ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
বে-খবর এনবিআর

মামলায় জিতেও অনাদায়ী পৌনে ৪০০ কোটি টাকা

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম

বন্ড কমিশনের ৩৭১ কোটি টাকা পড়ে আছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি:-এর কাছে। সকল পর্যায় অতিক্রম করে এই অর্থের ওপর আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তথা সরকারের। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ টাকা আদায়ে নেই কোনো উদ্যোগ। অভিযোগ রয়েছে, কাস্টমসের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের আশ্বাসে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি: এই পরিশোধ না করার কৌশল নিয়েছে। বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হলেও প্রায় পৌনে ৪০০ কোটি (সুদ ব্যতিত) টাকা উদ্ধারের নাম নেই। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক রফতানি বন্ড ও আইটি) হোসেন আহমদ বলেন, ইস্যুটি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই করছি। সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারের কাছ থেকে সর্বশেষ অবস্থা জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, মেসার্স খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি: দীর্ঘদিন ধরে বন্ড সুবিধার আওতায় (লাইসেন্স নং-০১/খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মূসক নং-১৫০২১০৪০৭৪৫) আমদানিকৃত কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রি করছে। বৈদেশিক মুদ্রায় বিবিএলসি না করে বাংলাদেশি মুদ্রায় বিবিএলসি করে পণ্য সরবরাহ করছে। আমাদানিকৃত কাঁচামাল বন্ড রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি না করে অবৈধভাবে ৬৪২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৮ টাকার মালামাল অপসারণ করে। এ ঘটনায় মামলা হয়। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকার তৎকালীন কমিশনার ফৌজিয়া বেগম ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট মামলাটির রায় দেন। রায়ে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি:-কে ২৭১ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা অর্থদ- দেয়া হয়।
রায়ে অপরাধের বিবরণ দিয়ে বলা হয়, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি: বন্ডিং সুবিধায় আমদানিকৃত ৭৬টি এলসির কাঁচামাল ছাড়করণের জন্য কাস্টমস হাউস চট্টগ্রাম, কাস্টমস হাউস বেনাপোল এবং কাস্টমস হাউস মংলায় আবেদন করে। বার্ষিক আমদানির প্রাপ্যতা না থাকায় এসব কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির আবেদন নাকচ করে দেয়। নাকচাদেশের বিরুদ্ধে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং রিট (নং-৫৭৫২/২০১৫) করে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠানটির এলসির কাঁচামাল ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ সাপেক্ষে মালামাল খালাসের নির্দেশ দেন। এ অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু এলসির কাঁচামাল ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ সাপেক্ষে বিভিন্ন কাস্টমস হাউস থেকে ছাড় করায়। এরই মধ্যে মংলা কাস্টমস হাউসে প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষা/নবায়ন সম্পন্ন হওয়ায় অবশিষ্ট এলসির কাঁচামাল বার্ষিক আমদানির প্রাপ্যতা সীটের ভিত্তিতে বিভিন্ন কাস্টমস হাউস থেকে খালাস দেয়া হয়। পণ্য ছাড়করণের আগে মংলা কাস্টমস হাউস হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে সিপি (সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল (নং-১৭৭৮/২০১৫) দায়ের করে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ৭৬টি বিল অব এন্ট্রি ব্যতিত পণ্য খালাসের ঘটনায় অনিয়ম এবং কর্মকর্তাদের যোগসাজশ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু তদন্ত কার্যক্রমে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি: কমিটিকে চরম অসহযোগিতা করে। এ ঘটনায় মংলা কাস্টমস খুলনা প্যাকেজিংয়ের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত করে। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ৬টি বন্ড অয়্যার হাউস সিলগালা করে দেয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সুপ্রিম কোর্ট মংলার তৎকালীন কাস্টমস কমিশনার ড. আল আমিন প্রমাণিককে নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে দেখা যায় আল আমিন প্রামাণিক আপিল বিভাগ নির্দেশিত তদন্ত কমিটিরও সদস্য। তাই মংলা কাস্টমস কর্তৃক খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ফাঁকি দেয়া রাজস্ব আদায় সংশ্লিষ্ট ন্যায় নির্ণয় কার্যক্রম ন্যায় বিচার পরিপন্থি মর্মে বিবেচিত হয়। এ প্রেক্ষিতে ড. আল আমিন প্রামাণিকের পরিবর্তে বন্ডিং কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ কমিশনার অব কাস্টমস’র নিচে নয়-এমন কোনো কর্মকর্তা দ্বারা ন্যায় নির্ণয় কার্যক্রম সম্পাদনে তৎকালীন কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে কমিশনার ফৌজিয়া বেগম ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট আদেশ দেন। আদেশে তিনি কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর ১৮১ ধারা বলে বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে ২০ কোটি টাকা বিমোচন জরিমানা করেন। কাঁচামালের ওপর প্রযোজ্য শুল্ক-করাদি বাবদ ২৭১ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা, আরোপিত অর্থদ- বাবদ ৮০ কোটি টাকা, বিমোচন জরিমানা বাবদ ২০ কোটি টাকাসহ মোট ৩৭১ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা ১৫ দিনের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধের আদেশ দেন।
কাস্টমসের এ রায়ের বিরুদ্ধে রিট করে (নং-১৪৫৬৪/২০১৬) করে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি:। ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মো. সেলিমের ডিভিশন বেঞ্চে প্রথম রিটটির শুনানি হয়। এরপর খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি:-এর সঙ্গে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের মধ্যে প্রায় অর্ধযুগ চলে আইনি লড়াই। শুনানির ৮৮ তম কার্যদিবসে গতবছর ২৯ আগস্ট বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি:-এর রিটটি খারিজ হয়ে যায়। এর ফলে ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের রায় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ধার্যকৃত অর্থ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের আইনগত প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়। রিট খারিজ হওয়ার পর বন্ড কমিশনার ইচ্ছে করলেই পৌনে ৪০০ কোটি টাকা আদায় করতে পারে। যদিও সুদসহ বর্তমানে এই অর্থের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। খারিজ আদেশের পর ৮ মাস অতিবাহিত হলেও প্রাপ্য এই সরকারি অর্থ আদায়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তথা এনবিআর’র ভূমিকা অনেকটা রহস্যজনক।
কাস্টমস সূত্র জানায়, লুকপুর গ্রুপের অবৈধ অর্থ লোপাটের বড় একটি মাধ্যম বন্ড অয়্যার হাউসের অপব্যবহার, সরকারের কাস্টমস ও ভ্যাট ফাঁকি দেয়া। এই শিল্পগ্রুপভুক্ত প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই রয়েছে কাস্টমস ও ভ্যাট ফাঁকি এবং বিল অব এন্ট্রি রেজিস্ট্রেশন না করে পণ্য ছাড়ের অভিযোগ। বন্ড অয়্যার হাউস পরিদর্শনেও মিলেছেন বন্ড লাইসেন্স অপব্যবহারের প্রমাণ।
শুধু তাই নয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড (কেপিপিএল)’র বিরুদ্ধে মিলেছে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ।
লকপুর গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘ইস্টার পলিমার লিমিটেড’ সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটি মোংলা ইপিজেডে অবস্থিত। পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের নথি, বন্ড রেজিস্ট্রার, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আমদানি করা কাঁচামাল ও উপকরণ রেজিস্টারে এন্ট্রি করা হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ৯৬০ দশমিক ৮৩ মেট্টিক টন বিওপিপি, ৭৪৫ দশমিক ৫০ মেট্টিক টন পিপি/এলডিপিই, ৩৯২ দশমিক ৬১ মেট্টিক টন আটকার্ড, ৬৭ দশমিক ২০ মেট্টিক টন ইথাইল এসিটেট, ৪৯ দশমিক ৭৮ মেট্টিক টন থিনার, ৪৫ দশমিক ৭৭ মেট্টিক টন হোয়াইট লাইনার পেপার, ৪ দশমিক ৯০ মেট্টিক টন পিপি ইঙ্কজেট কাঁচামাল বন্ড রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি না করে প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে অপসারণ করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।
এসব কাঁচামালে জড়িত রাজস্ব প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ফাঁকি প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি টাকা অর্থদ- দেয়া হয়। এই অর্থও এখন পর্যন্ত আদায় হয়নি বলে জানা গেছে।
লকপুর গ্রুপের ‘মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট লিমিটেডের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি মোংলা ইপিজেডে অবস্থিত। পরিদর্শনের সময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের নথি, বন্ড রেজিস্ট্রার, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৮টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আমদানি করা কাঁচামাল ও উপকরণ রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করা হয়নি। যার মধ্যে রয়েছে ৩২০ দশমিক ৮৭ মেট্টিক টন বিওপিপি, ৬৭৬ মেট্টিক টন পিপি/এলডিপিই, ৫৯৫ দশমিক ৩৭ মেট্টিক টন আটকার্ড, ৪৫৩ মেট্টিক টন গাম, ১০৪ দশমিক ৬১ মেট্টিক টন থিনার, ৬৯৮ দশমিক ১১ মেট্টিক টন ডুপ্লেক্স বোর্ড কাঁচামাল বন্ড রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি না করে অবৈধভাবে সরিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অর্থদ- হয় ৮ কোটি টাকা। যা এখনও আদায় হয়নি বলে জানা যায়।
পাওনা অর্থ আদায়ে যখনই উদ্যোগ নেয়া হতো, তখনই দুদক-সিআইডি, বিএফআইইউ লকপুর গ্রুপের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখার দোহাই দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। মূলত এসব পাওনা সাব্যস্ত হওয়ার অনেক পরে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রীর বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। জরিমানাকৃত অর্থের সঙ্গে জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবের কোনো সম্পর্কই নেই। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার‌্যান এস এম আমজাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিপুল দেনার দায় চাপিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ঢাকার বিজয়নগরস্থ আকরাম টাওয়ারের অফিসে কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলেও বিশ্বস্ত কর্মকর্তা (সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক) আমজাদ হোসেন ওরফে ছোট আমজাদ এদেশে সব দেখাশুনা করছেন। আমজাদ হোসেন নিউইয়র্কস্থ অফিস থেকে বাংলাদেশের বিপুল সম্পত্তি, অন্যান্য বেনামি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়। তাই দুদক সব অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখায় অর্থদ-ের কোনো টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না, এ দাবিটিও ভুয়া। এদেশে তার বেনামি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা রয়েছে অনেক। গোপনে তিনি সেগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করেন মর্মে জানা গেছে। দুদকের অনুসন্ধানে এস এম আমজাদ হোসেনের অবৈধ কর্মকা-কে সামান্যতম বিঘœ সৃষ্টি করতে পারেনি। তার গোপন বিপুল অর্থ-সম্পদের কোনো সন্ধান পায়নি। এবিষয়ে এম এম আমজাদ হোসেনের বিশ্বস্ত কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, এস এম আমজাদ হোসেনের সঙ্গে আমার কোনো ধরণের যোগাযোগ নেই। আমি বহু আগে চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।
এদিকে ‘আলফা অ্যাক্সেসরিজ’ বিল অব এন্ট্রি না করে ২৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার শুল্ক কর ফাঁকি দেয়। এ মামলায় আলফা অ্যাক্সেসরিজকে দেয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা। কাস্টমস আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থ আদায়ের সবগুলো আইনি প্রক্রিয়ায়ই সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি এ অর্থ আদায়ে আইনগত কোনো বাঁধাই নেই।
আদায়যোগ্য অর্থের বিষয়ে ঢাকা বন্ড কমিশনারেট মো. আহসানুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি মংলা কাস্টমস অথরিটির। সেখানে এখন যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি আপডেট দিতে পারবেন। পরে অবশ্য তিনি বলেন, এ অর্থ উদ্ধারে আমরা ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হব। সেখানে আইনি লড়াইয়ে লেগে যেতে পারে আরও চার বছর।
তবে মংলা বন্ড কমিশনার নিয়াজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি

শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

দেশে সংস্কার  ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু