রাজধানীর সড়ক এখনো ফাঁকা, নেই যানজটের ভোগান্তি
০৪ জুলাই ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষে পেরিয়েছে দুই কার্যদিবস। তৃতীয় কার্যদিবসেও এখনো যানজটের নগরী ঢাকার রাস্তা স্বরূপে ফেরেনি। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অফিস খুললেও ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের চাপ এখনো অনেক কম। ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা যায়নি তেমন। ফলে এখনো রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তা প্রায় ফাঁকাই রয়েছে।
রাস্তায় মানুষের চলাচল যেমন কম, তেমনি ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজি, রিকশার চলাচলও তুলনামূলক কম। তবে গত দুই দিনের তুলনায় মঙ্গলবার ঢাকার রাস্তায় মানুষের চলাচল ও গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য তাতেও যানজটপ্রবণ রাস্তাগুলোতে যানজটের তেমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না।
যানজট না থাকায় বেশ স্বস্তিতে চলাচল করছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। এ কারণে অফিস শুরুর আগে কোনো কোনো অঞ্চলে যাত্রীদের গণপরিবহনে উঠতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অবশ্য সকাল সাড়ে ১০টার পর গণপরিবহনে যাত্রীদের সেই চাপ ছিল না। শান্তিনগর থেকে বাড্ডার অফিসে আসা মো. সজিব বলেন, অফিস সময়ে শান্তিনগর থেকে বাড্ডা পর্যন্ত পুরো রাস্তায় সচরাচর যানজট থাকে। বাসা থেকে অফিস আসতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ঈদের পর এখনো রাস্তায় যানজট পাইনি। ২০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শান্তিনগর থেকে বাড্ডায় চলে এসেছি।
তিনি বলেন, গত দুই দিনের মতো আজও রাস্তায় যানজট ছিল না। তবে গাড়িতে আজ যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। এ কারণে অফিসে আসার পথে গাড়িতে উঠতে একটু বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম। সদরঘাট থেকে বেশিরভাগ বাস যাত্রী ভরে আসছিল। তবে বাসে ওঠার পর সহজেই বাড্ডায় চলে এসেছি। কোথাও কোনো যানজটে পড়তে হয়নি।
মধ্য বাড্ডায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কথা হয় আকাশ পরিবহনের চালক মো. তসলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় আজ সকালে অফিস শুরুর আগে যাত্রীর চাপ একটু বেশি ছিল। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যও কিছুটা বেড়েছে। তবে রাস্তায় কোনো যানজট নেই। আমাদের ধারণা, চলতি সপ্তাহে ঢাকার রাস্তায় যানজট হবে না। কারণ ঢাকা থেকে দূরে ঈদ করতে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষ এখনো ফিরে আসেনি।
গত ২৯ জুন পালিত হয়েছে মুসলমান ধর্মালম্বীদের বৃহৎ উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদ উপলক্ষে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন নির্ধারিত হয় সরকারি ছুটি। এর সঙ্গে ২৭ জুন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
এতে ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি মেলে চারদিন। সরকারি ছুটি শেষে ১ জুলাই পড়ে শনিবার। ফলে আরও একদিন ছুটি বেড়ে যায়। টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গত রোববার থেকে আবার অফিস শুরু হয়েছে। অফিস শুরু হলেও এখনো বেশিরভাগ অফিসের কর্মীদের একটি অংশ অনুপস্থিত রয়েছেন। কারণ তারা ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। আবার অনেক চাকরিজীবী নিজে ঢাকায় আসলেও পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছেন।
মতিঝিলের একটি বিমা কোম্পানিতে চাকরি করা ফয়সাল হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি শেষে গত রোববার আমাদের অফিস খুলেছে। রোববার থেকেই আমি অফিস করছি। আমার ছেলের স্কুল খুলবে ৯ জুলাই। তাই গ্রামের বাড়িতে পরিবার রেখে চলে এসেছি। আমার স্ত্রী ও ছেলে আসবে ৮ জুলাই।
তিনি বলেন, অফিস খুললেও এখনো সবাই অফিসে যোগ দেয়নি। অনেকে ঈদের ছুটির সঙ্গে ৪-৫ দিন অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছেন। তারা এখনো অফিসের বাহিরে রয়েছেন। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে সবার ছুটি শেষ হয়ে যাবে। আমাদের ধারণা আগামী রোববার থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সউদী আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৩৬
যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রফতানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা
বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে যা বললেন এরদোগান
নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ
সৈয়দপুরে পিকআপের ধাক্কায় এক শ্রমিক নিহত
শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শ্রমিকদের সঙ্গে খুবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না : বিক্ষোভ মিছিলে খেলাফত আন্দোলন
আগরতলায় সহকারি হাইকমিশনে উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ
বগুড়ায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে ৩ প্রতারক গ্রেফতার
পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও ২৪'র গণহত্যার বিচারের জন্য ছাত্র ঐক্যের প্রয়োজন: শিবির সভাপতি
‘কুটনীতিকদের উপর আক্রমণ করে ভারত নিজেদের অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে’
ষড়যন্ত্র রুখতে সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোয় বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
ইনকিলাব সাংবাদিকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
পঞ্চগড়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল
অব্যবহৃত মসজিদ বা তার জায়গা সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে?
চা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করুন