রাখাইনের পরিবেশে অসন্তুষ্ট প্রতিনিধি দল
০৫ মে ২০২৩, ১১:১৬ পিএম | আপডেট: ০৬ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ক্যাম্প দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রতিনিধিদল। প্রথম দফা প্রত্যাবাসনের আগে মাঠ পর্যায়ের চিত্র দেখতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আরআরআরসির ৭ সদস্যসহ মোট ২৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল গতকালই ফিরে এসেছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ জেটিঘাট দিয়ে ২৭ সদস্যর প্রতিনিধি দলটি নৌ পথে স্পিডবোট যোগে রওনা করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফিরে আসেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ,বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা ২০ জন রোহিঙ্গা সদস্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আরও ৭ কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য মংডুর টাউনশিপ (আই ডি পি) ক্যাম্পে যান। এছাড়া প্রতিনিধি দল সেখানে ১৫টি গ্রাম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ২০ সদস্যের রোহিঙ্গা একটি দল নিয়ে মিয়ানমার মংডু টাউনশিপে যাওয়ার পর সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা ঘরগুলো আমাদেরকে তারা ঘুরে ফিরে দেখিয়েছে, সাথে থাকা রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরাও দেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, মুলত এগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা আয়োজক। যারা প্রত্যাবাসিত হবে তাদেরকে যেনো এগুলো দেখানো হয়। মিয়ানমার প্রতিনিধি তাদের ব্রিফিং করেছে। তারা কী দেখেছে তারাই বলতে পারবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।
ফিরে আসা রোহিঙ্গা মো. সেলিম বলেন, আমরা মিয়ানমারের পৌছার পর তাদের তৈরি করা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসা করলাম এগুলো কাদের জন্য, তারা উত্তরে বলে আমাদের জন্য। তখন আমরা তাদের বললাম, এ ক্যাম্পে থাকবো না, কারণ আমরা এ দেশের নাগরিক নিজের বাড়িঘরে ফেরত যাবো।
তারা তাদের আরো বলেন, আমরাসহ মিয়ানমারের ৩৬ জাতি আছে, ৩৫ জাতি যদি নাগরিক সুবিধা পায়, আমরা কেনো পাব না? এবং আমরা যদি আমাদের ন্যায্য অধিকার নাগরিকত্বসহ এম্বেসি কার্ড না পাই তাহলে আমরা মিয়ানমার ফিরে যাব না।
উল্লেখ্য, মানবিক কারণে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পর থেকেই প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। একাধিকবার তালিকা তৈরি করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সরকার রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর করার পর রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে ৭ লাখের অধিক রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় এর আগে ছিল আরো ৪ লাখ। এ ঘটনার পর আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আর শুরু হয়নি। তবে, ২০১৯ সালে দু'দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স