খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ

বিদ্যুতের লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ বিপর্যস্ত সমাবেশে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৯ জুন ২০২৩, ০৫:১২ পিএম | আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩, ০৫:১২ পিএম


খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। অতীতের মত সরকারের কলাকৌশল আর তালবাহানার নির্বাচন জাতি আর দেখতে চায় না। সরকার যত উন্নয়নের কথা বলে ততই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উন্নয়ন জনগণ চায় না। বিদ্যুত বিল জনগণ পরিশোধ করলেও সরকার নাকি টাকার অভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। এটা প্রহসন ছাড়া আর কিছু না। জাতির মুক্তির জন্য খেলাফত মজলিসের ৮ দফা মানতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচন নীতি বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিজয় নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব ড.আহমদ আবদুল কাদের। ঢাকা মহনগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও উত্তর সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল আজিজুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মো. জিল্লুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলী, শ্রমিক মজলিসের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, এনামুল হক হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, সেলিম হোসাইন, মুজিবুল হক, মনসুরুল আলম মনসুর, জিয়া উদ্দিন আকাশ, এবিএম শহিদুল ইসলাম, হাফেজ সালমান আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেন, সরকার মানুষকে ১০ টাকার চাল খাওয়াবে ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিবে বললেও দিতে পারে নাই। অনেক স্থানে বিদ্যুতের লাইন
পৌছালেও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। সরকার জনদুর্ভোগের কথা স্বীকারই করছে না। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অবিলম্বে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিতে হবে। সমাবেশের পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে সমাপ্ত হয়।
মানববন্ধনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ : কোরবানীর পশুর চামড়া প্রতি বর্গফুট গরু ১২০ ও খাসি ৭০ টাকা নির্ধারণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আনার দাবি জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। আজ শুক্রবার, জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির সভাপতির বক্তব্যে উল্লেখিত দাবি জানিয়েছেন। উপরোক্ত দাবি আদায়ে ১৪ জুন বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রী ও ১৯ জুন সোমবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে স্মারকলিপির কর্মসূচি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন শহিদুল ইসলাম কবির।
এতে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ নেতা মো. আবু শোয়াইব খান, শ্রমিক নেতা মো. ঈমান উদ্দিন, মো. ইমাম হোসেন ভূইয়া। কোরবানীর পশুর চামড়া প্রতি বর্গফুট গরু ১২০ ও খাসি ৭০ টাকা মূল্য নির্ধারণ এবং ৬ মাস গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকরে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আনা, বিদ্যুত গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, করযোগ্য আয় না থাকলেও আগামী অর্থ বছর থেকে শূন্য রিটার্ন জমা দিলেও দুই হাজার টাকা আয়কর দেয়ার প্রস্তাব বাতিল এবং সরকারি চাকরিতে শূন্য থাকা ৪ লাখ ৯০ হাজার শূন্য পদে দল-মত, ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে যোগ্যদেরকে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেয়ার দাবীতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

কাশিমপুর কারাগার হতে জামিনে মুক্ত হলেন আল্লামা মামুনুল হক

কাশিমপুর কারাগার হতে জামিনে মুক্ত হলেন আল্লামা মামুনুল হক

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই : চিকিৎসক

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই : চিকিৎসক

উখিয়া থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি'র সদস্যরা

উখিয়া থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি'র সদস্যরা

বিশ্বের দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য

বিশ্বের দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থান নিল রুশ সেনা

নাইজারে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থান নিল রুশ সেনা

মুদ্রাপাচার নিয়ে সরকার ও আইএমএফ রহস্যজনক কারণে নীরব : ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন

মুদ্রাপাচার নিয়ে সরকার ও আইএমএফ রহস্যজনক কারণে নীরব : ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন

বাইডেন না ট্রাম্প, কে হবেন প্রেসিডেন্ট? জানালেন বিখ্যাত ভোটকুশলী

বাইডেন না ট্রাম্প, কে হবেন প্রেসিডেন্ট? জানালেন বিখ্যাত ভোটকুশলী

তথ্য পাঠাচ্ছে চীনের বৃষ্টিপাত পরিমাপক স্যাটেলাইট

তথ্য পাঠাচ্ছে চীনের বৃষ্টিপাত পরিমাপক স্যাটেলাইট

ইইউ-তে ফ্রান্স চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার

ইইউ-তে ফ্রান্স চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার

বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ভয়াবহ ধস

বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ভয়াবহ ধস

পুরুষদের থেকে বেশি সময় বাঁচলেও অসুস্থ থাকেন মহিলারা, গবেষণাপত্রে প্রকাশ

পুরুষদের থেকে বেশি সময় বাঁচলেও অসুস্থ থাকেন মহিলারা, গবেষণাপত্রে প্রকাশ

তাইওয়ান ইস্যুতে ডব্লিউএইচও-কে ব্যবহার না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের তাগিদ

তাইওয়ান ইস্যুতে ডব্লিউএইচও-কে ব্যবহার না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের তাগিদ

বজ্রপাতে ৫ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের

বজ্রপাতে ৫ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের

ভারী বর্ষণে ফের ডুবল দুবাই, বন্ধ স্কুল ও অফিস

ভারী বর্ষণে ফের ডুবল দুবাই, বন্ধ স্কুল ও অফিস

ওমানে বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, ছুটি ঘোষণা

ওমানে বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, ছুটি ঘোষণা

পালক পুত্রের সঙ্গে বিছানায় থাই রাজনীতিবিদ

পালক পুত্রের সঙ্গে বিছানায় থাই রাজনীতিবিদ

ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ দমাতে শিক্ষার্থীদের উপরে অকথ্য নির্যাতন মার্কিন পুলিশের

ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ দমাতে শিক্ষার্থীদের উপরে অকথ্য নির্যাতন মার্কিন পুলিশের

ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ : যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে ২০০০ গ্রেফতার

ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ : যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে ২০০০ গ্রেফতার

পর্তুগালে ১৭ বছর ধরে ক্রীতদাস রাখার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

পর্তুগালে ১৭ বছর ধরে ক্রীতদাস রাখার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

এবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান

এবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান