রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে গুলশান শপিং সেন্টার ঝুঁকিপ‚র্ণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার ভবনটি সিলগালা করে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এর প্রতিবাদে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা গুলশান-১-এর গোলচত্বর অবরোধ করেন। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাদের বিক্ষোভে সবগুলো সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ অবরোধ তুলে দিতে গেলে গেলে শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ। এ সময় ব্যবসায়ীরা বেশ কয়েকটি যানবাহনের গøাস ভাংচুর করে। পুলিশ তখন ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর ব্যবসায়ীরা সরে যেতে বাধ্য হয়। প্রায় ৪ ঘন্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যান চলাচল শুরু হয়। দুপুর থেকে গুলশান-১ গোল চত্বরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য অবস্থান করছে।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল ছয়তলাবিশিষ্ট ওই ভবন ঝুঁকিপ‚র্ণ হওয়ায় সবাইকে দোকান থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা মার্কেটের দুই ফটক খোলা রেখে বাইরের সব ফটক সিলগালা করে। ওই মার্কেটে পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান-১-এর গোলচত্বরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ডিএনসিসি মার্কেট ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০২১ সালে ফায়ার সেটিকে ঝুঁকিপ‚র্ণ ঘোষণা করে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে বলে। কিন্তু এত দিনেও কোনো কিছুই ঠিক করা হয়নি। পরে গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে মার্কেট থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে সিলগালা করে দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। তাঁদের দাবি– দাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলি। তারা না সরলে বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় থেমে থাকা গাড়িগুলো চলতে শুরু করলে তারা গাড়ির ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। তখন পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিল। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপ‚র্ণ রাস্তা, তাই আমরা তাদের বেশিক্ষণ রাস্তা বন্ধ রাখতে না দিয়ে কিছুটা প্রেশার দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।