হাসনাতের জ্ঞান ফিরেছে, আঘাত পেয়েছেন মাথায়-ঘাড়ে: ঢামেক পরিচালক

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পর্যবেক্ষণে আছেন হাসনাত আবদুল্লাহ, আগামীকাল অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে।

গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর মুক্ত হয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান সারজিস।

আনসারদের সচিবালয় ঘেরাও নিয়ে তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক-ভাবে আজকের ঘটনা। বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্তে একটি অপশক্তি কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

হাসনাতের সবশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রি. জে. আসাদুজ্জামান বলেছেন, হাসনাত আবদুল্লাহর জ্ঞান ফিরেছে, মাথায় এবং ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।

তিনি আরও বলেন, সবমিলিয়ে আহত ৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালে। যাদের মধ্যে চারজন আনসার ছিলেন, বাকিরা শিক্ষার্থী। এরমধ্যে চারজন ভর্তি আছেন, বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

এর আগে, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি চালায় আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তবে রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আন্দোলনের স্থগিতের ঘোষণা দেন আনসারদের আন্দোলনের সমন্বয়ক নাসির মিয়া। কিন্তু বিকেলে সচিবালয় ঘেরাও দেয় কিছু আনসার সদস্য।

উপদেষ্টারা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা আটকা পড়ার খবরে সচিবালয়ের সামনে আসে হাজারও ছাত্র-জনতা। পরে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। যদিও এখন সেনাবাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এছাড়া অনেক আনসার সদস্যকে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার