মুগদায় দ্বিতীয় দিনেও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-দোকানপাট

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

সংকীর্ণ রাস্তা প্রসারিত করতে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

গতকাল থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এই এলাকায়। অভিযানে রাস্তার দুইপাশে থাকা ভবন, বাড়ি, দোকানপাটগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার মুগদা ব্রিজের দিক থেকে মুগদা প্রধান সড়কের দিকে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রাজউক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়াও বিপুল পরিমাণে পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া এলাকাবাসী কর্তৃক সৃষ্টি হওয়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রেখেছে সংশ্লিষ্টরা।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে মান্ডা ব্রিজ থেকে মুগদা প্রধান সড়ক পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের ভবন, বাড়ি, দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে। প্রথম দিনে এলাকাবাসী কিছুটা বাধা দিলেও, দ্বিতীয় দিনে এসে কোনোরকম বাধা ছাড়াই সব ভবন দোকান-পাট গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অভিযান প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অভিযান পরিচালনার টিমে থাকা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আমাদের এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মুগদা প্রধান সড়ক পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে থাকা ভবন দোকান আমরা ভেঙে দিচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাবাসী যানজটের কবলে পড়ে থাকতো, সংকীর্ণ রাস্তা হওয়ার কারণে দিনরাত সবসময়ই এই সড়কে যানজট দেখা যেত। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ অভিযান পরিচালনা করে প্রচুর পরিমাণে লোকের চলাচল করা এই রাস্তা প্রসারিত করা হবে।

অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ ছাড়া দোকানগুলোর না ভাঙতে গত পরশু সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, মুগদা এলাকার প্রধান সড়কের দুই পাশের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজস্ব জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা এবং আমরা রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। মুগদার প্রধান সড়কটি সর্বশেষ ঢাকা সিটি জরিপ অনুযায়ী ৩০ ফুট প্রশস্ত। সম্প্রতি রাজউকের নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি এ সড়ক এটি ৫০ ফুট বা ৬০ ফুট প্রশস্ত করা হবে। নকশা চেয়ে রাজউক থেকে আমাদের অনেককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে নোটিশ পায়নি।

তারা বলছে, রাজউকের লোকজন জানিয়েছে, আমাদের জায়গাসহ বাড়িঘর শিগগিরই ভেঙে ফেলে সড়ক নির্মাণ করবে। কিন্তু তারা জমিগুলো এখনো আইনিভাবে অধিগ্রহণ করেনি। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের জমি কি পরিমাণ অধিগ্রহণ করা হবে তা-ও জানায়নি বা জমি বা জমির ওপর স্থাপিত বিল্ডিং বা বাড়ির ক্ষতিপূরণ কি দেওয়া হবে তা-ও জানায়নি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) থেকে সড়কের আশপাশের সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছে ঢাকায়, জনজীবনে স্বস্তি

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছে ঢাকায়, জনজীবনে স্বস্তি

৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

হিজবুল্লাহর হামলায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ কথা স্বীকার করল ইসরাইল

হিজবুল্লাহর হামলায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ কথা স্বীকার করল ইসরাইল

জাপানের পরমাণু দূষিত পানি সমুদ্রে ফেলা প্রতিবেশী দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ

জাপানের পরমাণু দূষিত পানি সমুদ্রে ফেলা প্রতিবেশী দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ

পার্লামেন্টে তুমুল মারামারিতে জড়ালেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা

পার্লামেন্টে তুমুল মারামারিতে জড়ালেন তাইওয়ানের আইনপ্রণেতারা

পাকিস্তানের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ ক্রিকেট দল

পাকিস্তানের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ ক্রিকেট দল

হামাসের পাল্টা হামলায় নাস্তানাবুদ ইসরায়েলি সেনারা

হামাসের পাল্টা হামলায় নাস্তানাবুদ ইসরায়েলি সেনারা

দুবাই ফেরত যাত্রীর কাছে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ!

দুবাই ফেরত যাত্রীর কাছে মিলল সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ!

অসহায় শিশুর জীবন বাঁচাতে যা করলেন সোনু সোদ

অসহায় শিশুর জীবন বাঁচাতে যা করলেন সোনু সোদ

সউদীতে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

সউদীতে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

অবসর ভাতা পাচ্ছেন না সৈয়দপুর রেলওয়ের কারখানার ৩ হাজার ৮৭৩ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী

অবসর ভাতা পাচ্ছেন না সৈয়দপুর রেলওয়ের কারখানার ৩ হাজার ৮৭৩ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী

যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি না-করা

যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি না-করা

কেএনএফের নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম

কেএনএফের নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫১ কোটির ড্রোন ভূপাতিত করল হুথিরা

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫১ কোটির ড্রোন ভূপাতিত করল হুথিরা

নির্বাচনী মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলা, মুন্সীগঞ্জে আহত ১০

নির্বাচনী মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলা, মুন্সীগঞ্জে আহত ১০

তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন জাহাজের অনুপ্রবেশ

তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন জাহাজের অনুপ্রবেশ

গাজায় তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার ইসরায়েলের

গাজায় তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার ইসরায়েলের

গাঁজা খেলে আর জেল নয়, আনা হচ্ছে বড় আইন

গাঁজা খেলে আর জেল নয়, আনা হচ্ছে বড় আইন

অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার

অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার

নির্বাচনী প্রচারণার মাঠের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫

নির্বাচনী প্রচারণার মাঠের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫