প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
২৭ মে ২০২৩, ১১:০২ পিএম | আপডেট: ২৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ছিলো মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন (২৩ মে)-এর মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ দায়িত্বে নিজেদের সমর্থনে টানানো সকল ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণ করবেন। কমিশনের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু ২৩ মে পর্যন্ত মেয়র কিংবা কাউন্সিলর পদের অনেক প্রার্থীই নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেননি ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন। আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে মাত্র একদিন অভিযান চালিয়ে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে নামমাত্র অপসারণ করা হলেও আর কোনো অভিযান হয়নি। ফলে নগরীর বেশিরভাগ স্থানে এখনো রয়ে গেছে প্রার্থীদের সমর্থনে টানানো ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন। এমন দৃশ্যে হতবাক আমজনতা।
সচেতন মহলের মতে, প্রার্থীদের কর্মকা-ে মনে হচ্ছে আইনের উপর তাদের নিয়ন্ত্রন রয়েছে, সেকারণে নির্দেশনা পালনে নির্লিপ্ত তারা। নির্বাচন কমিশনও নিজেদের জারিকৃত আইন প্রয়োগে নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এতে সাধারণ মানুষের আস্থা-বিশ্বাসে ছিড় ধরছে। কেন কমিশনের নির্দেশিত নির্দেশনা মানবে না প্রার্থীরা, তার জবাব শক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতো কর্তৃপক্ষ। অথচ তেমন কোন আলামত নেই দৃশ্যমান। সেকারণে যেমন খুশি তেমন নাচছে প্রার্থীরা। সে দৃশ্য অপলক চোখে যেন দেখছে কর্তৃপক্ষ।
তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থনে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেঁয়ে যায় গোটা নগরী। গত ৫ মে কিছু অপসারণ করে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়। বেলা ১১টার দিকে নগরীর মেন্দিবাগস্থ সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে ৪টি টিম বের হয়ে বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালায়। এসময় সিসিক নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থনে টানানো ছোট-বড় ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসরাণ করা হয়। ওই সময় সংশ্লিষ্টরা এমন অভিযান অব্যাহত থাকার কথা বললেও এরপর আর মাঠে নামেনি টিম। পরবর্তীতে ২৩ মে পেরিয়ে গেলেও বাকি ব্যানার-ফেস্টুনগুলো রয়ে গেছে নগরীর বৈদ্যুতিক খুঁটি-বাঁশ-গাছে-দেয়ালে।
এ বিষয়ে গত ২৫ মে প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাইয়ের দিন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, সকল প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় আমাদের কাছে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন তারা নিজ উদ্যোগে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডগুলো সরাবেন। এছাড়াও মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা মাইকিং করে প্রার্থীদের সতর্ক করেছি। এরপরও যারা সরায়নি তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিন্তু তার সেই কথার বাস্তবতা এখনো ঘটেনি বলে, দৃশ্যমান ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টারগুলো, স্বাক্ষ্য বহন করছে নির্বাচন কমিশনের নিদের্শনাগুলো কেবল কাগজে কলমে, তাই বাস্তবতা ভিন্ন। সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কমিশনের প্রকৃত ক্ষমতা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পথশিশুদের নিয়ে বিপিএলের ট্রফি উন্মোচন
তামিমকে বিসিবির ধন্যবাদ
গণহত্যাকারীদের বিচারিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে: সারজিস
দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার টন চাল
গাঁজা সেবনের অভিযোগে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
উইন্ডিজ সিরিজে পাকিস্তান দলে ৭ পরিবর্তন, নেই আফ্রিদি
সুইজারল্যান্ডে গ্লোবাল এসএমই সামিট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩-২৫ এপ্রিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসিম : সিলেটে কাইয়ুম চৌধুরী
ডার্ক ওয়েবে গ্রাহকের তথ্য বিক্রির অভিযোগ : সিটি ব্যাংকের ব্যাখ্যা
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ‘বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত
গফরগাঁওয়ে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধুর মৃত্যু
কর্মীদের বীমা সুরক্ষা প্রদানে ঢাকা ব্যাংক ও মেটলাইফের চুক্তি স্বাক্ষর
পাঠ্যবইয়ে নাম যুক্ত হওয়ায় আমার চেয়ে পরিবার বেশি খুশি: নিগার
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলন- ২০২৫ অনুষ্ঠিত
শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার আভাস, বাড়বে রাত-দিনের তাপমাত্রা
বগুড়ায় শিবিরের সাবেক কর্মী সাথী ও সদস্যদের মিলন মেলায় রাফিকুল ইসলাম খান
ক্যাম্পাসভিত্তিক জুলাইয়ের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখার আহ্বান প্রেস সচিবের
শিবালয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর পদ্মায় ভেসে উঠলো বারেক মেম্বরের লাশ
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন: যাদের উপর থাকবে নজর
এবি পার্টির কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি