যুক্তরাষ্ট্রে বাধাহীন রফতানি সুবিধা চায় বাংলাদেশ
২১ মে ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম | আপডেট: ২২ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে বাধাহীন সুবিধা চায় বাংলাদেশ। এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। গতকাল রোববার ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়। এ সময় বাণিজ্য, কৃষি, শ্রম ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ‘স্যাংসন দেয়া দেশথেকে কিছু কিনবো না’ ঘোষণা দেয়ার পর র্যাবের উপর স্যাংসন দেয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনি আমদানির উদ্যোগ নেয়ার পর এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
ইউএস কটন থেকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস পণ্য তৈরি করে। আবার ইউএস এক্সপোর্ট করবে- এ ধরনের কোনো ডিমান্ড হয়েছে কিনা, প্রশ্ন করা হয় বাণিজ্য সচিবকে। তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত টিকফা মিটিংয়ে আমরা ফরমালি ডিমান্ড করেছি। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইনফরমালি বিজিএমইএ, বিকেএমইএ যখন ইউএস গিয়েছে তখন হয়তো আলোচনা করেছে। আগে থেকেই তারা দাবি তুলেছে। ফরমালি গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে আমরা বলেছিলাম ফিউমিকেশনের বিষয়টি আমরা রিলাক্স করবো। কিন্তু তোমাদেরও আমাকে কিছু দিতে হবে। আমরা তোমাদের দিয়ে দিলাম কিন্তু তোমরা বাংলাদেশকে কী দিচ্ছ? এজন্য তাদের বলেছি তোমাদের কটন যেন বাড়ে আর আমাদের রপ্তানি যেন বাধাহীন হয়।
ফিউমিকেশনের ক্ষেত্রে ইউএস ও এর বাইরের দেশগুলোর কটনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে ইউএস; আরেকটা হচ্ছে আদারদেন ইউএস। এটা করা হয় সাইন্টিফিক ফাইন্ডিংসের ওপর। ইউএস কটনের বিষয়ে আমাদের একটা ট্যাকনিক্যাল টিম গিয়ে পরীক্ষা করে এসেছে। তারা বলেছে এটা একটু শিথিল করা যায়। এক্ষেত্রে আমরা একটা সার্টিফিকেট নেব। কিন্তু অন্য মার্কেটগুলো দেখা হয়নি। তাই এখন ইউএস কটনের ক্ষেত্রে ফিউমিকেশনের দরকার হবে না। তবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে এ সিস্টেম রাখা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যদি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিট করে যদি নিশ্চিত হয় যে এই ফিউমিকেশনের বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নাই, তখন তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আছে। এই ধরনের বিধি নিষেধের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থাকতে হয়। বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আলোচনা করছি। তাদের সাথে আলোচনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও রপ্তানির কথা এসেছে। এক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ নিয়ে যে সমস্যা আছে সেটা নিয়ে প্রত্যেক ফোরামে আলোচনা করছি। সেখানে প্লাস্টিক, ফার্সাসিটিক্যাল, লেদারগুডস, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং, জুট এসব বিষয় রয়েছে।
জিএসপি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, জিএসপি শব্দটি উচ্চারণ হয়নি। তবে প্রিফারেন্স মার্কেট এক্সেস সুবিধা তো চাচ্ছি। এছাড়া ডব্লিউটিএ তে এলডিসি দেশগুলোর জন্য মার্কেট এক্সেসের যে মেয়াদ বৃদ্ধি। যেমন আমাদের ২০২৬ সালের পরে জিএসপি সুবিধা থাকবে না। সেটার জন্য আমরা বলেছি সেখানে যেন তারা আমাদের সাপোর্ট দেয়।
আমেরিকা যদি আমাদের ডব্লিউটিএতে সার্পোট দেয় তাহলে অন্য দেশে আমরা সুবিধা পাবো। ডব্লিউটিএ যদি সিদ্ধান্ত না হয় অন্য দেশগুলো দেবে না। আমেরিকা যদি না দেয় অন্য দেশগুলোয় আমরা পাবো।
তুলা আমদানির সিদ্ধান্ত : ‘স্যাংসন দেয়া দেশথেকে কিছু কিনবো না’ ঘোষণা দেয়ার পর র্যাবের উপর স্যাংসন দেয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনি কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চিনির পর এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করা হবে। ওই তুলা এখন আর ক্ষতিকর পোকামুক্ত করতে বিষবাষ্পের ব্যবহার করা হবে না। গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বৈঠকে অংশ নেনন ইউএসটিআরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রেন্ডান লিঞ্চ, দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক পরিচালক মাহনাজ খান, আঞ্চলিক আইপি অ্যাটাশে জন কাবিকা, অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দা রিজওনাল আইপি অ্যাটাশে শিল্পী ঝা প্রমুখ।
কৃষি সচিব বলেন, আমরা যখন তুলা আমদানি করি, তখন সেটিকে ১০ দিন বন্দরে রেখে বিষবাষ্প (ফিউমিগেশন) দিয়ে জীবন্ত ক্ষতিকর পোকা দমন করতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিল, সেখান থেকে আমদানি করা তুলার ক্ষেত্রে যাতে এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা না হয়। তুলার এই জীবন্ত পোকা খুবই ভয়ঙ্কর। এই পোকায় আক্রান্ত হলে সেই তুলা দিয়ে আর সুতা হয় না।
ওয়াহিদা আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিষবাষ্প দিয়ে আমরা তুলাকে ক্ষতিকর পোকামুক্ত করে আসছি। যুক্তরাষ্ট্রের তুলার ওই ক্ষতিকর পোকামুক্ত করছে। আর তারা যে প্রেসারে তুলা আমাদের কাছে পাঠায়, তাতে কোনো ক্ষতিকর পোকার বেঁচে থাকার শঙ্কা নেই। এরপর সবকিছু মিলিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেয়, বিষবাষ্প দিয়ে তুলাকে ক্ষতিকর পোকামুক্ত করার প্রক্রিয়া থেকে তাদের রেহাই দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের তুলার চাহিদার ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চিহ্নিত গোষ্ঠী আবার দখলদারি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে : সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই
গায়িকা রুকসানার রহস্যজনক মৃত্যু!
যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গরমে যেন শেষ সিলেট !
গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা
ময়মনসিংহে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে হামলা, প্রতিবাদে ইবির আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানকে জেলহাজতে প্রেরণ
কালীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন আটক
হাবিপ্রবিতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরী
যৌথবাহিনীর হাতে সিলেট আটক বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত