মাল্টা ও লেবু চাষে বিপ্লব
২৪ জুন ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
শেরপুর উত্তরে মাল্টা ও লেবু চাষি আব্দুল বাতেন। তিনি ৭ একর জমিতে মাল্টা ও লেবু চাষের পাশাপাশি মরিচের চাষ করেছেন। মাল্টা, লেবু ও মরিচ উৎপাদন ও দাম ভালো পাওয়ায় তার মুখে প্রাণচঞ্চল হাসি। তিনি জানান, এবার মাল্টা, লেবু ও মরিচ বিক্রি করে তিনি ভালো টাকা আয় করবেন। শুধু আব্দুল বাতেন নয়, শেরপুর উত্তরের গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকসহ সমতল এলাকায়ও চাষ করছেন মাল্টা, লেবু ক্ষেতে সাথি ফসল হিসেবে মরিচের চাষ। গারো পাহাড়েরর নলকুড়া, কাংশা ও গৌরিপুর ইউনিয়নে এবার মাল্টা, লেবু ও সাথি ফসল মরিচ চাষে বিপ্লব ঘটেছে।
মোট ৪০ হেক্টর জমিতে এসব চাষ হয়েছে বলে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার জানান। তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে ৪০ কেজি করে মাল্টা ও ৫০ কেজি করে লেবুর ফলন হচ্ছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে হলদিগ্রামের আব্দুল বতেনের ৭ একরের বাগান ঘুরে দেখা গেছে, অনেক মাল্টা ও লেবুর সাথি ফসল মরিচের ক্ষেত। অনেক বাগানেই ছোট বড় গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে অসংখ্য লেবু ও মাল্টা। আবার কোনো জায়গায় পতিত জমিতে ওপর এসব চাষ করা হচ্ছে। এসব ক্ষেতে কিছু চাষি ফল তুলতে ব্যস্ত আবার কেউবা পরিচর্যায়। এবার ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় তাদের ভাগ্য বদলাতে সহায়ক হচ্ছে বলে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান বাগান মালিক আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, লেবু ও মাল্টা তুলতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। জোরে ফেলে দিলে গায়ে দাগ বসবে ও বিক্রিতে কম টাকা আসবে। ৭ একর জমি থেকে প্রতি সপ্তাহে বেশ কয়েক মণ করে মাল্টা, লেবু ও মরিচ তোলা হয়। প্রতি মণ দরে আবার কখনো শতকরা হিসেবে আবার কখনোবা হালি দরে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে লেবু, মাল্টা ও মরিচই আমাদের ভরসা। এখানে পাইকারি হিসেবেও বিক্রি করা হয় পাইকারদের নিকট। এ বছর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিক্রি করে প্রায় কয়েক লাখ টাকা আয় হবে।
শেরপুর জেলার খামার বাড়ির কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ফল ছাড়াও শীত ও গ্রীষ্মকালীন এবং বারোমাসি সবজি চাষে গারো পাহাড়ের কৃষকরা বিপ্লব ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের সব জায়গাতে এসব চাষ হয় না। বৃহত্তর ময়মনসিংহের গারো পাহাড়, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া ও যশোর জেলায় ব্যাপকভাবে শাক-সবজি ও ফলের চাষ করা হয়। এদিক থেকে গারো পাহাড়ের উপজেলা গুলো অন্যতম। এ গারো পাহাড়ি অঞ্চলের জমিগুলো সকল প্রকার সবজি ও ফল চষে বেশ উপযুক্ত। তবে স্থানীয় কৃষকরা অন্যান্য সবজির চেয়ে গত কয়েক বছর থেকে সবজি ও ফলের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবারও অধিকাংশ কৃষক সবজির পাশাপাশি ফলের চাষ করেছেন। এ বছর শেরপুর উত্তরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে শুধু মাল্টা, লেবু ও সাথি ফসল হিসেবে মরিচের চাষ হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গারো পাহাড় হচ্ছে সব ধরণের শাক-সবজির ভা-ার। বর্তমানে ফল চাষেও কৃষকগণ বিপ্লব ঘটিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে ভাল লক্ষনই বলতে হবে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ প্রয়োজীয় সহযোগীতা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় এখানকার কৃষকগণ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চাষাবাদে ভাল লাভের মুখ দেখছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রেকর্ডের মালা গেঁথে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, চীনকে ঠেকাতে কোয়াড কি এখনও প্রাসঙ্গিক?
টেলর সুইফটের পর কমলাকে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন