২১ আগস্ট ঘিরে চাপা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাপা উত্তেজনা : সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান
২০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
আগামীকাল বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার উপর এক নারকীয় বোমা হামলা পরিচালিত হয়। এতে ২৪ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক মানুষ নানাভাবে আহত হয়। আওয়ামী লীগের তরফে এই হামলার জন্য তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চাক দলীয় জোট সরকারকে দায়ী করা হয়। সেই সময় দায়ের করা এক মামলার তদন্তে মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এফবিআই এবং ইন্টারপোল তথ্যগত সহায়তা প্রদান করে। কিন্তু তৎকালীন সরকারের তদন্ত রিপোর্ট ও বিচার প্রক্রিয়া আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করে। ৪ দলীয় জোট সরকার পতনের পর ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন সরকার নামক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসলে এই মামলা নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দকে এই মামলার পুণঃ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই তদন্তে উক্ত হামলার জন্য হরকতুল জেহাদ নামে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনকে দায়ী করা হয়। এবং হামলার পরিকল্পনার জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার পুত্র তারেক রহমান সহ বিএনপি'র বেশ কিছু নেতা এবং গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের বেশ কিছু কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়। এই হামলার প্রধান আসামি সরকার জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান পুলিশের স্বীকারোক্তিতে জানান, মূলত শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উক্ত ব্যক্তিদের পরামর্শে এই হামলা পরিচালনা করেন তিনি। যদিও পরবর্তীকালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই জবানবন্দি জোরপূর্বক নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন।
২০১৮ সালে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত এই মামলার রায়ে ১৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। এছাড়াও তারেক রহমানসহ ১৯ ব্যক্তিকে আজীবন কারাদণ্ড এবং ৩৮ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিএনপি'র পক্ষ থেকে এই রায় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
২০ বছর পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুনরায় একুশে আগস্ট জাতির সামনে উপস্থিত। এরমধ্যেই টানা ১৬ বছর ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার এক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন। নতুন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করছে মাত্র ১৫ দিন। দিল্লিতে পলাতক শেখ হাসিনার কুটকৌশলে দেশের মধ্যে একের পর এক প্রতি বিপ্লবের ষড়যন্ত্র পরিচালিত হচ্ছে। এসব মোকাবেলা করে দেশকে স্থিতিশীলতা এনে দিতে যখন নতুন সরকার দিনরাত কাজ করছে সেই সময়ে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে অসহযোগিতার নামে এক ধরনের অঘোষিত বিদ্রোহ ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিপোর্টে ও মন্তব্যে দেখা যাচ্ছে, মূলত প্রতি বিপ্লবের সহযোগী পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার সমর্থক সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই আন্দোলনে সংযুক্ত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর পল্টন, সচিবালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে যানজটের এই চিত্র দেখা গেছে। শাহবাগে ঢাকার বাইরে থেকে বাস ভাড়া করে এসে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এমনকি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৯ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় লাইব্রেরিতে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের কল্যাণ সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমবেত হয়ে তাদের পদনাম পরিবর্তন, পেশাগত ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, বেতন কমিশন গঠনের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানান।
সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার সরেজমিন পরিদর্শন করে আরো দেখতে পান, চাকরি জাতীয়করণ, বৈষম্য দূরীকরণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে শাহবাগ মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সচিবালয়ের সামনে বিভিন্ন সংগঠন, ফোরাম ও বঞ্চিতরা সভা-সমাবেশ করছে। ১৭ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন মিডওয়াইফ ও নার্সরা। একই স্থানে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন মহিলা স্বেচ্ছাসেবীরা। আগের দিন ১৮ আগস্টও এই সংগঠনগুলো সমাবেশ করেছে।
এছাড়া আন্দোলনে দেখা যায় আরও বেশ কিছু সংগঠনকে। সচিবালয়ের সামনে বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা, বিসিএস মৎস্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা, মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন এনএটিপি-২ এর সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (মৎস্য) কল্যাণ ফোরাম, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা স্বেচ্ছাসেবী (মহিলা) দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ, জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম’। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় লাইব্রেরিতে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের কল্যাণ সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমবেত হন। এ সময় ৯ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের সঙ্গে ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের নারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অতিথি ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে। এ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা এইচ এস সি পরীক্ষা বাতিল, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, তৎকালীন বিডিআর থেকে চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা স্বেচ্ছাসেবী (মহিলা) দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ, মাদরাসা বোর্ডের বৈষম্যে রোধে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, গ্রাম পুলিশ সদস্য, ডিপ্লোমা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংস্কারের দাবি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্মচারী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মচারী, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পের গেইটকিপার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কর্মচারীরা সমাবেশ ও মানববন্ধন করে।
এতসব সরকারি কর্মকর্তাদের এত দাবী দাওয়া এতদিন কোথায় ছিল, এতদিন কেন তারা এই দাবি-দাওয়া নিয়ে উচ্চকিত হয়নি এমন প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একটি প্রবল বৈরী পরিবেশে দায়িত্ব নেয়া বর্তমান সরকার যখন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন ও স্থিতিশীল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, সেই সময় সরকারকে স্থিতিশীল হতে সহযোগিতা না করে দাবী দাওয়া পূরণের নামে যে অসহযোগিতা করা হচ্ছে তা মূলত বিদ্রোহের নামান্তর। এগুলো কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে এমন দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে তা সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় হয়েছে। ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই সকল নিয়োগ পেয়েছে। তারা সরকারি চাকরি করলেও দলীয় আনুগত্য ও চেতনা পরিত্যাগ করতে পারেনি। এমনকি সরকার প্রশাসন পরিচালনায় যোগ্যতার থেকে দলীয় আনুগত্য কে বেশি প্রাধান্য দেয়ায় প্রশাসন মূলত প্রশাসন লীগ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল নেটাগরিকদের মধ্যে। এই প্রশাসন লীগের কর্মকর্তারা সবসময়ই পরবর্তী সরকারের জন্য একটি হুমকি হিসেবে সক্রিয় থাকবে।
এই অবস্থায় আরেকটি একুশে আগস্ট সামনে রেখে দেশবাসী ও সোশ্যাল মিডিয়ায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিগত জোট সরকারের সময় বিচারপতি জয়নুল আবেদীন কে চেয়ারম্যান করে একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হয়। এই তদন্ত কমিটি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার উপরে একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তৎকালীন চাপ দলীয় জোট সরকার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। শুধু তাই নয়, ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের পরিচালিত বহুল আলোচিত বোমা হামলাগুলোর উপর বিচারপতি আব্দুল বারী সরকারকে প্রদান করে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিচারপতি আব্দুল বারী সরকার এসব বোমা হামলার পেছনের ঘটনা উদঘাটন করতে সক্ষম হন এবং তার তদন্ত রিপোর্টে সেগুলো প্রকাশ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে চার দলীয় জোট সরকার সেই রিপোর্টও প্রকাশ করেনি। তাদের এই ব্যর্থতার কারণে একসময় উক্ত বোমা হামলার দায়ভার তাদের উপরই আপতিত হয়। ঠিক যেমন একই সময়কালের দুর্নীতি নিয়ে একটি তিন খন্ডের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ৪ দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রিন্ট হয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও চিহ্নিত কিছু টেবিলের ড্রয়ারে এই দুর্নীতির শ্বেতপত্র আটকা পড়ে থাকে। দেরিতে হলেও উক্ত রিপোর্টগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা এখন গণদাবি।
নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দিল্লি একের পর এক নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতি বিপ্লবের নীল নকশা দেশের উপর আপতিত হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারকে সর্বোচ্চ সচেতন ও সতর্ক থাকবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জয়পুরহাটে বিডিআরের ৩ দফা দাবিতে সদস্যদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি
প্রতিদিন বাসার খাবার নিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তারেক রহমান
ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় তিন দিনে নিহত ৯ জন, আহত-৩৫
ডিমলায় মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন আহত
মাসের ব্যবধানে বরিশালের বাজারে সবজির মূল্য ৮০ ভাগ হ্রাস
লক্ষ্মীপুরে ৩ দফা দাবিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন
কলাপাড়ায় জুয়েলার্সের মালিকের বাসায় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হানা, ৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দুই লাখ টাকা লুটের অভিযোগ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ
ঢাকার বায়ু দূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
কুমিল্লার সাথে নয়, নোয়াখালীর নামে বিভাগ চায় লক্ষ্মীপুরবাসী
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা, নেই লিটন ও হাসান মাহমুদ
সেতু নির্মাণকাজ বন্ধে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে ২ উপজেলাবাসি
জেলবন্দিদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পূনঃবহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশ
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন- সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে মৃত বেড়ে ১৬, ইরান চায় উদ্ধারকর্মী পাঠাতে
পুলিশকে জনগণের আস্থা অর্জনে ব্রতী হতে হবে সিআইডি প্রধান- মো.মতিউর রহমান শেখ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক
নোয়াখালীর হকার্স মার্কেটে আগুন, ব্যবসায়ীদের দাবি পূর্বপরিকল্পিত
দাম কম হওয়ায় লোকসানের মুখে গোয়ালন্দের পেঁয়াজ চাষীরা
আ.লীগ এমপির সঙ্গে বিনামূল্যে বিশ্বকাপ দেখেছেন টিউলিপ : প্রতিবেদন দ্য টেলিগ্রাফের