ঢাকা   বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ফারুকীকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম



হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি শাহবাগী নাস্তিক্যবাদীদের দোসর। দেশের আধ্যাত্মিক রাহবার, হেফাজত আমীর শায়খূল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) কে তেঁতুল হুজুর বলে ব্যঙ্গ করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তিনি। যা ক্ষমা করা যায় না। তাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হেফাজত নেতৃদ্বয় বলেন, বিগত সরকার মুজিববাদকে পুঁজি করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই জালেম শাসকগোষ্ঠীর পতন নিশ্চিত হয়। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীসহ একাধিক উপদেষ্টা সেই পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর। বিভিন্ন সময়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা উপায়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেছেন, সমর্থন যুগিয়েছেন। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ সাবেক তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের একাধিক নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফারুকী। এছাড়াও তিনি গণঅভ্যুত্থানের পর সেই শাসনের প্রতীক সংস্কারের পক্ষে আওয়াজ তুলে এক প্রকার ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে নিজের অবস্থান পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন। যা দেশবাসীর দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিন জুলাই বিপ্লবে হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় এদেশের ছাত্র জনতাসহ আলেম ওলামারা সম্মিলিতভাবে বসিয়েছে। তারা আরো বলেন, দুঃখের বিষয়, হলো এই সরকারও ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছিল, তাদের বিচার এখনও হয়নি। এর বদলে তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছে। ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে এদেশের আপামর তৌহিদী জনতা আপনাদেরকেও ক্ষমা করবেনা। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশে কি যোগ্যতাসম্পন্ন লোকের অভাব পরেছে? ফারুকীর মতো একজন নাট্যকারকে কোন যুক্তিতে উপদেষ্টায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা দেশবাসী জানতে চায়? আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, জাতীয় মুনাফিক, গাদ্দার, নাস্তিক, মুরতাদ ও শাহবাগীদের অনুসারী, সমকামিতার পৃষ্ঠপোষক, ফ্যাসিস্টের দোসর কাউকে আমরা উপদেষ্টা পরিষদে দেখতে চাই না। শহিদ ভাইদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কখনোই তা মেনে নেওয়া হবে না।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

প্রেস রিলিজ সন্ত্রাস ও উগ্রতা সৃষ্টিকারী ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে ঢাকা ওলামা ঐক্য পরিষদ
একজন বিকৃত রুচির সমাজবিধ্বংসীকে উপদেষ্টা হিসেবে জনগণ দেখতে চায় না
শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা
ন্যায়পরায়ণ, আল্লাহভীরু শাসক ছাড়া শান্তির আশা করা যায় না -কক্সবাজারে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই
নাহিদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়নি
আরও

আরও পড়ুন

"মধুর বিরম্বনায় পড়লেন হিরো আলম,হরহামেশাই পাচ্ছেন উপদেষ্টা হওয়ার ফোনকল"

"মধুর বিরম্বনায় পড়লেন হিরো আলম,হরহামেশাই পাচ্ছেন উপদেষ্টা হওয়ার ফোনকল"

ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিন চোর আটক

ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিন চোর আটক

প্রেস রিলিজ সন্ত্রাস ও উগ্রতা সৃষ্টিকারী ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে ঢাকা ওলামা ঐক্য পরিষদ

প্রেস রিলিজ সন্ত্রাস ও উগ্রতা সৃষ্টিকারী ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে ঢাকা ওলামা ঐক্য পরিষদ

নতুন উপদেষ্টাদের বিষয়ে জনগণের অনাগ্রহ থাকলে খতিয়ে দেখব: মাহফুজ

নতুন উপদেষ্টাদের বিষয়ে জনগণের অনাগ্রহ থাকলে খতিয়ে দেখব: মাহফুজ

কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা একক নিয়ন্ত্রণের ঘোষণার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন জুবায়েরপন্থিরা

কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা একক নিয়ন্ত্রণের ঘোষণার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন জুবায়েরপন্থিরা

শেষ আটে চোখ রেখে মাঠে নামছে ফ্রান্স, ইতালি ও পর্তুগাল

শেষ আটে চোখ রেখে মাঠে নামছে ফ্রান্স, ইতালি ও পর্তুগাল

মালদ্বীপের বিপক্ষে হেরেই গেল বাংলাদেশ

মালদ্বীপের বিপক্ষে হেরেই গেল বাংলাদেশ

ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য হাসিনা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব জিম্মি করে দিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে: রিজভী

ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য হাসিনা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব জিম্মি করে দিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে: রিজভী

সাবেক আইজিপি শহিদুল ফের দুই দিনের রিমান্ডে

সাবেক আইজিপি শহিদুল ফের দুই দিনের রিমান্ডে

আগামীকাল বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

আগামীকাল বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

ব্যারিস্টার খোকনসহ ৬৬ জন আইনজীবীকে অব্যাহতি

ব্যারিস্টার খোকনসহ ৬৬ জন আইনজীবীকে অব্যাহতি

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা আইসিটি মামলা বাতিল

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা আইসিটি মামলা বাতিল

একজন বিকৃত রুচির সমাজবিধ্বংসীকে উপদেষ্টা হিসেবে জনগণ দেখতে চায় না

একজন বিকৃত রুচির সমাজবিধ্বংসীকে উপদেষ্টা হিসেবে জনগণ দেখতে চায় না

শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা

শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা

ইসলামি দেশগুলোতে ইরানের রপ্তানি ১৭ শতাংশ বেড়েছে

ইসলামি দেশগুলোতে ইরানের রপ্তানি ১৭ শতাংশ বেড়েছে

শুধু মুসলিম যাত্রীদের ‘হালাল ফুড’ দেবে এয়ার ইন্ডিয়া

শুধু মুসলিম যাত্রীদের ‘হালাল ফুড’ দেবে এয়ার ইন্ডিয়া

মানদণ্ড রেখে কাজ করলে সাধারণ প্রবাসীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে

মানদণ্ড রেখে কাজ করলে সাধারণ প্রবাসীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে

বাঘায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক

বাঘায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক

ন্যায়পরায়ণ, আল্লাহভীরু শাসক ছাড়া শান্তির আশা করা যায় না -কক্সবাজারে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

ন্যায়পরায়ণ, আল্লাহভীরু শাসক ছাড়া শান্তির আশা করা যায় না -কক্সবাজারে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই

ময়মনসিংহে শহীদ সাগরের কবর জিয়ারত করলেন নতুন বিভাগীয় কমিশনার

ময়মনসিংহে শহীদ সাগরের কবর জিয়ারত করলেন নতুন বিভাগীয় কমিশনার