চাঁদাবাজির কারণে অপরিকল্পিত ছিল বঙ্গবাজার
২০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২১ পিএম
সম্প্রতি আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেটটির সুরক্ষার কথা না ভেবে অপরিকল্পিত গড়ে তোলা হয়েছিল দোকান ঘর। বঙ্গবাজারসহ আশপাশের মার্কেটের প্রতি ইঞ্চি জায়গা ভাড়া দেওয়া হয়। এ আবার এসব দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা হয়। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রকও পাল্টে যায়। বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্স ছাড়াও এর অংশ হিসেবে রয়েছে গুলিস্তান, মহানগর ও আদর্শ ইউনিট। এর বাইরে রয়েছে অ্যানেক্সকো এবং মহানগর কমপ্লেক্স। তবে শেষের দু’টি মার্কেট বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের আওতাভুক্ত নয়।
বঙ্গবাজার আগুনে পুড়ে গেলেও অন্যান্য মার্কেটের চাঁদাবাজি থেমে নেই। গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কোয়ার মার্কেট, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, রেলওয়ে সুপার মার্কেটের আশপাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে সিটি করপোরেশনের নিবন্ধিত দোকান ছিল ৮শ’ ৬৩টি। একইভাবে গুলিস্তান মার্কেটে ৬শ’, মহানগর মার্কেটে ৫শ’ ৯৯, আদর্শ মার্কেটে ৬শ’ ৭১ এবং ঢাকা সুপার মার্কেটে নিবন্ধিত দোকান ৮শ’ ২। এছাড়া অবৈধ দোকান ছিল ২শ’ ৯টি। পাঁচ মার্কেটের মোট ৩ হাজার ৭শ’ ৪৪টি দোকান থেকে প্রতি মাসে ৩শ’ টাকা করে চাঁদা নিতো মালিক সমিতি। এই হিসেব অনুসারে প্রতি মাসে ১১ লাখ ২৩ হাজার ২শ’ টাকা এবং বছরে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। এছাড়া সিঁড়ির নিচে, গলির সরু পথে বসানো অবৈধ ২শ’ ৯টি দোকান থেকে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করা হতো। যার পরিমাণ বছর শেষে প্রায় দেড় কোটি। অন্যান মার্কেটেরও অভিন্ন অবস্থা।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ রয়েছে এই মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছেন ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শাহাবুদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ এবং শাহজালাল সোহেল। সিন্ডিকেটে নিয়াজ মুর্শেদ জুম্মন নামের এক যুবদল নেতাও রয়েছেন। সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট মালিক সমিতির নেতারা তাদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মেয়র, ডিএমপি কমিশনার, র্যাবের ডিজিসহ বিবিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিকার মিলেনি।
উচ্ছেদ ঠেকানো এবং দোকান বৈধ করার কথা বলে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা নেন তারা। রেলওয়ে সুপার মার্কেটের বর্তমান নির্বাচিত কমিটির নেতাদেরও তারা মার্কেট থেকে বের করে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মার্কেটে চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাÐে জড়িত থাকায় যুবলীগের পদ খুইছেন শাহাবুদ্দিন। অবৈধ দোকান বিক্রি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পত্তির মালিকও হয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে তার কাছে সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দখলবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বংশাল থানা, শাহবাগ থানা ও আদালতে মামলা রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা শাহজালালের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে।
দোকান বিক্রি থেকে শুরু করে ভাড়া, সব কিছুই চলে শাহাবুদ্দিনের ইশারায়। এ নিয়ে হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটে। রেলওয়ে সুপার মার্কেট কমিটির নেতারা বলেছেন, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে হাছান মাহমুদ দল পাল্টে আওয়ামী লীগার হয়ে দখলদারি শুরু করে। ফুলবাড়িয়ায় দোকান অবৈধভাবে দোকান তৈরি এবং বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সমবায় মার্কেটের বাইরেও অবৈধভাবে হাছান ও তার লোকজন অনেক দোকান ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছিল।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ