কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা এবং পরবর্তীতে দায়ের হওয়া মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নিপূণ রায় চৌধুরী। হামলায় মারাত্মক আহত অবস্থায় গতকাল সকালে হাইকোর্টে হাজির হন তিনি। মাথায় ছিলো ব্যান্ডেজ। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো: হাবিবুল গণি এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ডিভিশন বেঞ্চ এ জামিন দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। সহায়তা করেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় চৌধুরী ও মিথুন রায় চৌধুরী। সরকারপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে ব্যান্ডেজ মাথায় অ্যাম্বুলেন্স ও হুইল চেয়ারে করে সুপ্রিম কোর্ট বারে আসেন নিপুণ রায়।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শুক্রবার কেরাণীগঞ্জে ঢাকা জেলা বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
সংঘর্ষে বিএনপির কেন্দ্রী নেতা নিপুণ রায় চৌধুরী সহ অন্তত: ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে মাথায় ৬টি সেলাই নিয়ে হাসপাতালে শুয়ে মামলার খবর পান অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে জিঞ্জিরায় আমাদের সমাবেশ প- করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। হামলাকারীদের আমাদের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে হটিয়ে দেয়। এ সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনতে গেলে তখন আমার মাথায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ইট মারে। আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আর আমার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। এর কোনো ভাষা নেই।