ইমো বিকাশে প্রতারণা
২৮ মে ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের নামে ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন ২২ বছর বয়সী যুবক মো. রাজন আলী। অন্যদিকে বিকাশ কর্মকর্তা সেজে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিতেন রঞ্জু আহম্মেদ (২২) নামে এক মুদি দোকানি। এছাড়া বিভিন্ন মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে সিম কিনে সেসব সিম অপরাধ চক্রের সদস্যদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতেন রাব্বি নামের ২০ বছরের আরেক যুবক। মিরপুর থানার একটি মামলা তদন্ত করতে তাদের তিনজনের প্রতারণার বিষয় জানতে পারে পুলিশ।
মিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান,সাহায্যের নামে মানুষদের বিপদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেন রাজন। এলাকাবাসীর কাছে ইমো রাজন নামে পরিচিত তিনি। ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের নামে বিভিন্ন গ্রুপ খুলেন রাজন। এই গ্রুপে কেউ যুক্ত হলে ওই ব্যক্তিকে টার্গেট করা হয়। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে ওই ব্যক্তির ইমোতে বিপুল পরিমাণ স্টিকার ম্যাসেজ পাঠায় রাজন। এতো ম্যাসেজে এক পর্যায়ে ওই নম্বর হ্যাকড হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। তখন রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই ‹সমস্যা› সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢুকার অ্যাকসেস চান। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপির মাধ্যমে অন্যরাও অ্যাকসেস পায়। ইমোতে ঢুকে রাজন সেই ইমোর সব ম্যাসেজ পড়ে নেন এবং তার আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে ‹আমি বিপদে পড়েছি, টাকা পাঠান› ‹মা অসুস্থ, টাকা পাঠান› জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। তার এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে রাজনের। তার মধ্যে রাজন স্টোরি, রাজন সলিউশন উল্লেখযোগ্য।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নিজের দোকানে বসেই বিকাশ প্রতারণা করতেন মুদি দোকানি রঞ্জু আহম্মেদ। বিকাশ কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।
একজনের নামে সিম অন্যের কাছে বিক্রি করেন ফজলে রাব্বি। সাধারণত সড়কের পাশে যারা সিম বেচেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করে মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করেন। পরে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরও সিম ইস্যু করেন। সেসব সিম উচ্চমূল্যে বিভিন্ন প্রতারকচক্রের কাছে বিক্রি করেন রাব্বি। সাধারণত সিমের দামের তুলনায় এগুলোর মূল্য ৪/৫ গুণ বেশি। এসব সিম দিয়েই প্রতারকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মিরপুর থানার একটি মামলা তদন্ত করতে তাদের তিনজনের প্রতারণার বিষয় পুলিশ জানতে পারে। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পার্বত্য এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়নি: নাহিদ
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু
সুনামগঞ্জে ২২ লাখ টাকার ইলিশ জব্দ
ছাত্রজনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত পুলিশ সদস্যরা এখনো লাপাত্তা
রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ‘রোবটের মতো’ কাজ করেছে লেবাননের যে চিকিৎসক
মোদীর সফরের আগে ভারত সরকারের নামে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা পান্নুনের
মিয়ানমার থেকে মণিপুরে অনুপ্রবেশ ৯০০ জঙ্গির, দাবি ভারতের
৪৩ দিন পর কাজে ফিরলেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা
গিল-পান্তের ব্যাটে পিষ্ট বাংলাদেশ
ফের মৃত্যুর খেলা! ‘স্কুইড গেম সিজন ২’র টিজারে বিপদের বার্তা
অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কচুয়ায় যুবলীগ নেতার ৪টি দোকান পুড়েছে দুর্বৃত্তরা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
লেবাননের বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
রাঙামাটিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল, পরিস্থিতি শান্ত
পরমাণু দূষিত পানি নিয়ে চীন ও জাপানের কিছু ঐকমত্য
ঝিকরগাছায় বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান মিনুসহ ২১ নেতাকর্মী বহিষ্কার
হিজবুল্লাহর ভয়ে ইসরাইলিদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকার নির্দেশ
ভারতের ঘুম হারাম করে পাকিস্তানকে ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার দিচ্ছে চীন
পাকিস্তানে সেনানিবাসে আত্মঘাতি হামলা, সেনাসহ নিহত ১৮
জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩, আহত ২২ হাজার