ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১

সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম

রাজধানীসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। শনিবার দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে পালন করেন প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদ জামাতে অংশ নিতে ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে জড়ো হন। নামাজ শেষে ঈদের আনন্দে মুসল্লিদের একে-অপরে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। জাতীয় ঈদগাহ, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমসহ সারাদেশের মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে সর্বস্তরের মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। ফজরের নামাজের পর পরই। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ পড়তে বায়তুল মোকাররমসহ ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়তুল মোকাররম ও এর আশপাশের এলাকা মুসল্লিদের পদচারণায় উৎসব মুখর হয়ে ওঠে। মুসল্লিরা নতুন পোশাক পরিধান করে ঈদের জামাতে অংশ নিতে ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে জড়ো হতে থাকেন। মসজিদগুলোতে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বাইরে রাস্তার ওপর কাগজ, পাটি, জায়নামাজ বিছিয়ে ঈদের জামাতে অংশ নেন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। নামাজ শেষে সারা জীবনের গোনা মাফ, দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর নৈকট্য লাভে মোনাজাতে কান্নার রোল পড়ে যায়। মোনাজাতে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে আল্লাহ হুম্মা আমিন আল্লাহ হুম্মা আমিন ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
ঈদগাহ ময়দানে সারিবদ্ধভাবে জামাতের সঙ্গে ঈদুুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষেই সাম্যের অতুলনীয় বাস্তব দৃশ্যের চিত্র ফুটে ওঠেছিল।

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে মুসলিম সমাজের কাছে নেমে এসেছিল এক অনুপম ও অনাবিল আনন্দের জোয়ারধারা। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের রাতে ফিরিশতাদের মাঝে আনন্দ ও খুশির হিল্লোল বইতে থাকে। এক পর্যায়ে মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করেন, যারা আমার কাজ করেছে তাদের কি পুরস্কার দেয়া যেতে পারে? তখন ফেরেশতারা বলেন, ওহে আল্লাহ তায়ালা! তাদেরকে পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করছি। তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা সাক্ষী থেকো, আমি সকলকে ক্ষমা করে দিলাম। Ñ(মিরকাতুল মাফাতিহ শারহে মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং-২০৯৬)।

জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন। এতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ সেখানে নামাজ আদায় করেন।

মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে ঈদ জামাতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। নামাজ শেষে খতিব মাওলানা কবি রুহুল আমিন মোনাজাতে দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। বিশেষ ব্যবস্থায় প্রচুর মহিলা মুসল্লিাও ঈদ জামাতে অংশ নেন। এ মসজিদে পর্যায়ক্রমে চারটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মসজিদে প্রবেশে সাড়ে ৬টার দিকেই মুসল্লিদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। দক্ষিণ গেইট দিয়ে লাইন ধরে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। মুসল্লিদের সারি মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার পর্যন্ত চলে যায়। মসজিদের প্রবেশ গেইটে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে। এবারও বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদুল ফিতরের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহতদের রূহের মাগফিরাত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ কামনা করা হয়। ঈদ জামাত শেষে মুসল্লিদের একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে। রাজধানীর বাইরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় দামপাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। প্রখর রোদ আর তাপপ্রবাহেও ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। এবারও একসঙ্গে ছয় লাখ মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন বলে জানান আয়োজকরা।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগার, সরকারি হাসপাতাল, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, শিশুসদন, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, সেফ হোমস, দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্র এবং শিশু ও মাতৃসদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

 

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর সেই সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ঈদের জামাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নামে। ঈদ জামাত শেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান ও প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়শংল ফালাহ মসজিদ ময়দানে। সকাল ৮টা প্রথম এবং ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সাধারণ মুসল্লিগণ শরিক হন। তবে সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী বহদ্দার বাড়ি পারিবারিক মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির আয়োজনে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শরিক হন। এছাড়া লালদীঘি সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, শেখ ফরিদ (রহ.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ ঔংলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুর বাজার জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদায় বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ঈদ উল ফিতর পালিত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ৫ সহস্রাধিক মসজিদ ও ঈদগাহে এবারের ঈদ জামাতে লক্ষ লক্ষ মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের রহমত কামনা করেন। দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ^ জাকের মঞ্জিলে। সকাল থেকেই পরিছন্ন কাপড় পড়ে দলে দলে মুসল্লিগন ঈদের নামাজ আদায়ে মসজিদ ও ঈদগাহে সমবেত হতে থাকেন। বরিশাল মহানগরীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম ছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার আমীন উল আহসান, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও সিটি মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহসহ সমাজের বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ এ জামাতে অংশ নেন। এখানে মহিলাদের জন্যও ঈদ নামাজ আদাযের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নগরীর জামে এবাদুল্লাহ মছজিদ, কেন্দ্রীয় জামে কসাই মসজিদ ও বায়তুল মোকাররাম মসজিদে দুটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বরিশালের চরমোনাই দরবার শরিফ, ছারছিনা দরবার শরিফ, পটুয়াখলীর মির্জাগঞ্জে হজরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (র.) দরবার শরিফ মসজিদ, বরগুনার মোকামিয়া দরবার শরিফ মসজিদ, ঝালকাঠীর নেসারাবাদে হজরত কায়েদ ছাহেব (র.) প্রতিষ্ঠিত দরবার শরিফ মসজিদে প্রধান ঈদ জামাত সমুহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ^ জাকের মঞ্জিল বড় জামে মসজিদে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার জাকেরান ও আশেকানসহ মুসল্লিরা এ মসজিদে ঈদ জামাতে নামাজ আদায় শেষে পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের রওজা শরিফ জিয়ারতে অংশ নেন।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিরাজমান বৈরী আবহাওয়া সাথে নিয়ে এবার রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ ঈদ উদযাপন করেছে। খরতাপ মাথায় নিয়ে হাজার হাজার মানুষ ঈদগাহ মাঠে মসজিদে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। মোনাজাতে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

নাসিম খান, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত জনসমুদ্র পরিনত হয়েছে। স্মরণকালের সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০টায় শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৬তম ঈদুল ফিতরের জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। এবারও দেশ-বিদেশের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ এ ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। মাঠের সীমানা ছাড়িয়ে আশপাশের রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পাড়ে মুসল্লিরা কাতার করে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ বিশিষ্টজনেরা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন। ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার পর থেকে শোলাকিয়া ময়দানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠ ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৬টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়। এবারের ঈদের জামাতে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারেনি মুসল্লিরা। ঈদগাহ ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি মানুষ যখন ঈদগাহ ময়দানে আসেন পুলিশের চারটি স্থাপনা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। চেকপোস্ট হোক বা পিকেট হোক। আবার কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়টি স্থাপনা পেরিয়ে ময়দানে আসতে হয়েছে। মাঠে ওয়াচ টাওয়ার ছিল ছয়টি। তার মধ্যে র‌্যাব সদস্যরা দুটি ব্যবহার করে আর চারটি ব্যবহার করে পুলিশ। মাঠে ছিল চারটি ড্রোন ক্যামেরা। বাইনোকোলারসহ ছিল ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা। এছাড়াও পুরো ময়দান ছিল সিসি ক্যামেরার আওতায়। যা দিয়ে ময়দানে নিরাপত্তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় জেলা শহরের কাজীপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা মুফতী সিবগাতুল্লাহ নূর। প্রধান জামাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ অংশগ্রহন করেন। নামাজ আদায়ের পর খুতবা শেষে দেশ, জাতি ও বিশ^ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও টেংকের পাড় জামে মসজিদ, পশ্চিম মেড্ডা শরীফপুর ঈদগাহ মাঠ, সদর হাসপাতাল মসজিদসহ জেলার ৯৮৬টি ঈদাগহ ও ৪৯৬টি মসজিদে সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত বিশ্ব ঐতিহ্য ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল আটটায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত এবং সাড়ে ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বাইরে থেকেও শত শত মুসল্লি ঐতিহাসিক এই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসেন। ঈদের জামাত শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন। স্থানীয়রা বলছেন, ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদেই দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে আগত মুসল্লিদের বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ শেখ তন্ময়ের পক্ষ থেকে মিস্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: হাফিজ আল আসাদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান (রহ.) মাজার মসজিদ, আলিয়া মাদরাসা ময়দান, নাগেরবাজার খানজাহানীয়া বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ এবং শহরের পুরাতন কোর্ট মসজিদসহ বিভিন্ন ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, মাদারীপুর পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ এর জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে সাতটায়। ঈদের প্রথম জামাত ও নামাজ পড়ান পৌরসভা কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা রুহুল আমিন। সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নামাজ পড়ান জেলা সদর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াস হাবিবুল্লাহ। বিচারপতি ব্যারিস্টার মাসুদ হোসেন দোলন, জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমসহ অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ঈদগাহে নামাজে শরিক হন।

নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিনারায়ণপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ গ্রাম, জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের চারটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজে ওই গ্রামের কিছু পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করে।

শুক্রবার সকাল ৯টায় বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সী বাড়ি জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ি মসজিদ, নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি কাছারি ঘর ও হরিণারায়নপুর দায়রা শরীফ জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, এক যুগ ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উল ফিতরের নামাজ আদায় করে আসছেন সাতক্ষীরার বিশ গ্রামের মানুষ। শুক্রবার সকালে ঈদগাহে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এ সময় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ঈদের নামাজে যোগ দিয়েছেন। সকাল ৮টায় সদর উপজেলার বাওখোলা গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়িয়েছেন মাও. মহব্বত আলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঈদের নামাজ পড়ে আসা মুসল্লি আবদুল্লাহ। তিনি আরো বলেন, বাউখোলা ছাড়াও সদরের ভাড়ুখালী, ঘোনা, মৃগিডাঙা, তালা উপজেলার ইসলামকাটি, গোয়ালচত্ত্বরসহ জেলার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৯টায় সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ বড়মাঠে।

এখানে প্রায় এক লাখ মুসল্লি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে খুৎবার পর সরকারের পক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন। জেলার প্রতিটি উপজেলা ও থানা এলাকায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি স্তরে পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং র‌্যাবের একটি বিশেষ টহল দল ঈদগা মাঠে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। নামাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের কল্যাণে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ-উল-ফিতরের এই নামাজে সমাজের সর্ব-স্থরের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

দিরাই (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সুনামগঞ্জের দিরাইয়েও ঈদুল ফিতরের নামাজ শান্তিপূর্ণভাবেই আদায় করেছেন মুসল্লিগণ। ঈদের দিনে কোন ধরণের বৃষ্টি বা ঝড়-তুফান ছাড়াই দিরাইয়ের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। ঈদগাহ ও মসজিদে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে শেষ হয়েছে দিরাই উপজেলার সকল ঈদের জামাত। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ নিজেদের জীবিত ও মৃত আত্মীয়-স্বজনসহ বিশ্ব মুসলিমের শান্তি, সম্বৃদ্ধি এবং ভ্রাতৃত্ববোধের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেছেন। দিরাই উপজেলায় এবার কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে বলে জানান অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁও উপজেলার প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈমাম বাড়ি ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টার দিকে। এছাড়া ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি সেন্ট্রাল ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টা, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রেল স্টেশন জামে মসজিদ, গফরগাঁও পুরাতন বাস স্টেশন (গ্যাস অফিস সংলগ্ন) সকাল ১০টার, গফরগাঁও আলহাজ আবুল ফজল ইট খলা ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টা, শিলাসী রেলপাড় জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৯টার ও গফরগাঁও উপজেলার ৯নং পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় দারুছ-ছুন্নাৎ নেছারিয়া আলিম মাদরাসা সংলগ্ন কাজী বাড়ি জামে মসজিদে সকাল ৯টার দিকে। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি সেন্টাল ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি।

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহনে বিভিন্ন ইদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় থেকে ৮টার মধ্যে এসব জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গোদাগাড়ী বারুইপাড়া রেলবাজার ঈদগাহে অনুষ্ঠিত এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আনারুল ইসলাম। এ সময় মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা সাইদুর রহমান। ঈদের জামায়াত শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকাল আটটায় পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলার সকল ঈদগাঁ মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। সকাল থেকেই উপজেলার প্রতিটি গ্রাম থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আনন্দ উল্লাসের মধ্যে দিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় উপজেলার হেলিপ্যাড সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব মুসলিমদের শান্তি কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের কাছে মোনাজাত করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মওলানা মো. ইলিয়াছুর রহমান। পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে অংশগ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নামাজ আদায় করেন। এদিন সকালে উপজেলার ৯৪টি ঈদগাহ ময়দানে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসলমানরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

দেশে সংস্কার  ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান