উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমা ৫২.১৫ সেন্টিমিটার। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৬ ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রবাহিত হওয়ার ফলে নিম্নাঞ্চল এখন প্লাবিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গতকাল শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমায় ছিল।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ও নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে ফলে পানিবন্দি অসহায় মানুষ গুলো পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। এতে নীলফামারী, ডিমলা উপজেলার খগা খড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, টেপা খড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, শৌলমারী ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী এলাকার পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষ গরু-ছাগল নিয়ে নিরাপদ জায়গায় সরে যাচ্ছে। পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পানি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দিয়েও সামলাতে পারছেনা নদীর উত্তাল ঢেউয়ের তোল ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা ইনকিলাবকে জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রাতে আরও পানি বাড়তে পারে। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষকে সর্তক করার পাশাপাশি সকল প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। এ বিষয় ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যাকবলিত পরিবারগুলোকে নিরাপদে থাকার জন্য সর্তক করা হয়েছে।