ইতিহাসের পাতায় আ. লীগের নাম বিশ্বাসঘাতক হিসেবে লেখা থাকবে : ১২ দলীয় জোট
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪১ পিএম | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪১ পিএম
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাইরের একটি সংস্থা দ্বারা হত্যার ভিন্ন কৌশল নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় শেখ হাসিনার অন্তর জ্বালা। তাই গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসাধীন কক্ষে 'সুজন' নামে এক যুবকের অনুপ্রবেশের চেষ্টা খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি রক্ত দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে, বাংলাদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা চিরতরে মুছে দেওয়া হবে এবং ইতিহাস পাতায় আওয়ামী লীগ জাতীয় বিশ্বাস ঘাতক হিসেবে লেখা থাকবে। নেতারা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবী করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় সরকার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে 'অসহযোগ' আন্দোলনের সমর্থনে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি -জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় সরকারিভাবে পুলিশের একটি নিয়মিত কর্তব্যরত ফোর্স হাসপাতালে থাকার পরেও এমন ঘটনা জনমনে গভীর উদ্বেগজনক। তবে শেখ হাসিনা সরকার অবৈধ নির্বাচনকে স্থগিত করার ভিন্ন কৌশল খুঁজতে গিয়ে নির্বাচনের ভিন্ন প্রভাব খালেদা জিয়ার ওপর দিয়ে ঢাকতে চায় কিনা এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে শেখ হাসিনার পরিনতি কেমন হবে তা সময় বলে দিবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জাতীয় বেঈমান। এই সরকার জনগণের সাথে গত পনের বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে। ঘরে ঘরে চাকরি দিতে পারে নাই। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে পারে নাই। তারা লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করুন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির( কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ,ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ প্রমুখ।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস