গণতন্ত্র ধ্বংসের খেসারত ভিসা নীতি
২৯ মে ২০২৩, ১০:৪১ পিএম | আপডেট: ৩০ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
আওয়ামী লীগ সরকারের গণতন্ত্র ধ্বংসের খেসারত হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এসেছে বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক অঙ্গীকার ‘গণতন্ত্র’ এবং ‹মানবাধিকার›কে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে ক্ষমতাসীন সরকার ঝেঁটিয়ে বিদায় করার কারণে, বিচারবিভাগসহ প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য কোনোক্রমেই সম্মানজনক নয়। এটি রাষ্ট্রের মর্যাদাকে তলানিতে নিয়ে গেছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধ সরকার বাস্তবতাকে অস্বীকার ও উপেক্ষা করার কারণে কোনটা প্রশংসা› আর কোনটা ‹অপমান›, কোনটা শাস্তিমূলক› আর কোনটা হুঁশিয়ারিমূলক› তাও উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, ভোটবিহীন সরকার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। ফলে নিষেধাজ্ঞাসহ মার্কিন ভিসা নিয়ন্ত্রণ নীতির প্রশ্নে রাষ্ট্রের অপমান এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকেও আত্মতুষ্টি হিসেবে গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিশ্বে রাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার প্রশ্নটি সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রশ্নে কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়া। শুধু ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য-গণতন্ত্র, সংবিধান ও আইনের শাসনকে জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার। এইসব আত্মঘাতী নীতি রাষ্ট্রকে অভ্যন্তরীণভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে, সেই সাথে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রকে ঝুঁকি ও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তথাকথিত ‹অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের মত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার, সরকারের ভুয়া প্রতিশ্রুতি বিদ্যমান সংকট সমাধানে কোন ভূমিকা রাখবে না। সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক শাসন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের বিরুদ্ধে জনগণ ক্রমাগত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য অন্তর্ববর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা প্রচ- হুমকিতে পড়বে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৪
হাসিনা সরকারের ৬ মাসে মেট্রেরেলে ১৮ কোটি, বর্তমানে ১৮ দিনে সাড়ে ২০ কোটি টাকা আয়
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন কুমারা দিসানায়েকে, শপথ আগামীকাল
রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, পরিস্থিতি স্বাভাবিক
রিমান্ড শেষে দীপু, ইনু, মেনন, পলকসহ ৭ জন কারাগারে
ইলিশ যাচ্ছে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’: উপদেষ্টা
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দুই বন্ধুর
ইরানের কয়লা খনিতে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ৩০, আহত ১৭
'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা
ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ
অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য
আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী
পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?
‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?
গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম
মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী