রাজশাহীতে তীব্র তাপদাহে ঝড়ে পড়ছে আম
০৪ জুন ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
একেই বলে আম পাকা গরম। আমের এই ভর মওসুমে রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপাদহ। যার প্রভাব পড়েছে আমের উপর। আম পাড়ার মওসুম শুরু হওয়ায় পর্যায়ক্রমে বাজারে আসতে শুরু করেছে বনেদী জাতের আম। শুরু হয়েছে গুটি দিয়ে আর গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাতি রানীপছন্দ, লক্ষণভোগ আর ল্যাংড়া। গাছে আম ধরে রাখা যাচ্ছেনা। তাপাদহে ঝড়ে পড়ছে আম। আবার একেবারে বেশি করে আমপাড়া যাচ্ছেনা। রাখলেই ঘরে পেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে আড়ত গুলোয়। সকাল বেলায় আম আড়তে নিয়ে এলে রাত পোহালে নীচের দিকে থাকা আম পেকে যাচ্ছে। বাড়িতে বেশি আম কিনে রাখা যাচ্ছেনা। দ্রুত পেকে পচে যাচ্ছে। আম বাগান মালিক আর ব্যবসায়ীরা পড়েছে বিপাকে। ক্ষিরসাপাতি, ল্যাংড়া আম আকার ভেদে মনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে দু’থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। এবার তাপাদহের কারণে আমের আকার ছোট হয়েছে। তবে মিষ্টতা রয়েছে বেশি। আকার ভেদে দামের কম বেশি। কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, এবার রাজশাহী অঞ্চলে (রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নওগা, নাটোর) আমের আবাদ হয়েছে তিরানব্বই লাখ হেক্টর জমিতে। সেখান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এগারো লাখ মেট্রিকটন। আম বিদেশেও স্বল্প পরিসরে পাড়ি দেয়া শুরু হয়েছে।
রাজশাহী অঞ্চলে প্রতি বছর চার পাঁচ হাজার হেক্টর করে আমের জমি বাড়ছে। বিশেষ করে নওগা অঞ্চলে। দেশের ষাট ভাগ আম উৎপন্ন হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলে। এখানকার আম অর্থনীতির আকারও বাড়ছে। এবার মওসুমের চার মাসে দশ হাজার কোটি টাকার বেশি আম বাণিজ্য হবে। হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে পরিবহন খাতে। আর লাখ চারেক মানুষ যুক্ত থাকবে আম পাড়া, প্যাকিং, পরিবহনসহ নানা কাজে। এখন সময় বদলেছে আগে বাঁশের তৈরী ঝুরিতে আম যেত এখন সে স্থানে জায়গা করে নিয়েছে প্লাষ্টিকের ক্যারেট। এসবের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে দাম। আগে একটি ক্যারেট নব্বই একশো টাকায় বিক্রি হলেও এখন দেড়শো টাকার নীচে নয়। অবশ্য আমের ঝুড়ির চেয়ে ক্যারেটে আম পাঠানো নিরাপদ। পরিবহন খরচ বাড়ছে। আগে যেখানে মনপ্রতি আম পরিবহন করা হতো তিনশো টাকায়। এখন সেখানে চার থেকে সাড়ে চারশো টাকা। এক মন আম হাজার দুয়েক টাকায় কিনে স্বজনদের বাড়ি পাঠাতে কুরিয়ার সার্ভিস প্যাকিং এ খরচ হচ্ছে পাঁচ ছয়শো টাকা। এ যেন খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী। যদিও ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে কেজি প্রতি এক টাকা সাইত্রিশ পয়সা। এদিকে প্রচন্ড তাপাদহের কারনে আম দ্রুত পেকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে আম ব্যবসায়ীরা। পাকা আম বাইরেও পাঠানোর উপযুক্ত নয়। আবার ঘরে রাখা যাচ্ছেনা। শেষ বিকেলে রাজশাহী সাহেব বাজার মনিচত্বরের রাস্তার ধারে বসা আম বিক্রেতারা পাকা আম প্রকার ভেদে দশ থেকে পনের টাকায় কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষ আমের স্বাদ নেবার জন্য এই আম দিয়ে রসনা মেটাচ্ছে। অনেকে এসব পেকে যাওয়া আম কিনছেন আমস্বত্ব করার জন্য।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভুটানের রাজাকে বিদায় জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমিুদ চৌধুরী
৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনছে রেলওয়ে
মতলবে পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
সাইবার সচেতনতা বাড়াতে মাদরাসা শিক্ষার্থী আবদুল রহমানের প্রতিজ্ঞা
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, প্রভাষক মিনুর ফেসবুক পোস্ট ও শোকজ
সোনার বাংলা এসএসসি ২০০০ ব্যাচের ইফতার মাহফিল
মাগুরার মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনে হাফেজসহ দুইজন নিহত
টানা ৮ জয় আবাহনীর
বিদ্রোহের অবসান ঘটিয়ে অনুশীলনে জিমিরা
বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিটু
সিরাজ স্মৃতি সংসদে ইয়ারজান
বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই : কৃষিমন্ত্রী
এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব
বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে
শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু
সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক
আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে
স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।