হালাল উপার্যনের অর্থ দিয়ে হজে যেতে হবে জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম
ইসলামের পাচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি ফরজ বিধান। শাওয়াল মাস থেকেই হজের মাসের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। যার আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ আছে তার ওপর হজ ফরজ করা হয়েছে। শুধু পুরুষই নয়; মহিলাদের ওপরও হজ ফরজ করা হয়েছে। হালাল উপার্যনের অর্থ দিয়ে হজে যেতে হবে। কারো অর্থ আত্মসাৎ বা মানুষের হক নষ্ট করে হজে গেলে হজ হবে না। সুদ-ঘুষ খেয়ে হজে গেলেও হজ হবে না। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, ইসলামের পাচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি ফরজ বিধান। শাওয়াল মাস থেকেই হজের মাসের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। যার আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ আছে তার ওপর হজ ফরজ করা হয়েছে। শুধু পুরুষই নয়; মহিলাদের ওপরও হজ ফরজ করা হয়েছে। খতিব বলেন, আল্লাহ এই জমিন সৃষ্টির পরেই পবিত্র বায়তুল্লাহর ঘর তৈরি করেছেন। ইব্রাহিম আ. বায়তুল্লাহ থেকে আজান দিয়েছেন। রুহের জগতে যারাই এই আজান শুনেছেন তারাই পবিত্র হজ করার সুযোগ পাবেন। বিশ্বের সকল হাজীগণই একই রকম এহরামের কাপড় পড়ে লাব্বাইক আল্লাহুম্মাহ লাব্বাইক বলে ওকোফে আরাফায় হাজির হবেন। হালাল উপার্যনের অর্থ দিয়ে হজে যেতে হবে। কারো অর্থ আত্মসাৎ বা মানুষের হক নষ্ট করে হজে গেলে হজ হবে না। সুদ-ঘুষ খেয়ে হজে গেলেও হজ হবে না। খতিব বলেন, রাসূল সা. এর বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ কিয়ামত পর্যন্ত গুরুত্ব বহন করবে। বিদায় হজের ভাষণে রাসূল সা. অমুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অমুসলিমদের কষ্ট দেয়া যাবে না। অমুসলিমদের কষ্ট দেয়া কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না। খতিব বলেন, সামর্থ থাকার পরেও যদি কেউ হজে না যায় তাকে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকতে হবে। আল্লাহ সবাইকে ছহিভাবে হজ্জে মাবরুর নছিব করুন। আমিন।
ঢাকার ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আমাদের মাঝ থেকে রমজান মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন আমাদের উচিত রমজানে যে সকল নেক আমল করেছি তা বহাল রাখা। কারণ এই ফেৎনার জমানায় নেক আমলের উপর অটল থাকা মানে সাহাবাদের যুগের পঞ্চাশ জনের নেক আমলের সমপরিমান সাওয়াবের যোগ্য হওয়া। ইবনে মাজাহ ও তিরমিজি শরীফের বর্ণনায় এসেছে: হযরত আবু সা’লাব আল খুশানী রাদি. বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন: তোমাদের পরে আসবে ধর্যের যুগ। যখন নেক আমলের উপর অটল থাকা হাতে আগুনের অঙ্গার রাখার সামতুল্য। এই কঠিন মুহুর্তে যারা নেক আমলের উপর অটল থাকবে তাদেরকে পঞ্চাশ জন ব্যক্তির সমপরিমান প্রতিদান প্রদান করা হবে। আবুদাউদ শরীফের বর্ণনায় এসেছে যে সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ আমাদের যুগের পঞ্চাশ জন নাকি তাদের যুগের পঞ্চাশ জন? নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : বরং তোমাদের যুগের পঞ্চাশ জন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন: হে মানুষসকল তোমরা সাধ্যমত নেক আমল কর। কেননা তোমরা নেক আমল করতে থাকলে তা সাওয়াব প্রদানে আল্লাহ ক্লান্ত হন না। কিন্তু তোমরা যখন নেক আমল বাদ দাও তখন আল্লাহ তোমাদেরকে সাওয়াব প্রদান করেন না। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল তাই যা কম হোক কিন্তু সর্বদা আমল করা হয়। রমজানে বা বিশেষ বিশেষ সময় কিছু নেক আমল করলাম তাতেই যথেষ্ট না বরং তা সর্বদা আমলে রাখতে হবে। তাহলেই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুসংবাদের অধিকারী হওয়া যাবে। আল্লাহ সবাইকে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন।
মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি পেতে হলে কোরআন ও সুন্নাহের অনুসরণের বিকল্প নেই। দুনিয়ার মহব্বত সকল পাপের মূল। দুনিয়ার লোভ লালসার কারণে মানুষের নেক আমল নষ্ট হয়ে যায়। শয়তান মানুষের নিকট দুনিয়াকে সজ্জিত করে দেখায় আর মানুষ দুনিয়ার অর্থ সম্পদ, নারী গাড়ি, ঘর বাড়ি ও সম্মান মর্যাদার মোহে পড়ে অবুঝ শিশুর ন্যায় দুনিয়া নামক ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামান্য শান্তির আশায় পরকালের স্থায়ী অনাবিল শান্তি হারিয়ে ফেলে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিতেছ। অথচ আখিরাতের জীবনই উত্তম ও চিরস্থায়ী। (সূরা আ'লা )। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দুনিয়ার মহব্বত সমস্ত অপকর্মের উৎস। (আল হাদিস )। খতিব বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ দুনিয়ার মহব্বত ভালোবাসা, লোভ লালসা, সম্মান মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে পরস্পরে মারামারি কাটাকাটি, সন্ত্রাসী রাহাজানি, জুলুম অত্যাচার, নির্যাতন নিপীড়ন ও দুর্নীতি, হক তলফী এমনকি অপর ভাইকে অন্যায় ভাবে হত্যা পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করে না। যার কারণে দুনিয়া থেকেই জাহান্নামী সাব্যস্ত হয়ে যায়। অতএব আসুন দুনিয়ার মহব্বত, লোভ লালসা , যশ খ্যাতি, অহংকার তাকাব্বুরি ও সর্বপ্রকার গুনাহের কাজ পরিহার করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে জীবন গড়ি। তাহলেই দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি আসবে। আল্লাহ সকলকে তৌফিক দান করুন। আমিন।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অতিক্তি লোক ভিড় করায় মাওলানা মামুনুল হক মুক্তি পাননি
দুটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারসহ চার জাহাজে হামলা হুতিদের
দক্ষিণাঞ্চলীয় বাহিনীর সদর দফতরে হামলা রাশিয়ার
আমাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় কে?
ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-১
সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-১
উচ্চতাপ বজ্র-ঝড় কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এ মাসেই
অবশেষে গ্রেফতার সেই ভয়ঙ্কর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দার
ধরা পড়েনি কিলিং মিশনের ১২ খুনি, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের
ওসির শেল্টারেই চেয়ারম্যান তপনের নানা অপকর্ম
জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ আজ
৭ জানুয়ারির নির্বাচন ’৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচন -ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সচিবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
কাউকে ছাড় দেবে না বিএনপি
ওমরা পালনে সস্ত্রীক সউদী আরব গেছেন মির্জা ফখরুল
শনিবার মাধ্যমিকে রোববার থেকে প্রাথমিকে পাঠদান চলবে
এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার
রাশিয়ার উপগ্রহ-বিরোধী পারমাণবিক অস্ত্র ভয়ঙ্কর হতে পারে : পেন্টাগন
শিক্ষা ক্যাম্পাসজুড়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, চলছে গ্রেফতার-উচ্ছেদ