সংসদে আজ বাজেট ঘোষণা ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বক্তৃতা দেবেন অর্থমন্ত্রী জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ ভোগ্যপণ্য আমদানি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক খাতে চ্যালেঞ্জ হবে রিজার্ভ ও ডলারের বিনিময় হার অর্থনীতিবিদদের মতে উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যেতে পারবে না এনবিআর

অস্থির সময়ে বাজেট

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

৩১ মে ২০২৩, ১১:২০ পিএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিদায়ী অর্থবছরে গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রত্যাশিত প্রতিকার এনে দিতে পারেনি এবং ডলার সংকট, রিজার্ভ নি¤œমুখি ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই আজ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন। রাজনীতি ও অর্থনৈতিক অস্থির এই সময়ে আগামী অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ঠেকানো, জীবনযাত্রার সংকট মোকাবিলা এবং টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বনের কথা তুলে ধরা হবে। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ করার কথা তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায়। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকা একই সঙ্গে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারো আড়াই লাখ কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, মূল্যস্ফীতি রোধ, সংস্কার শুরু এবং রিজার্ভ বাঁচানোর দিকেই বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুসারেও বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জানতে চাইলে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার যে বাজেট ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তাতে ঘাটতি অর্থায়নই থাকছে ২ লাখ কোটি টাকার উপরে, যা আগের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। ঘাটতি বাজেট ডলার সংকটকে আরো বাড়িয়ে দেবে। বিদেশি অর্থায়ন না হওয়ায় ডলার আসছে না। তাই ব্যয় সাশ্রয় এবং ঘাটতি কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নিতে হবে। চাহিদাজনিত কারণেই টাকার মান কমে যাবে। তখন মূল্যস্ফীতি এমনিতেই বাড়বে। ডলার সংকট কাটাতে বাজেটে সরাসরি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে লাগাম টানা এবং আমদানিনির্ভর প্রকল্প আপাতত বাদ দেওয়া যেতে পারে। যেসব প্রকল্প দেশীয় অর্থায়নে চলবে, কিন্তু প্রকল্পের নির্মাণ বা উপাদান সামগ্রী হিসেবে মেশিনারি, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি আমদানি করতে হবে, সেসব প্রকল্পও এড়িয়ে চলতে হবে।

ডলার সংকটের মধ্যেও চলতি অর্থ বছরে সরকারের ব্যয়ের ধরন মোটামুটি গতানুগতিক থাকলেও নতুন অর্থবছরের বাজেটে আয়ের সমীকরণ পাল্টে যাচ্ছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে করের হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসছে। রাজস্ব আয়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আগামী বাজেটে করহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। আয় না থাকলেও দিতে হবে ন্যূনতম আয়কর, সেটাও দিতে দেরি করলে জরিমানা হবে দ্বিগুণ। জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে গেইন ট্যাক্স দ্বিগুণ হচ্ছে। এছাড়া ডলার সাশ্রয়ে এবং শুল্ক ফাঁকি রোধে কাজুবাদাম, খেজুরের মতো খাদ্যসামগ্রীর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, টয়লেট টিস্যু, কলম, মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। মোটাদাগে কর-ভ্যাটের বাড়তি চাপে আগামী বাজেট জীবনযাত্রার খরচ বাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকারি অর্থের বিপুল অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে অর্থ সংস্থানের জন্য সরকার জনগণের ওপর চাপাচ্ছে ভ্যাট-ট্যাক্সের বোঝা। এখন সময় হলো অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে সুরক্ষা দেয়ার। বিপুল অংকের বাজেট ঘোষণা আর আজেবাজে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে অর্থনীতির কোনো মঙ্গল নেই।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের রেকর্ড এ বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) নেয়া হয়েছে ৮২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা; যার ৮০ শতাংশই জোগান দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধু এপ্রিলেই ব্যাংক খাত থেকে ২৯ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকার ঋণ নেয়া হয়েছে। ২০২২ সাল শেষে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের নেয়া ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ১৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে জনগণের কাছ থেকে এ ঋণ নিয়েছে সরকার।

বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরজুড়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি পার করেছে দেশ। রেকর্ড ৮৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানির ধাক্কায় বাণিজ্য ঘাটতিতে ইতিহাস সৃষ্টি হয়। ৩৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতির পাশাপাশি সরকারের চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। দেশের বিওপির ঘাটতিও ৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকে। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশের আমদানি ঋণপত্রের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার সংকটের পাশাপাশি এলসি খোলার শর্ত কঠোর করায় আমদানির পরিমাণ কমে এসেছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে। অর্থনীতির চাহিদার তুলনায় ডলারের জোগান এখনো অনেক কম। পবিত্র রমজান ও ঈদ সত্ত্বেও রেমিট্যান্সের বড় পতন হয়েছে। আবার বিদেশী বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদান কমে এসেছে। এ কারণে বিওপির ঘাটতি বড় হচ্ছে।

এদিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রবৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হারের লক্ষ্য থাকবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। নির্বাচনের বছরে বড় বাজেটে থাকছে খরচেরও বিশাল বহর। এ খরচ মেটাতে বিভিন্ন খাতে বাড়তি কর বসিয়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করতে অন্তত ৩৬ শতাংশ হারে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হতে হবে। অথচ চলতি অর্থবছরেই ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যপূরণে হিমশিম খাচ্ছে এনবিআর। রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই ১০ শতাংশের ওপরে তোলা যায়নি।

প্রতিবছর বাজেটে রাজস্ব আয় বাড়াতে এনবিআর পণ্যের শুল্ককর ও ভ্যাট হ্রাস-বৃদ্ধি করে থাকে। এতে বাজারে ওইসব পণ্যের দাম বাড়ে-কমে। কর আদায় বাড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বাজেটে নিত্যব্যবহার্য বেশ কয়েকটি পণ্যের কর বাড়ানো হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই সেসব পণ্যের দাম বাড়বে। আবার কিছু পণ্যের কর কমানো হচ্ছে, যদিও সেই তালিকা একেবারেই ছোট। জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এনবিআরের সক্ষমতা বিবেচনায় আগামী বাজেটে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী বলে মনে হচ্ছে। এ লক্ষ্যের ধারেকাছেও এনবিআর যেতে পারবে না।

এনবিআর সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ধনীদের ছাড় দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষকে করজালের মধ্যে আনার ছক থাকছে। শূন্য আয় (করযোগ্য সীমার নিচে বার্ষিক আয়) দেখিয়ে আগে রিটার্ন জমা দেওয়া গেলেও আগামী দিনে সিøপ (প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) পেতে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। আর রিটার্ন জমার সিøপ না নিলে সঞ্চয়পত্র কেনা এবং ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাবে না। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস নবায়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়ির নক্সা অনুমোদনসহ সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৪৪ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে না। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে এটা স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

জানা গেছে, অন্তত ৮ লাখ করদাতার করযোগ্য আয় নেই। তাদের কাছ থেকে নতুন অর্থবছরে ১৬০ কোটি টাকার বাড়তি কর আদায়ের চিন্তা থাবছে প্রস্তাবিত বাজেটে। নতুন অর্থবছরে দেরিতে রিটার্ন জমা দেওয়া বিধান রাখা হলেও দ্বিগুণ হারে জরিমানা দিতে হবে। বর্তমানে দেরিতে রিটার্ন জমা দিলে প্রদেয় করের ২ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা দিতে হবে ৪ শতাংশ হারে। এছাড়া জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে গেইন ট্যাক্স দ্বিগুণ হচ্ছে। ঢাকায় রাজউক ও চট্টগ্রামের সিডিএর আওতায় জমি ও ফ্ল্যাটের নিবন্ধনে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ করা হচ্ছে। আর দেশের অন্য এলাকার ক্ষেত্রে তা ৩ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ হচ্ছে।

এনবিআর সুত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে গৃহস্থালি সামগ্রীর ক্ষেত্রে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে নতুন বাজেটে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। একই হারে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী ও তৈজসপত্রের (হাঁড়িপাতিল, থালাবাসন) ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিসু, ন্যাপকিন টিসু, ফেসিয়াল টিসু/পকেট টিসু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিসু পেপারের দাম বাড়তে পারে। সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়াচ্ছে, মোট করভার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করছে। এতে বিদেশী ওভেনের দাম বাড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রান্নার কাজে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয়। বাজেটে সিলিন্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ এবং উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এতে বাজারে সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার পরও আগামী অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান। ডলার সংকটের কারণে দেশের অনেক ঋণপত্রের (এলসি) দায় যথাসময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলসি দায় পরিশোধ করতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। মূল্য পরিশোধ না করায় ইতিমধ্যে কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ ভোগ্যপণ্য আমদানি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সরকারের মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ আমদানি করতে গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশে এখন মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি। সরকার সেটা ৫ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনার লক্ষ্য স্থির করছে। এটিকে কীভাবে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে, সেটি স্পষ্ট নয়। ব্যাংক খাতে জুন থেকে ঋণের সুদহার বাড়বে। মূল্যস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ##


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

নাটোরের গুরুদাসপুরে হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু

নাটোরের গুরুদাসপুরে হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু

অবশেষে ‘বিদায়’ বললেন মার্তা

অবশেষে ‘বিদায়’ বললেন মার্তা

ভারত-পাকিস্তান রোমাঞ্চের অপেক্ষায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত যুবরাজ

ভারত-পাকিস্তান রোমাঞ্চের অপেক্ষায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত যুবরাজ

২০১৬ সাল থেকে স্বপ্ন ছিল চেন্নাইয়ে খেলার: মুস্তাফিজ

২০১৬ সাল থেকে স্বপ্ন ছিল চেন্নাইয়ে খেলার: মুস্তাফিজ

সোসিয়াদাদকে হারিয়ে শিরোপার হাতছোঁয়া দূরত্বে রিয়াল

সোসিয়াদাদকে হারিয়ে শিরোপার হাতছোঁয়া দূরত্বে রিয়াল

বেয়ারোস্টের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনে রান তাড়ার অবিশ্বাস্য রেকর্ড পাঞ্জাবের

বেয়ারোস্টের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনে রান তাড়ার অবিশ্বাস্য রেকর্ড পাঞ্জাবের

বিশ্ব বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ব বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

বুশরা বিবির খাবারে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানোর অভিযোগ

বুশরা বিবির খাবারে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানোর অভিযোগ

মোদির হিন্দুত্বের তাস দক্ষিণ ভারতে ব্যর্থ

মোদির হিন্দুত্বের তাস দক্ষিণ ভারতে ব্যর্থ

মন্দিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তভিত্তিক বিচারের দাবি

মন্দিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তভিত্তিক বিচারের দাবি

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিকের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিকের মৃত্যু

ফতুল্লায় ৫ যুবক আটক, ‘ডাকাতির প্রস্তুতি’র অভিযোগ

ফতুল্লায় ৫ যুবক আটক, ‘ডাকাতির প্রস্তুতি’র অভিযোগ

তীব্র তাপদহে বৈরী আবহাওয়া, ভোরে কুয়াশা, মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোওয়া অনুষ্ঠিত

তীব্র তাপদহে বৈরী আবহাওয়া, ভোরে কুয়াশা, মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোওয়া অনুষ্ঠিত

গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ

গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ

মোদির গোলামির জিঞ্জিরে দেশকে আবদ্ধ করেছে সরকার -মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

মোদির গোলামির জিঞ্জিরে দেশকে আবদ্ধ করেছে সরকার -মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

ফরিদগঞ্জে বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা

ফরিদগঞ্জে বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা

মির্জাপুরে রাজশাহী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ১০ যাত্রী আহত

মির্জাপুরে রাজশাহী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ১০ যাত্রী আহত

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর

দু’সহোদর হাফেজ শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে -মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ

দু’সহোদর হাফেজ শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে -মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ দিচ্ছেন অসাধু কর কর্মকর্তারা : সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ দিচ্ছেন অসাধু কর কর্মকর্তারা : সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে