ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টায় তাকে তার নিজ বাসভবন থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ওই রাতেই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, সরকার দেশ- বিদেশে সর্বদিক থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে এখন মরণ কামড় দিচ্ছে। সাজানো পুলিশ প্রশাসন দিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ চালানো হচ্ছে। মজনুকে গ্রেফতার সরকারের সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। দেশকে দেউলিয়া করে এখন মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নিতে নিষ্ঠুর পন্থা অবলম্বর করেছে। সরকারের পতনের সম্ভাবনা দেখে দিকবিদিক জ্ঞান শূণ্য হয়ে পড়েছে। তাই দেশব্যাপী শুরু করেছে গায়েরী মামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক।

এদিকে গতকাল সোমবার অগ্নিসংযোগের মামলায় রফিকুল আলম মজনুকে ১ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। গত বছরের ডিসেম্বরে পল্টন মডেল থানায় করা এ মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউদ্দিন এ রিমান্ডের আদেশ দেন। পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া আদালতে রফিকুল আলম মজনুর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে মজনু ও অন্যান্য পলাতক আসামি বোমা নিক্ষেপ করে।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা: রফিকুল আলম মজনুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সোমবার থানায় থানায় এবং বুধবার ওয়ার্ড পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল। এছাড়া ২৭ মে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ।

নয়াপল্টনে বিক্ষোভ: এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে গতকাল নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। দুপুর দেড়টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আবারো নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। এসময় মিছিল কয়েকশ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান দেন।