীতির নামে পা-চাটা গোলামি করলে আজ হয়তো একটা কর্মসংস্থান হতো।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা থাকবে : কুমিল্লায় প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী
ঈদে বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা- আইজিপি
দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন শাভি
খানসামায় ২২ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক
আমতলীতে এক কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণঃ তিন ধর্ষক গ্রেপ্তার
ইউক্রেনে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে রাশিয়ার আক্রমণ- দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
‘নাইটহুড’ সম্মানে ভূষিত হলেন ‘ওপেনহাইমার’ পরিচালক
আর্থিক জালিয়াতির দায়ে এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের জেল
বিচারিক বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না: সিজেপি
কুয়েতে কুরআনে হাফেজদের সম্মাননা প্রদান
রাজার সঙ্গে ভুটান সফরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাকিবকে পেয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ
মোংলায় বলগেট ডুবিতে নিখোঁজ ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার
মোরেলগঞ্জে নদীতে ডুবে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যু
কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীদের রামদায়ের কুপে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ছেলে আহত
হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক তিন অলরাউন্ডার যুক্তরাষ্ট্র দলে
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত