সীমান্তে উসকানিদাতাদের চরম মূল্য দিতে হবে: আখতার হোসেন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ এএম

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা সীমান্তে শান্তি চাই। কোনো ধরনের অশান্তি চাই না। তারপরও যদি বাংলাদেশের মানুষকে বারবার উসকানি দেওয়া হয়, তাহলে উসকানিদাতাদের চরম মূল্য দিতে হবে। কারণ স্বাধীন ভূখণ্ড রক্ষায় বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত আছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ‘আগ্রাসন’ এবং বাংলাদেশিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার(১৮জানুয়ারি) রাতে মশাল মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এর আগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলে ‘দিল্লির আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

 

আখতার হোসেন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দিনে-দুপুরে বিএসএফ এসে আমাদের ফসল নষ্ট করছে।তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র নিক্ষেপ করার সাহস দেখিয়েছে। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষেরা তাদের প্রতিহত করতে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।বাংলাদেশের মানুষ পরাধীনতার স্বাদ আর কোনোভাবেই সহ্য করবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমাদের যে ভাইয়েরা আজকে বিজিবির সঙ্গে মিলে ভারতের আগ্রাসন রুখে দিয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।

 

বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গা কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দালাল খুনি হাসিনার পতনের পর দিল্লির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।এখন তারা বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে নয়ছয় করার চেষ্টা করছে। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এক এক ইঞ্চি জায়গা হারাতে দিব না। এজন্য বাংলার মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত আছে। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, ভারত বাংলাদেশের মানুষের পালস বুঝবে এবং তারা বাংলাদেশের উপর অযাচিত কোনো আগ্রাসন চালাবে না। কিন্তু যদি তা করা হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে।এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।

 


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সংস্কার শেষ করবে : মির্জা ফখরুল

জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবে তারা সংস্কার শেষ করবে : মির্জা ফখরুল

ঘাটতি পূরণে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে: কবির উদ্দিন

ঘাটতি পূরণে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে: কবির উদ্দিন

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ডিবিসিসিআই’র নতুন সভাপতি মামুন, সেক্রেটারি রিসালাত

ডিবিসিসিআই’র নতুন সভাপতি মামুন, সেক্রেটারি রিসালাত

হামাস বন্দি তালিকা না দিলে যুদ্ধবিরতি স্থগিত : নেতানিয়াহু

হামাস বন্দি তালিকা না দিলে যুদ্ধবিরতি স্থগিত : নেতানিয়াহু

কুলাউড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক-১

কুলাউড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক-১

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের '৯ম কর্ণেল কমান্ড্যান্ট' অভিষেক অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের '৯ম কর্ণেল কমান্ড্যান্ট' অভিষেক অনুষ্ঠিত

দ. কোরিয়ায় ইয়ুনের আটক বাড়ানোর পর আদালতে হামলা ও বিক্ষোভ

দ. কোরিয়ায় ইয়ুনের আটক বাড়ানোর পর আদালতে হামলা ও বিক্ষোভ

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প

ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরাইলি বিমানবন্দর বন্ধ

ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরাইলি বিমানবন্দর বন্ধ

৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বেচবে সরকার, পাওয়া যাবে যেখানে

৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বেচবে সরকার, পাওয়া যাবে যেখানে

লাইফ সাপোর্টে কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল

লাইফ সাপোর্টে কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল

স্পেনের এনজিওগুলো ইলন মাস্কের বিরোধিতায় এক্স ছেড়ে যাচ্ছে

স্পেনের এনজিওগুলো ইলন মাস্কের বিরোধিতায় এক্স ছেড়ে যাচ্ছে

যে দেশ বা সমাজে ন্যায়বিচার নেই, সে জাতিকে ধ্বংস করে দেন আল্লাহ: আল্লামা মামুনুল হক

যে দেশ বা সমাজে ন্যায়বিচার নেই, সে জাতিকে ধ্বংস করে দেন আল্লাহ: আল্লামা মামুনুল হক

গাজায় প্রতিদিন ঢুকবে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ

গাজায় প্রতিদিন ঢুকবে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ

যুদ্ধবিরতির আনন্দে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের আবেগ-উল্লাস

যুদ্ধবিরতির আনন্দে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের আবেগ-উল্লাস

ফের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস

ফের শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস

লিমায় স্প্যানিশ বিজয়ী ফ্রান্সিসকো পিজারোর মূর্তি পুনঃস্থাপন

লিমায় স্প্যানিশ বিজয়ী ফ্রান্সিসকো পিজারোর মূর্তি পুনঃস্থাপন

আবারও পেছাল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি

আবারও পেছাল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি

‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে’

‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে’