মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে পিটিয়ে হত্যা লাশ গুম
০৪ মে ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
নগরীতে অপহরণের পাঁচ দিন পর নির্মাণাধীন ভবনে মাটিচাপা দেওয়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে ওই শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়। ভয়ঙ্কর এ হত্যাকাÐের সাথে জড়িত শিশুটির এক প্রতিবেশী ও তার বন্ধু। বুধবার গভীর রাতে লাশ উদ্ধারের আগে অপহরণের সাথে জড়িত ওই দুই যুবককে পাকড়াও করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। নির্মম হত্যাকাÐের শিকার সফিউল ইসলাম রহিম (১১) চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরার ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিনের দ্বিতীয় পুত্র। সে পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গ্রেফতার দু’জন হলেন- আজম খান (৩২) ও মজিবুদ্দৌলা হৃদয় (২৮)। আজম শিশুটির প্রতিবেশী ও তার বাসা পশ্চিম মোহরা এলাকায়। আজমের বন্ধু হৃদয়ের বাসা মোহরার পাশর্^বর্তী ধূপপুল এলাকায়।
পুলিশ জানায়, পটকা কিনে দেওয়ার কথা বলে বাসার সামনে থেকে রহিমকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী আজম। এরপর তাকে নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়। সেখান থেকে আজমের বন্ধু হৃদয় রহিমের বাবা সেলিম উদ্দিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। মুক্তিপণের দাবিতে কয়েক দফা টেলিফোন করে শিশু রহিমের উপর নির্যাতন এবং তার কান্নাকাটি শুনানো হয় তার বাবাকে। সেলিম উদ্দিন বিষয়টি তাৎক্ষণিক চান্দগাঁও থানাকে অবহিত করেন।
থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, ২৯ এপ্রিল শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায় তাদের প্রতিবেশী আজম। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিশুটিকে ডেকে নেয় আজম। এর ভিত্তিতে প্রথমে আজমকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, পশ্চিম মোহরার গোলাপের দোকান মাজার গেইট এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যার পর ভবনের নির্মাণাধীন বাথরুমে বালির নিচে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়।
ওসি জানান, আজম শিশুটিকে অপহরণ এবং খুনের পর লাশ গুমের কথা স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি আজমের স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়। এরপর সে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে। এ সঙ্কট কাটাতে বন্ধু হৃদয়কে নিয়ে সে রহিমকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। কিন্তু অপহরণ করে তাকে জিম্মি করার পর রহিম প্রতিবেশী আজমকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। নির্মাণাধীন ওই ভবনে নিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে মাথায় ও মুখে উপর্যপুরি আঘাত করে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আজম ও তার বন্ধু হৃদয়। এদিকে অপহরণের পাঁচ দিন পর নিজ সন্তানের লাশ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেলিম উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স