ডলার সংকটে আমরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছি
২৮ মে ২০২৩, ১০:৫১ পিএম | আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
তীব্র ডলারে সংকটে ভুগছে দেশের জ্বালানি খাত। ডলার সংকটের কারণে আমদানি করা যাচ্ছে না কয়লা। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও জানেন না ডলার সংকট কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন। ডলার নিয়ে সরকার সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার থেকে ডলার সংকটের নিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নসরুল হামিদ বলেন, আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে বলেছি ডলার লাগবে। কিন্তু তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) ডলার নিয়ে কি করছে বুঝতে পারছি না। দেখা যাক।
নসরুল হামিদ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অল্প অল্প করে ডলার দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের কয়লা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে যে পরিমাণ ডলার লাগে সে পরিমাণ দিতে হবে। ডলার নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছি। এ দিকে বাংলাদেশ–ভারতের যৌথ বিনিয়োগে নির্মাণ করা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে এসে কয়লা সংকটে পড়ে বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকবার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১৫ মে পুরনায় উৎপাদনে আসলেও কয়লার অভাবে পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। এখন কয়লা সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে আছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা। কয়লার পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় গত ২৫ মে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে এখানকার দুইটি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট। দ্বিতীয় যে ইউনিটটি এখনো স্বল্প উৎপাদন সক্ষমতায় চলছে সেটিও আগামী মাসের ৩-৪ তারিখের দিকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, কয়লা সরবরাহকারীদের ডলার সংকটে বকেয়া পরিশোধ করতে না পারার কারণে সরবরাহকারী কয়লা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এর ফলে কয়লার পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় পায়রা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দুইটা ইউনিটের একটি বন্ধ রাখে। পিডিবি জানিয়েছে কয়লা সরবরাহকারীদের বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। পাওনা টাকা দেব দিচ্ছি করে দিতে না পারায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় চীনা প্রতিষ্ঠান। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতে প্রভাব পড়ছে না কি না জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ইতিমধ্যে পায়রা একটি ইউনিট বন্ধ হওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।
বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) বা পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটা ইউনিটের একটি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী মাসে তিন-চার তারিখের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাবে। কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্র কত দিন বন্ধ থাকতে পারে জানতে চাইলে এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, আমরা যদি আজই কয়লা আনার জন্য ঋণপত্র খুলি তাও কয়লা জেটিতে আসতে কমপক্ষে ২০-২৫ দিন সময় লাগব। সেই হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কমপক্ষে চার সপ্তাহ বন্ধ থাকতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবদল নেতা হান্নানের চিকিৎসায় সহায়তা দিলেন মজনু
কারো কাছে থাকা আমানত চুরি হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।
মাগুরায় ট্রাক চাপায় মোটর সাইকেল চালক নিহত
শেখ হাসিনার আমলে সীমান্তের কাঁটা তারে লাশ ঝুলন্ত, এখন পতাকা বৈঠক হয়--শাকিল উজ্জামান
পেকুয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পথসভায় মাওলানা ইমতিয়াজ
থানা থেকে ছিনাইয়া নেওয়া যুবদল নেতা গ্রেফতার
শ্রীনগরে বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের ৩ কর্মী গ্রেপ্তার
মুকসুদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা, প্রতিবাদ জানালো আ.লীগ
নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ
এই সরকার বিপ্লবের চেতনাকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনি: মাহমুদুর রহমান
শার্শা থানা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকদের মিলন মেলা
মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা!
সোনারগাঁওয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্র সংস্কারে ১৫ দফা প্রস্তাবনা: পৃথক শরীয়া আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি
কলম্বিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০
দেশের সংগ্রামের ইতিহাস-সংস্কৃতি বিশ্বে তুলে ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ভারতে চার বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার
পথশিশুদের নিয়ে বিপিএলের ট্রফি উন্মোচন
তামিমকে বিসিবির ধন্যবাদ