ভয়াবহ বন্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নিহত বেড়ে ৩৯
১৭ জুলাই ২০২৩, ১০:৫০ পিএম | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গতকাল দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিধি অনুসরণে ব্যর্থতার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা ৩৯-এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ডুবে থাকা আন্ডারপাসে মৃত পাওয়া এক ডজন লোক রয়েছে।
জুনের শেষের দিকে শুরু হওয়া বর্ষাকাল চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় বৃহস্পতিবার থেকে দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সারা দেশে নয়জন নিখোঁজ এবং ৩৪ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে।
রাতারাতি উদ্ধার করা তিনটি লাশসহ ১২ জন মারা গেছে চেওংজু কেন্দ্রীয় শহরের একটি টানেলে, যেখানে একটি বাসসহ ১৬টি যানবাহন শনিবার একটি নদীর জলাভূমি ধসে পড়ার পর একটি আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে। আহত হয়েছেন আরো নয়জন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ৯ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিধস ও বন্যায় ১৭ জন নিহত ও ৯ জন নিখোঁজসহ বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উত্তর গিয়ংসাং প্রদেশে। এই এলাকাটি পাহাড়ি, তাই ব্যাপক ভূমিধসপ্রবন। এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া একটি টানেলের নিচে আটকে পড়া ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপকে এক উদ্ধারকারী বলেন, সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পুরো ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় ৫ হাজার ৫৭০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে উত্তর চুংচেওং প্রদেশের গোয়ান বাঁধ প্লাবিত হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত পর্যন্ত দ. কোরিয়ার ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সারা দেশে ভ্রমণ ব্যাহত হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে প্রায় ২০টি ফ্লাইট এবং নিয়মিত ট্রেন পরিষেবাসহ কয়েকটি বুলেট ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে। দেশটিতে প্রায় ২০০টি রাস্তাও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সোকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নদীর ওভারফ্লো এবং ভূমিধস প্রতিরোধের আহ্বান জানান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার অনুরোধ করেন।
অপরদিকে, কোরিয়ার আবহাওয়া প্রশাসন ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করে বলেছে। আগামী সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে দেশটিতে, যা পরিস্থিতি ‹গুরুতর› করে তুলছে।
এই সময়টাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়মিত বন্যার কবলে পড়ে। তবে দেশটি সাধারণত ভালোভাবে প্রস্তুত থাকে এবং মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। গত বছরও রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত এবং বন্যার ধকল গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর দিয়ে। যার ফলে ১১ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। সূত্র : ট্রিবিউন ও রয়টার্স।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাজিলে সেতু ধস: নিহত ৪, নিখোঁজ ১০
যুদ্ধকালীন ইউক্রেনের ডাকটিকিট, সাহসিকতার ভাষায় দেশপ্রেম ও প্রতিবাদের প্রতীক
বিচ্ছেদ হতে না হতেই আবারও একসাথে তারকা জুটি বেন-লোপেজ
হাইতির হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত তিনজন
ছাত্রদলের কমিটি : ঢাকা কলেজের সামনে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫
গুম হন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান
বিদেশি ভুল তথ্য ঠেকানোর মার্কিন সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুরে জাহাজে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় মামলা
গাজায় বড়দিনে শান্তির জন্য প্রার্থনা, নিহতের সংখ্যা ছাড়লো ৪৫ হাজার
স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোজাম্বিকে বাংলাদেশিদের ৩শ' ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাঙচুর
অতিসত্বর নির্বাচন হওয়ার দরকার : আমীর খসরু
দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে : মেজর হাফিজ
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া
একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে